তুরস্কে কিছু খাতে লোভী আচরণের কারণে দ্রব্যমূল্য বাড়ছে বলে সোমবার মন্তব্য করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইয়িপ এর্দোয়ান৷ সুবিধাবাদীদের আচরণকে দ্রব্যমূল্যের অভাবনীয় বৃদ্ধির মূল কারণ মনে করেন তিনি৷
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইয়িপ এর্দোয়ানছবি: Murad Sezer/REUTERS
বিজ্ঞাপন
তুর্কি মন্ত্রিপরিষদের এক বৈঠক শেষে এর্দোয়ান জানান, নতুন বছরে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে নজরদারি বাড়াবে তার সরকার৷ পাশাপাশি যেসব ব্যবসায় এভাবে দ্রব্যমূল্য বাড়ানো হচ্ছে সেগুলো বর্জনেরও আহ্বান জানিয়েছেন এর্দোয়ান৷
এদিকে, সিরিয়াকে বিভক্ত করার কোনো চেষ্টা করা হলে তা রুখতে দেশটিতে হস্তক্ষেপের হুঁশিয়ারিও উচ্চারন করেছেন এর্দোয়ান৷ তিনি বলেন, ‘‘আমরা কোনো পরিস্থিতিতেই সিরিয়ার বিভিক্ত মেনে নেবো না এবং আমরা যদি সেরকম কিছুর সামান্যতম ঝুঁকিও দেখি, তাহলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবো৷''
আর এরকম পদক্ষেপ নেয়ার ‘সব উপায়ই' তার দেশের রয়েছে বলেও জানিয়েছেন এর্দোয়ান৷
তুরস্কের প্রেসিডেন্টের সর্বশেষ এই হুঁশিয়ারি কুর্দিপ্রধান সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সেস এবং তথাকথিত ‘ইসলামিক স্টেটের' বিরুদ্ধে বাহিনীটির লড়াইয়ে সমর্থন দেয়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে বলে মনে করা হচ্ছে৷
সিরিয়ার কুর্দিদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই তুরস্কের বিরোধ চলছে৷ সপ্তাহান্তে তুরস্কপন্থি গোষ্ঠী এবং কুর্দিপ্রধান পিপলস প্রোটেকশন ইউনিটস-এর মধ্যে লড়াইয়ে অন্তত একশ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন৷
এআই/এসিবি (রয়টার্স, এএফপি)
মুক্তির আনন্দে দেশে দেশে সিরীয়দের উল্লাস
বাশার আল আসাদের পতনের মাধ্যমে সিরিয়ায় শেষ হলো বাথ পার্টির দীর্ঘ ৬১ বছরে শাসন। সেই সাথে হলো আসাদ পরিবারের ৪৩ বছরের স্বৈরশাসনের অবসান। আসাদ সরকারের পতনে তাই দেশে-বিদেশে আনন্দ-উল্লাসে মেতেছেন সিরীয়রা।
ছবি: Julius Christian Schreiner/dpa/picture alliance
দামেস্ক, সিরিয়া
বাশার আল আসাদের পতনের মাধ্যমে অবসান ঘটেছে সিরিয়ায় বাথ পার্টির ৬১ বছরের শাসনামলের। রোববার (৮ ডিসেম্বর) আসাদ সরকারের পতনের পর উচ্ছ্বসিত নারী শিশু সবাই নেমে আসেন রাজধানী দামেস্কের রাস্তায়। এ সময় পতাকা হাতে এক সিরিয়ান নারীকে উদযাপন করতে দেখা যায়।
ছবি: Bekir Kasim/Anadolu/picture alliance
আঙ্কারা, তুরস্ক
সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধের কারণে পার্শ্ববর্তী দেশ তুরস্কে আশ্রয় নেয়া সিরিয়ার নাগরিকরা বাশার আল আসাদের পতনে বিজয় মিছিল করেছেন। তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারার রাস্তায় সিরিয়া ও তুরস্ক দুই দেশের পতাকা হাতে তাদের আনন্দ মিছিল করতে দেখা যায়।
ছবি: Tunahan Turhan/SOPA Images via ZUMA Press Wire/picture alliance
উট্রেশট, নেদারল্যান্ডস
গৃহযুদ্ধের কারণে ইউরোপে অবস্থানরত সিরীয় শরণার্থীরাও পিছিয়ে থাকেননি আনন্দ উদযাপনে। নেদারল্যান্ডের উট্রেশট শহরে নারী-পুরুষ সকলেই সিরিয়ার পতাকা হাতে মুক্তির আন্দন্দ ভাগাভাগি করেন।
ছবি: Rob Engelaar/ANP/IMAGO
হামবুর্গ, জার্মানি
প্রায় এক যুগ ধরে চলা গৃহযুদ্ধের কারণে সবচেয়ে বেশি সিরীয় শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় নিয়েছেন জার্মানিতে। বাশার আল আসাদের পতনের খবরে দেশটির রাজধানী বার্লিনসহ বেশ কয়েকটি শহরে উচ্ছ্বসিত মানুষের জমায়েত দেখা যায়। বন্দর নগরী হামবুর্গের সেন্ট্রাল রেলস্টেশনের সামনে আন্দন্দ মিছিল করছেন সিরিয়ার নাগরিকরা।
ছবি: Bodo Marks/dpa/picture alliance
বেলগ্রেড, সার্বিয়া
সার্বিয়ার রাজধানী বেল্গ্রেডে সিরিয়ার দূতাবাসের সামনে সিরিয়ার বিদ্রোহীদের পতাকা টানাতে দেখা যায়।
ছবি: Darko Vojinovic/AP Photo/picture alliance
লন্ডন, যুক্তরাজ্য
যুক্তরাজ্যে বসবাসরত সিরিয়ার শরণার্থীরা লন্ডনের ট্রাফালগার স্কয়ারে সমবেত হয়েছিলেন। সেসময় তাদের সিরিয়ার বাশার আল আসাদের বিরোধীদের পতাকা উড়াতে দেখা যায়।