1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

তুরস্কে আটক মানবাধিকার কর্মীরা

১৮ জুলাই ২০১৭

তুরস্কের অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের পরিচালকসহ ছ’জন মানবাধিকার কর্মীকে আটক রাখার আদেশ দিয়েছে সে দেশের আদালত৷ সন্ত্রাসে ইন্ধন জোগানোর অভিযোগে মানবাধিকার কর্মীদের বিরুদ্ধে এ আদেশ দেয়া হয়৷

Amnesty International gegen Türkei
ছবি: Getty Images/S.Gallup

ইস্তানবুলের দক্ষিণের দ্বীপ বুয়িউকাডার এক হোটেল থেকে গত ৫ জুলাই তুরস্কের অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের পরিচালক ইদিল এসারসহ মোট ১০ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ৷ গ্রেপ্তারকৃতরা সন্ত্রাসী সংগঠনের হয়ে কর্মরত এবং সন্ত্রাসে ইন্ধন দেয়ার জন্যই তাঁরা কাজ করছিলেন – পুলিশ এমন দাবি করলেও মানবাধিকার কর্মীদের পক্ষ থেকে অভিযোগটিকে ‘বানোয়াট' বলেই দাবি করা হচ্ছিল৷ মঙ্গলবার তুরস্কের একটি আদালত মামলার শুনানি শুরুর আগ পর্যন্ত মানবাধিকার সংগঠন সংশ্লিষ্ট ছয় ব্যক্তিকে পুলিশি হেফাজতে রাখার আদেশ দেয়ার পরও এমন বক্তব্যই এসেছে৷

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, তুরস্কের গবেষক অ্যান্ড্রু গার্ডনার আদালতের এ রায়কে ‘তুরস্কে অধিকার আন্দোলনের প্রতি চরম আঘাত' হিসেবে বর্ণনা করেছেন৷

অনির্দিষ্টকালের জন্য আটকাদেশ পাওয়া ছয় জনের মধ্যে দু'জন বিদেশি নাগরিকও রয়েছেন৷ তাঁদের একজন জার্মানির, অন্যজন সুইডেনের নাগরিক৷

জার্মান নাগরিক পেটার স্টয়েড্টনার একজন মানবাধিকার প্রশিক্ষক৷ তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে আদালতের রায়ে বিস্ময়, হতাশা এবং উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে৷ অ্যামনেস্টি ইন্টারশনালসহ বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থাও এ রায়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে৷

জি-টোয়েন্টি সম্মেলনে যোগ দিতে কয়েকদিন আগেই জার্মানিতে এসেছিলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইয়েপ এর্দোয়ান৷ তখন মানবাধিকার কর্মীদের আটক প্রসঙ্গেও মন্তব্য করেছেন তিনি৷ তাঁর মতে, আটক মানবাধিকারকর্মীরা ২০১৬ সালের ১৫ জুলাইয়ের কথিত ব্যর্থ অভ্যুত্থান প্রচেষ্টার নেপথ্যের কারিগরদের হয়েই কাজ করছিলেন৷ ৪৫ বছর বয়সি স্টয়েড্টনারের পার্টনার মাগডালেনা ফ্রয়েন্ডেনশুস বলেছেন, ‘‘পেটার (স্টয়েড্টনার) অভ্যুত্থানের পরিকল্পনা করছিল এ ধারণাটাই হাস্যকর৷''

গত বছরের কথিত ব্যর্থ অভ্যুত্থান প্রচেষ্টার পর থেকেই তুরস্কে মানবাধিকার পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে৷ গণমাধ্যম বা মানবাধিকার কর্মীরা তখন থেকেই চাপের মুখে৷

কথিত ব্যর্থ অভ্যুত্থানের পরই তুরস্কে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়৷ এ পর্যন্ত চার দফা বাড়িয়ে জরুরি অবস্থা এখনো বলবৎ রাখা হয়েছে৷ বেশ কিছু সামাজিক সংগঠন এবং গণমাধ্যম বন্ধ করে দেয়া হয়েছে৷ অভ্যুত্থান প্রচেষ্টায় জড়িত থাকার অভিযোগ তুলে ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষকে বন্দি করা হয়েছে৷ বন্দিদের মধ্যে পুলিশ ও সামরিক বাহিনীর সদস্য, শিক্ষক, বিচারক, সরকারি চাকুরিজীবীসহ অনেক পেশার মানুষই রয়েছেন৷ এছাড়া প্রায় দেড় লক্ষ চাকুরিজীবীকে চাকুরিচ্যুতও করেছে এর্দোয়ান সরকার৷

এসিবি/ডিজি (ডিপিএ, এএফপি, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

বাংলাদেশ