1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

তুরস্কে ইসরায়েল এবং সিরিয়ার মধ্যকার শান্তি আলোচনা

দেবারতি গুহ২২ মে ২০০৮

পরোক্ষভাবে ইসরায়েল এবং সিরিয়ার মধ্যে যে শান্তি আলোচনা চলছে - তা অবশেষে স্বীকার করে নিল তেল আভিভ এবং দামেস্ক৷ তুরস্কের সঙ্গে এই দুই রাষ্ট্রের সুসম্পর্কের কারণে, এই শান্তি আলোচনায় মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা নিচ্ছে তুরস্ক৷

ইসরায়েলী প্রধানমন্ত্রী এহুদ ওলমার্টছবি: AP

জানা গেছে, যে গত সোমবার থেকেই তুরস্কের ইস্তান্বুল শহরে, ইসরায়েল এবং সিরিয়ার মধ্যকার শান্তির সম্ভাবনা খতিয়ে দেখার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে৷ ষাট বছর আগে পৃথক রাষ্ট্র হিসাবে ইসরায়েলের আত্মপ্রকাশের সময় থেকে দুই দেশের মধ্যে সদ্ব্যাবহার না থাকলেও, এবার দু-দেশের প্রতিনিধিরাই আলোচনার জন্য প্রস্তুত হয়েছেন, জানিয়েছে আংকারা৷ ৮ বছর পর অনুষ্ঠিত এই আলোচনার ওপর যৌথ বিবৃতিতে ইসরায়েল ও সিরিয়া বলেছে, যে মধ্যপ্রাচ্যে সামগ্রিক শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে তারা এবার এই খোলামেলা আলোচনা শুরু করেছে৷ ইসরায়েলী প্রধানমন্ত্রী এহুদ ওলমার্ট এই শান্তি আলোচনাকে জাতীয় কর্তব্য বলে অভিহিত করেছেন৷ তিনি বলেন, গত কয়েক বছরে এই দুই দেশের, বিশেষ করে দেশের উত্তর সীমান্তের নিরাপত্তা পরিস্থিতির আদতে কোন উন্নতিই হয়নি৷ এই অঞ্চলটির সমস্যা উভয়ের জন্য সব সময়েই সমস্যাজনক রয়ে গেছে৷ তাই সর্বদা একে-অপরকে গুলি করার চেয়ে কথা বলা অনেক ভালো৷


উল্লেখ্য, আজ থেকে মাত্র ৮ মাস আগেও, ইসরায়েল সিরিয়ার একটি পরমাণু স্থাপনায় হামলা চালিয়েছিল৷ তবে গতকালের একটি যৌথ বিবৃতিতে উভয় দেশই বলেছে, যে দুপক্ষই এখন শান্তি স্থাপনের লক্ষ্যে আন্তরিকভাবে আলোচনা চালিয়ে যেতে প্রস্তুত৷ তবে, এতে নতুন করে সামনে চলে এসেছে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সিরিয়াসহ তাদের মিত্র ইরান ও লেবাননের হিজবুল্লাহ গেরিলাদের বৈরিতার বিষয়টিও৷ ফলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ আগামী জানুয়ারি মাসে ক্ষমতা ছাড়ার আগে, সিরিয়া ও ইসরায়েলের মধ্যকার শান্তিচুক্তির সম্ভাবনা ক্ষীণ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা৷ কিন্তু এরপরও অত্যন্ত আশাবাদী ইসরায়েলী প্রধানমন্ত্রী ওলমার্ট৷ যদিও তিনি বলেন, যে এই প্রক্রিয়া দীর্ঘ এবং জটিল হবে এবং হয়ত কঠিন কোন ছাড়ের মধ্য দিয়েও তা শেষ হতে পারে৷ তবে, এতে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি স্থাপনের জন্য যে সুযোগ আছে, তা অবশ্যই সম্ভাব্য ঝুঁকির তুলনায় বেশি৷

অনেকের ধারণা, এ-বক্তব্যর মধ্য দিয়ে ওলমার্ট সিরিয়াকে অধিকৃত গোলান মালভূমি ফিরিয়ে দেওয়ারই আভাস দিয়েছেন৷ কারণ, তিনি নাকি ইতোমধ্যেই সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদকে গোলান মালভূমি নিয়ে একটি খসড়া দিয়েছেন৷ তবে ওলমার্ট আদৌ এই শান্তি প্রক্রিয়ার ব্যাপারে দৃঢ়সংকল্পবদ্ধ কিনা - সে সম্পর্কে আজ সন্দেহ প্রকাশ করেছে সিরিয়া থেকে প্রকাশিত দৈনিক পত্রিকা Syria Times৷ এ-প্রসঙ্গে, সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়ালিদ আল মৌয়ালেম বলেছেন, যে ইসরায়েল গোলান মালভূমি ফিরিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি না দিলে, তারা এই শান্তি আলোচনা চালিয়ে যেতে পারবে না৷ তবে, এখনো পর্যন্ত এই শান্তি আলোচনা দু-পক্ষের জন্য সন্তোষজনক বলে আজ মন্তব্য করেছেন তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলি বাবাকান৷


স্বাভাবিকভাবেই, ১৯৬৭ সালের যুদ্ধে ইসরায়েল, সিরিয়ার গোলান মালভূমি এলাকা দখল করার পর দুই দেশের সম্পর্কের যে অবনতি ঘটেছিল, তা কাটিয়ে তুলতে আবার নতুন করে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে৷ উল্লেখ্য, ২০০০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ইসরায়েল এবং সিরিয়ার মধ্যে গোলান মালভূমির দখলদারীর প্রশ্নে শেষ দ্বিপাক্ষিক আলোচনাটি ভেস্তে যায়৷ এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র এই আলোচনায় কোন আপত্তি না জানালেও, সন্ত্রাসে মদদ দেওয়ার জন্য তারা আবারও সিরিয়ার সমালোচনা করেছে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ