1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

তুরস্কে পেট্রিয়ট রকেট

লেওন স্টেবে/এসি৮ জানুয়ারি ২০১৩

মঙ্গলবারই বিশ জনের বেশি সৈন্যের একটি দল তুরস্ক অভিমুখে যাত্রা করেছে৷ একই দিনে জার্মান ‘পেট্রিয়ট’ রকেটগুলি পাঠানো শুরু হয়েছে৷ সিরিয়ার ঘটনাবলীর প্রেক্ষিতে তুরস্কের সীমান্তে এই পেট্রিয়ট প্রতিরক্ষা প্রণালী স্থাপন করা হবে৷

KOERBECKE, GERMANY - MAY 19, 1999: (FILE PHOTO) German soldiers prepare a Patriot anti-missile system May 19, 1999, during training in Koerbecke, Germany. The German military will loan two batteries of its Patriot systems to Israel, including 128 missiles, at the end of January 2003 to help Israel defend itself against possible Iraqi Scud missile attacks should a war against Iraq break out. (Photo by Deutsche Bundeswehr/Getty Images)
ছবি: Deutsche Bundeswehr/Getty Images

জার্মান সরকার তুরস্কে পেট্রিয়ট রকেট পাঠাচ্ছে বটে, কিন্তু সেই সঙ্গে এটাও পরিষ্কার করে দেবার চেষ্টা করছে যে, এটা কোনো সামরিক অভিযান নয়৷ জার্মান সেনাবাহিনী সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে হস্তক্ষেপ করবে না৷ জার্মান প্রতিরক্ষামন্ত্রী টোমাস দে মেজিয়ের সেটা আরো স্পষ্ট করে বলে দিয়েছেন:

‘‘এটা শুধুমাত্র একটা সতর্কতা এবং প্রতিরক্ষামূলক পদক্ষেপ, যার উদ্দেশ্য হলো ন্যাটো রাজ্যাঞ্চল, এক্ষেত্রে তুরস্কের সুরক্ষা৷''

জার্মান সরকার তুরস্কে পেট্রিয়ট রকেট পাঠাচ্ছে বটে, কিন্তু সেই সঙ্গে এটাও পরিষ্কার করে দেবার চেষ্টা করছে যে, এটা কোনো সামরিক অভিযান নয়ছবি: picture-alliance/dpa

ন্যাটো-সদস্য তুরস্ক স্বয়ং জোটকে পেট্রিয়ট রকেট পাঠাতে অনুরোধ করে৷ এবং বৃহস্পতিবার জার্মানির তরফ থেকে ঠিক সেই অনুরোধই রাখা হলো: আগামী কিছু সৈন্যের একটি দল ওলন্দাজ সৈন্যদের সঙ্গে একত্রে আইন্ডহোফেন থেকে বিমানযোগে তুরস্কের ইনচিরলিক যাত্রা করেছে৷ পেট্রিয়ট রকেট প্রণালীর যন্ত্রাংশগুলি পাঠানো হচ্ছে ট্রাভেমুন্ডে থেকে জাহাজে করে৷ তুরস্কে পেট্রিয়ট রকেটগুলি দেখাশোনার দায়িত্বে থাকবে সব মিলিয়ে প্রায় ৩৫০ জন জার্মান সৈন্য৷ তাদের মূল অংশ আগামী সপ্তাহে তুরস্ক যাত্রা করবে৷ গোটা অভিযানটির কারণ দর্শাতে গিয়ে জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিডো ভেস্টারভেলে বলেন:

‘‘ভুললে চলবে না, সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধের ফলে তুরস্কেও মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে – এবং সিরিয়া থেকে আক্রমণের কারণে৷ এই পটভূমিতে তুরস্ক যদি সিরিয়া প্রশাসন আর কি করতে পারে, সে ব্যাপারে উদ্বেগ পোষণ করে, তবে তা বোধগম্য৷''

পেট্রিয়ট রকেটগুলি এমন একটি প্রতিরক্ষা প্রণালীর অঙ্গ, যা বিপক্ষের বিমান, রকেট ইত্যাদি খুঁজে বার করে পাল্টা রকেটে ধ্বংস করতে পারে৷ অথচ সিরিয়া সীমান্তে তুরস্কের আসল বিপদ হল মর্টারের গোলা এসে পড়ার, যেগুলির ক্ষেত্রে পেট্রিয়ট রকেটগুলির কিছুই করার নেই৷ কাজেই সিরিয়ার সীমান্তে পেট্রিয়ট প্রতিরক্ষী প্রণালী স্থাপন করাটা মোটামুটি একটা প্রতীকী কাজ বলে ধরে নেওয়া যেতে পারে৷ জার্মান প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বিবৃতিতে:

‘‘শেষমেষ আমরা তুরস্ককে মানসিকভাবে একটি সমস্যাকর পরিস্থিতিতে সাহায্য করছি, যাতে তুরস্ক সিরিয়া সংঘাতে জড়িয়ে না পড়ে৷ অন্যদিকে, আমাদের মাথা ঠাণ্ডা রেখে বুঝেসুঝে প্রতিক্রিয়া দেখাতে হবে৷''

জার্মান পেট্রিয়ট রকেটগুলি সিরিয়া সীমান্ত থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরে স্থাপিত হচ্ছে৷ থাকবে ২০১৪ সাল অবধি৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ