জার্মানির দুই মন্ত্রী পৌঁছেছেন তুরস্ক-সিরিয়া সীমান্তে। সোমবার ফের সেখানে ভূমিকম্প হয়েছে। ৪৫ হাজারের বেশি মানুষ মৃত।
বিজ্ঞাপন
জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ন্যান্সি ফেসার তুরস্কে পৌছেছেন। ভূমিকম্প বিধ্বস্ত অঞ্চল ঘুরে দেখেছেন তারা। ন্যান্সি জানিয়েছেন, তুরস্ক এবং সিরিয়ার পাশে তারা আছেন। দ্রুত যাতে বিধ্বস্ত অঞ্চলের মানুষ শীতের পোশাক পান, সেই ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছেন তারা।
ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত তুরস্ক ও সিরিয়ার ৮ শহরের চিত্র
ভয়াবহ এক ভূমিকম্পে তুরস্ক এবং সিরিয়ার বেশ কিছু শহর এখন বিধ্বস্ত৷ মৃতের সংখ্যা দু দেশ মিলিয়ে ৪১ হাজার ছাড়িয়েছে৷ দেখুন তুরস্ক ও সিরিয়ার আটটি শহরের এখন কী অবস্থা...
ছবি: SERTAC KAYAR/REUTERS
এলবিস্তান, তুরস্ক
কাহরামানমারাস প্রদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম জেলা শহরের অনেক ভবন ভূমিকম্পে ধসে পড়েছে৷ ছবির এই রাস্তায় অবশ্য বেশ কিছু ভবন টিকে আছে৷ ধসে পড়া- না পড়া ভবনগুলোর মাঝ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন দুজন৷
ছবি: MAXIM SHEMETOV/REUTERS
কাহরামানমারাস, তুরস্ক
কাহরামানমারাস শহরের প্রায় সব ঘর-বাড়ি ভেঙে পড়েছে৷ একটি ভবনের ধ্বংসস্তূপের কাছেই নামাজ পড়ছেন একজন৷
ছবি: NIR ELIAS/REUTERS
গাজিয়ানতেপ, তুরস্ক
আনাতোলিয়া প্রদেশের গাজিয়ানতেপ শহরে প্রায় ২১ লাখ মানুষের বাস৷ তবে ভূমিকম্পের পর কোথাও এখন খুব একটা মানুষ দেখা যায় না, চারপাশে শুধু ধ্বংসের চিহ্ন৷
ইসকেন্দারুন, তুরস্ক
ইসকেন্দারুন শহারের এক পার্কের বেঞ্চে ঘুমিয়ে নিচ্ছেন একজন৷
ছবি: UMIT BEKTAS/REUTERS
আন্তাকিয়া, তুরস্ক
উদ্ধারকর্মীরা টানা কাজ করায় ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন৷ আন্তাকিয়া শহরে ক্লান্ত এক উদ্ধারকর্মী রাস্তার পাশেই ঘুমাচ্ছেন৷
ছবি: GUGLIELMO MANGIAPANE/REUTERS
লাতাকিয়া, সিরিয়া
তুরস্কের সীমান্ত সংলগ্ন সিরিয়ার বেশ কয়েকটি শহরেও রীতিমতো ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে ভূমিকম্প৷ লাতাকিয়া শহরও ভূমিকম্পে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত৷ ওপরের ছবিতে লাতাকিয়া শহরের একটি সড়ক৷
ছবি: AMR ALFIKY/REUTERS
আলেপ্পো, সিরিয়া
কিছুদিন আগেও রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের খবর আসতো আলেপ্পো শহর থেকে৷ সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় শহরটিতে এখন যেন শ্মশানের নীরবতা৷ ভূমিকম্পের ধ্বসে পড়া এক ভবনের ধ্বংসস্তূপের সামনে বসে আছেন এক নারী৷
ছবি: FIRAS MAKDESI/REUTERS
আদিয়ামান, তুরস্ক
আদিয়ামান শহরে বিশাল এক মিনারও ধসে পড়েছে৷ মিনারটি ওপর দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন এক পথচারী৷
ছবি: SERTAC KAYAR/REUTERS
8 ছবি1 | 8
অন্যদিকে বেয়ারবক জানিয়েছেন, তারা কেবল রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন না। তুরস্ক এবং সিরিয়ার ঘটনা যাতে হেডলাইনে থাকে, সেদিকেও তারা নজর দেন। বস্তুত, ভূমিকম্প এখন আর হেডলাইনে নেই। জার্মান মন্ত্রীররা এদিন জানিয়েছেন, দুই দেশকে ভূমিকম্পের জন্য ৫০ মিলিয়ন ইউরো ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে। যদিও ভূমিকম্প বিধ্বস্ত অঞ্চলের আরো অনেক বেশি সাহায্যের প্রয়োজন।
জার্মান মন্ত্রীরা জানিয়েছেন, এরপরেও জার্মানি এই অঞ্চলকে সাহায্য করতে প্রস্তুত। এদিকে ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা ৪৫ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। তুরস্কে এখনো পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৪২ হাজার ৩১০ জনের। সিরিয়ায় মৃতের সংখ্যা তিন হাজার ৬৮৮। সোমবারে পর পর দুইটি ভূমিকম্পে আরো প্রাণহানি ঘটেছে। এখনো পর্যন্ত অন্তত তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। দক্ষিণ তুরস্কে বাড়ি তৈরির শিল্প নিয়ে বড় প্রশ্ন উঠে গেছে। বহু ডেভেলপারকে সরকার গ্রেপ্তার করেছে। তবে এই প্রথম জার্মানির বড় কোনো মন্ত্রী সেখানে পৌঁছালেন।