1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

তুরস্কে হামলার দায় কার?

২২ আগস্ট ২০১৬

তুরস্কে এক কুর্দি বিবাহ অনুষ্ঠানে ভয়াবহ আত্মঘাতী হামলার পর এর্দোয়ান সরকার ও কুর্দি জনগোষ্ঠীর মধ্যে উত্তেজনা বাড়ছে৷ আইএস-এর বিরুদ্ধে অভিযোগ সত্ত্বেও এই গোষ্ঠী দায় স্বীকার করেনি৷

তুরস্ক
ছবি: Getty Images/AFP/I. Akengin

হিংসা প্রদর্শনে তথাকথিত ইসলামিক স্টেট কোনো সীমার ধার ধারে না – বার বার তার প্রমাণ পাওয়া গেছে৷ এবার তুরস্কে এক বিবাহ অনুষ্ঠানের উপর হামলা যদি তারাই চালিয়ে থাকে, সে ক্ষেত্রে তাদের নৃশংসতারই আরেক দৃষ্টান্ত পাওয়া গেল৷ আত্মঘাতী হামলাকারীর বয়স নাকি মাত্র ১২ থেকে ১৪৷ কমপক্ষে ৫১ জন নিহত, আহত প্রায় ৯৪৷ হতাহতদের মধ্যেও শিশু-কিশোরদের সংখ্যা নজর কাড়ার মতো৷ অভিযোগ সত্ত্বেও আইএস অবশ্য এখনো এই হামলার দায় স্বীকার করেনি৷

সিরিয়া সীমান্তের কাছে গাজিয়ানটেপ শহরে এক কুর্দি পাড়ায় শনিবার এক বিবাহ অনুষ্ঠান চলছিল৷ মানুষের ভিড়েই হামলাকারী বিস্ফোরণ ঘটায়৷ বর ও কনে আহত অবস্থায় বেঁচে গেলেও দুই পরিবার ও প্রতিবেশীদের অনেকে নিহত হয়েছে৷

হামলার নিন্দার পাশাপাশি তুরস্কের জটিল রাজনৈতিক কাঠামোয় পারস্পরিক দোষারোপের খেলাও শুরু হয়ে গেছে৷ কুর্দিপন্থি রাজনৈতিক দল এইচডিপি রেচেপ তাইয়েপ এর্দোয়ানের সরকারকে আইএস-এর প্রতি নরম মনোভাবকে এই হামলার জন্য দায়ী করেছে৷ বিশেষ করে একাধিক কুর্দি দলের এক জোট সরকারের সঙ্গে আলোচনার পরিকল্পনার ঘোষণা করার ঠিক পরেই এমন হামলার গুরুত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে তারা৷

অনেক পর্যবেক্ষকের মতে, সিরিয়া ও ইরাকে আইএস-এর বিরুদ্ধে সংগ্রামে কুর্দি গোষ্ঠীগুলির জোরালো তৎপরতা ও সাফল্য তুরস্কের সরকারের দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ তাছাড়া আইএস-এর বিরুদ্ধে এর্দোয়ান সরকার যথেষ্ট পদক্ষেপ নিচ্ছে না – এমন অভিযোগ বেশ কিছুকাল ধরে শোনা যাচ্ছে৷ ইস্তানবুলে এইচডিপি দলের এক প্রতিবাদের সময় এক বিক্ষোভকারী বলেন, কুর্দি বিবাহ অনুষ্ঠান, বিরোধীদের জমায়েত অথবা আঙ্কারায় যারা শান্তির কথা বলে, তারাই বার বার এমন হামলার লক্ষ্য হচ্ছে৷ শাসক দলের কোনো সমাবেশের উপর এমন হামলা ঘটে না৷

প্রেসিডেন্ট এর্দোয়ান এই হামলার তীব্র নিন্দা করে বলেছেন, ধর্মীয় ও সাম্প্রদায়িক ভিত্তিতে তুরস্কের মানুষের মধ্যে বিভাজনের অপচেষ্টা বিফল হবে৷ তিনি সরাসরি আইএস-কে এই হামলার জন্য দায়ী করেন৷ তিনি আরও বলেন, নিষিদ্ধ কুর্দি গোষ্ঠী পিকেকে এবং গ্যুলেন-এর আন্দোলনের সঙ্গে আইএস-এর কোনো তফাত নেই৷

তুরস্কে এই হামলার কড়া নিন্দা করেছে আন্তর্জাতিক মহল৷ জাতিসংঘ ছাড়াও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি সহ অনেক দেশ এই পরিস্থিতিতে তুরস্কের পাশে দাঁড়ানোর অঙ্গীকার করেছে৷ পোপ ফ্রান্সিস নিহতদের আত্মার শান্তির জন্য প্রার্থনা করেন৷

এসবি/ডিজি (এপি, এফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

বাংলাদেশ