1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

তুরস্কের সেনা ঘাঁটিতে সিরিয়ার হামলা

২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০

ইডলিবে তুরস্কের সেনা ঘাঁটিতে বিমান হামলা চালালো সিরিয়ার আসাদ বাহিনী। এখনও পর্যন্ত নিহত ৩৩। পাল্টা আঘাত তুরস্কের।

ছবি: Getty Images/A. Tammawi

যুদ্ধ পরিস্থিতি আগেই তৈরি হয়েছিল। গৃহযুদ্ধে জর্জরিত সিরিয়া গত আট বছর ধরে কার্যত যুদ্ধ ক্ষেত্রই হয়ে আছে। তবে বৃহস্পতিবার রাতে যে ঘটনা ঘটল, তা যুদ্ধের সম্ভাবনা আরও উস্কে দিল। সিরিয়া এবং তুরস্কের মধ্যে সরাসরি যুদ্ধের সম্ভাবনা আরও বাড়ল।

সিরিয়ারইদলিব হল আসাদ বিরোধী গোষ্ঠীর শক্ত ঘাঁটি। দীর্ঘ দিন ধরে এখানকার বিদ্রোহীরা সিরিয়ার রাষ্ট্রপ্রধান বাশার আল আসাদের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। পাল্টা শক্তি প্রদর্শন করছে আসাদ সরকারও। সিরিয়া এবং রাশিয়ার যৌথ বাহিনী বিমান হানা চালিয়ে ধ্বংস করে দিয়েছে গ্রামের পর গ্রাম। তবে বৃহস্পতিবার তারা সরাসরি আঘাত হেনেছে ইদলিবে অবস্থিত তুরস্কের সেনা ঘাঁটিতে। যার জেরে এখনও পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৩৩ জন তুরস্কের সেনা। পাল্টা আঘাত হেনেছে তুরস্কও।

সিরিয়া এবং তুরস্কের সীমান্তে অবস্থিত ইদলিব। দীর্ঘ দিন ধরেই সেখানে সেনা ঘাঁটি তৈরি করে রেখেছে তুরস্ক। তাদের দাবি, নিজেদের দেশের সুরক্ষার জন্যই তারা ওই সেনা ঘাঁটি তৈরি করেছে। কার্যত মুক্তাঞ্চল ইদলিবে তুরস্কের সেনা ঘাঁটি নিয়ে বরাবরই আপত্তি আসাদ সরকারের। একাধিক বার তারা সেনা সরানোর কথা বলেছে। শুধু তাই নয়, সিরিয়ার দাবি, ইদলিবে সরকার বিরোধী শক্তিকে মদত দিচ্ছে তুরস্ক। কিন্তু ন্যাটোর অনুমতিতে ইদলিবে সেনা ঘাঁটি রেখে দিয়েছে তুরস্ক। এতদিন পর্যন্ত একাধিকবার ইদলিবে ধ্বংসলীলা চালালেও কখনও তুরস্কের সেনা ঘাঁটিতে সরাসরি আক্রমণ করেনি আসাদ বাহিনী। কিন্তু বৃহস্পতিবার সে ঘটনাই ঘটল। বিশ্বের কূটনৈতিক মহল অবশ্য সিরিয়ার এই কাজের তীব্র নিন্দা করেছে। জাতি সংঘ ঘটনার কড়া নিন্দা করে দুই পক্ষকেই সংযত হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। অ্যামেরিকাও সিরিয়ার নিন্দা করে বিবৃতি প্রকাশ করেছে। তাতে বলা হয়েছে ইরান এবং রাশিয়ার মদতেই এ ধরনের ঘটনা ঘটানোর সাহস দেখাচ্ছে আসাদ বাহিনী।

বোমার শব্দে সিরীয় শিশুর হাসি ভাইরাল

00:56

This browser does not support the video element.

কড়া বিবৃতি দিয়েছে তুরস্কও। বস্তুত, বৃহস্পতিবারেই পাল্টা আক্রমণ শুরু করেছে তুরস্কের সৈন্য। যার ফলে যুদ্ধ পরিস্থিতি আরও তীব্র হয়েছে। তুরস্কের বক্তব্য, সীমান্তবর্তী অঞ্চল হওয়ার কারণে এমনিতেই ইদলিবের উদ্বাস্তুরা তুরস্কে গিয়ে আশ্রয় নেন। তাদের পক্ষে আর আশ্রয় দেওয়া সম্ভব নয়। বস্তুত, কিছু দিন আগেই একদল উদ্বাস্তুকে তুরস্কের সীমান্তে আটকে থাকতে দেখা গিয়েছিল। নিজেদের অসহায়ত্ব একটি ভিডিও বার্তার মাধ্যমে প্রকাশ করেছিলেন তাঁরা। জানিয়েছিলেন, দেশের ভিতর তাঁরা বাস করতে পারছেন না আসাদ বাহিনীর অত্যাচারে। তাঁদের ঘর বাড়ি সব নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে বোমারু বিমান হামলায়। কিন্তু তুরস্কও তাঁদের ঢুকতে দিচ্ছে না।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি, ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ