সাংবাদিক ডেনিস ইউসেলকে মিথ্যাচারের অভিযোগে দু'বছর নয় মাসের কারাবাসের সাজা দিয়েছে তুরস্কের একটি আদালত৷
বিজ্ঞাপন
জার্মানির অন্যতম জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম ‘ডি ভেল্ট'-এর তুর্কি-জার্মান সাংবাদিক ডেনিস ইউসেলকে বৃহস্পতিবার কারাদণ্ড দেয়া হয়৷ বর্তমানে জার্মানির বাসিন্দা ইউসেলের জার্মান ও তুরস্কের নাগরিকত্ব রয়েছে৷
তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তুরস্কে নিষিদ্ধ কুর্দিস্তান পিপলস পার্টি (পিকেকে)-র হয়ে মিথ্যাচার ছড়াচ্ছিলেন৷ দু'বছর ধরে চলা এই মামলায় একদিনও হাজিরা দেননি ইউসেল৷ ডি ভেল্ট পত্রিকায় তাঁর লেখা একাধিক প্রতিবেদনে ঘৃণা ও ত্রাস ছড়ানোর রসদ রয়েছে বলে মামলার শুনানিতে দাবি করা হয়েছে৷ এর আগেও তুরস্ক কর্তৃপক্ষ ইউসেলের বিরুদ্ধে ফেতুল্লাহ গুলেনের সাথে যুক্ত থাকার অভিযোগ তোলে৷ গুলেন তুরস্কেরসাম্প্রতিক কালের অভ্যুত্থানের সাথে জড়িত বলে মনে করে আঙ্কারা৷ পাশাপাশি, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইয়িপ এর্দোয়ানের ভাবমূর্তি নষ্ট করার অভিযোগও তোলা হয়েছে ইউসেলের বিরুদ্ধে৷
ইউসেলের আইনজীবী জানিয়েছেন, এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে৷
করোনায় সাংবাদিকতা
বাংলাদেশে সাংবাদিকরাও করোনায় আক্রান্ত। ঝুঁকির মুখে আছে অনেক সংবাদমাধ্যম। এই পরিস্থিতিতেও কীভাবে চলছে বাংলাদেশের প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন সাংবাদিকতা?
ছবি: DW/Harun-ur-Rashid Swapan
মাঠে যারা কাজ করেন
প্রধানত ইলেট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক এবং ক্যামেরাম্যানদের সীমিত আকারে হলেও বাইরে যেতে হয় অ্যাসাইনমেন্ট কাভার করতে। তারা চেষ্টা করেন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে।
ছবি: DW/Harun-ur-Rashid Swapan
সবাই কি যথেষ্ট সচেতন?
মাস্ক তারা ঠিকই পড়েছেন। কিন্তু সতর্কতার জন্য আরো যা ব্যবহার করা প্রয়োজন তা কি করছেন?
ছবি: DW/Harun-ur-Rashid Swapan
সামজিক দূরত্ব কতটা মানছেন?
এই সম্প্রচার সাংবাদিকরা পিপিই পড়েছেন। তারপরও তারা কতটা নিরাপদ?
ছবি: DW/Harun-ur-Rashid Swapan
যাদের বাইরে না গিয়ে উপায় নেই
ফটো সাংবাদিক আর টেলিভিশনের ক্যামেরাম্যানদের তো বাইরে যেতেই হবে। তাই তাদের অনেকেই নিরাপদ থাকতে সচেষ্ট।
ছবি: DW/Harun-ur-Rashid Swapan
অনলাইন আর প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকদের সুরক্ষা
যারা সরেজমিন প্রতিবেদন করেন তাদের বাইরে যেতেই হয়। তাই তারা যতটুকু সম্ভব সুরক্ষিত থাকার চেষ্টা করেন।
ছবি: DW/Harun-ur-Rashid Swapan
ঘরে বসে কাজ
এই করোনায় সুরক্ষার জন্য সাংবাদিকদের বড় একটি অংশ, বিশেষ করে যারা ডেস্কে কাজ করেন এখন তারা বাড়িতে বসেই কাজ করেন।
ছবি: DW/Harun-ur-Rashid Swapan
অফিসে সামাজিক দূরত্ব
যারা অফিসে কাজ করেন, তারা চেষ্টা করছেন সামাজিক দূরত্ব মানতে।
ছবি: DW/Harun-ur-Rashid Swapan
অফিসে বসেই সংবাদ সংগ্রহ
এখন নানা ধরনের ব্রিফিং অনলাইনেই হয়। অফিসে বসেই করোনা নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ব্রিফিং শুনছেন।
ছবি: DW/Harun-ur-Rashid Swapan
নিয়মিত স্প্রে করা হয়
নিউজরুমে নিয়মিত জীবানুনাশক স্প্রে করা হয়।
ছবি: DW/Harun-ur-Rashid Swapan
আছে স্বাস্থ্য সুরক্ষার ব্যবস্থা
এখন সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রবেশ পথেই হ্যান্ড স্যানিটাইজার থাকে। আছে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা ও শরীরের তাপ মাপার যন্ত্র।
ছবি: DW/Harun-ur-Rashid Swapan
কেউ আর ঝুঁকি নিতে চান না
চেয়ারে বসে প্রথমেই স্যানিটাইজার দিয়ে হাত জীবানুমুক্ত করেন সংবাদমাধ্যম কর্মীরা।
ছবি: DW/Harun-ur-Rashid Swapan
টকশো চলে স্টুডিও ছাড়া
টকশোর অতিথিরা বাসা থেকেই যুক্ত হচ্ছেন জুম বা স্কাইপে। উপস্থাপকও অনেক সময় বাসা থেকে কাজ করেন।
ছবি: DW/Harun-ur-Rashid Swapan
সাংবাদিকদের গাড়ি
করোনায় স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য সংবাদিকদের গাড়িটিও হতে হয় জীবানুমুক্ত।
ছবি: DW/Harun-ur-Rashid Swapan
বাড়তি সতর্কতা
টেলিভিশন সাংবাদিকদের কেউ কেউ বাড়তি সতর্কতার অংশ হিসেবে এখন লম্বা বুম ব্যবহার করেন।
ছবি: DW/Harun-ur-Rashid Swapan
তারপরও ঘটে দুঃখজনক ঘটনা
সাংবাদিকরা তারপরও করোনা সংক্রমিত হচ্ছেন। প্রতিষ্ঠানগুলো ঝুঁকির মুখে আছে। কয়েকজন কর্মী করোনা পজিটিভ হওয়ায় বেসরকারি চ্যানেল দীপ্ত টিভির খবর প্রচার ১৪ দিনের জন্য স্থগিত করা হয়েছে।
ছবি: DW/Harun-ur-Rashid Swapan
গৃহিনী এবং সাংবাদিক
রিপোর্টারদের বড় একটা অংশও এখন বাড়ি থেকে কাজ করছেন। সংসার আর অফিসের কাজ একসঙ্গেই করছেন তারা।
ছবি: DW/H.U. Rashid Swapan
সাংবাদিকরা কতটা মানেন?
করোনা প্রতিরোধে মসজিদে ৫ জনের বেশি নামাজ পড়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে৷ নিষেধাজ্ঞা মানা হচ্ছে কিনা তা নিয়মতি দেখতে হয় সাংবাদিকদের। তাই প্রায় প্রতিদিনই বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সামনে যেতে হয় তাদের। অনেকেই কিন্তু ‘সামাজিক দূরত্ব’ বজায় রাখেন না৷
ছবি: DW/H.U. Rashid Swapan
17 ছবি1 | 17
জার্মানি দাঁড়ালো ইউসেলের পাশে
জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাইকো মাস এই রায়ের কড়া সমালোচনা করে বৃহস্পতিবার টুইট করেন৷ তিনি বলেন, ‘‘এই রায় দেখাচ্ছে যে, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার প্রশ্নে আমাদের (জার্মানি ও তুরস্ক) মতের চরম অমিল রয়েছে৷ আমরা ভুলবো না যে, এখনো বহু জার্মান তুরস্কের হাতে বন্দি আছেন৷ এই মামলার পাশাপাশি অন্যান্য বন্দিদের মামলা জার্মান-তুরস্ক সম্পর্ক ও ইইউ'র সাথে তাদের সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াবে৷''
এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে ডেনিস ইউসেল ডয়চে ভেলেকে জানান, তিনি মোটেও তাঁর কার্যকলাপ নিয়ে কোনো ধরনের অনুশোচনায় ভুগছেন না৷ আইনি সুরাহা মিলবে, সে বিষয়েও তিনি আশাবাদী৷
ডয়চে ভেলেকে তিনি জানান, ‘‘গত বছরই তুরস্কের সাংবিধানিক আদালত আমার প্রতিটি প্রতিবেদন খুঁটিয়ে পড়ে৷ তুরস্কের সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষার যে আইনটি রয়েছে, তার খেলাপ করেনি আমার লেখা৷''
ডয়চে ভেলের ইস্তাম্বুল প্রতিনিধি ইউলিয়া হান এক টুইটে বলেন, ‘‘এটাই অবাক করে যে, সাংবিধানিক আদালত ২০১৭ সালে নয় মাস ধরে ইউসেলেকে কারাবন্দি রাখাকে বেআইনি ঘোষণা করেছিল৷ তারা বলেছিল যে, ইউসেলের ব্যক্তি স্বাধীনতা ও সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা হয়েছে৷ তা-ও এই মামলাকে থামানো যায়নি৷ স্পষ্টতই এটা তুরস্কে সাংবাদিকতার স্বাধীনতার ওপর বড় আঘাত৷''