1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

তুরস্ক কি তার নীতি বদলাচ্ছে?

গ্রেহেম লুকাস২১ অক্টোবর ২০১৪

সিরিয়া-তুরস্ক সীমান্তে কোবানির উপর আইসিস-এর আক্রমণ তুরস্ককে ফাঁপরে ফেলেছে৷ তুরস্ক যে কোনোমতেই যুদ্ধরত কুর্দদের সাহায্য করতে রাজি নয়, এ যাবৎ সারা বিশ্ব তা দেখেছে৷ আংকারা কি এবার সে নীতি বদলাতে চলেছে?

Explosion in Kobane
ছবি: Getty Images

বিশেষ করে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলির চোখে বিগত কয়েক সপ্তাহে তুরস্কের ভাবমূর্তির ব্যাপক হানি ঘটেছে৷ কোবানিতে যুদ্ধরত কুর্দদের সাহায্য না করার অর্থ, তুরস্ক তার সংকীর্ণ জাতীয় স্বার্থকে আন্তর্জাতিক রাষ্ট্রসমাজের উদ্বেগের চেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে৷ দৃশ্যত কুর্দদের নিয়ন্ত্রণে রাখাটা আংকারার কাছে আইসিস-এর বিরুদ্ধে সংগ্রামের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ৷

কোনটা বেশি জরুরি

তুরস্ক সিরিয়ার কুর্দদের সাহায্য করতে দ্বিধা করছে, কেননা তাদের পিকেকে-র সঙ্গে যোগ আছে, যে সন্ত্রাস গোষ্ঠী পূর্ব তুরস্কে কুর্দ স্বশাসনের দাবিতে তিন দশক ধরে বিদ্রোহ চালিয়েছে৷ যে কারণে তুরস্ক তার সিরিয়া সীমান্ত খুলে দিয়ে কোবানি ও কোবানি'র কুর্দ যোদ্ধাদের জন্য ত্রাণ ও অস্ত্র সরবরাহের পথ উন্মুক্ত করতে চায়নি৷ এমনকি তুরস্ক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে তুর্কি বিমানঘাঁটিগুলি ব্যবহার করতে দেয়নি৷ যার ফলে ওয়াশিংটন ও ন্যাটো তুরস্কের নীতি সম্পর্কে আন্তরিকভাবে উদ্বিগ্ন এবং কিছু কিছু পর্যবেক্ষক ইতিমধ্যেই ন্যাটোর সদস্য হিসেবে তুরস্কের নির্ভরযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন৷

‘তুরস্ক তার সংকীর্ণ জাতীয় স্বার্থকে আন্তর্জাতিক রাষ্ট্রসমাজের উদ্বেগের চেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে’ছবি: Reuters/Kai Pfaffenbach

অন্যদিকে রয়েছে, কোনটা বেশি জরুরি, সেই প্রশ্ন৷ কুর্দদের কি তুরস্কের পক্ষে একটা বাস্তব এবং অব্যবহিত বিপদ বলে গণ্য করা চলে? না, চলে না৷ আইসিস কি এই অঞ্চলের মানুষদের জন্য – এবং অন্যত্র একটা বিপদ? সেটা নিশ্চিত এবং দৃশ্যত তুরস্ক ছাড়া সেটা প্রায় সবারই জ্ঞাত৷ আইসিস-এর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক রাষ্ট্রসমাজের অবিলম্বে পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন এবং সেক্ষেত্রে তুরস্কের সহযোগিতা অত্যাবশ্যক৷

গ্রেহেম লুকাস, ডিডাব্লিউ’র দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া বিভাগের প্রধানছবি: DW/P. Henriksen

মোড় ফেরা

দৃশ্যত তুরস্কের এতদিনে সেটা বোধগম্য হয়েছে৷ দেরিতে হলেও, পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুট চাভুশলু ঘোষণা করেছেন যে, তাঁর দেশ ইরাকের কুর্দ সেনাবাহিনীকে কোবানিতে যুদ্ধরত কুর্দ যোদ্ধাদের সাহায্য করতে দেবে, অর্থাৎ সীমান্ত পার হয়ে তাদের সঙ্গে যোগদান করতে দেবে৷ এই সিদ্ধান্ত এসেছেও শেষ মুহূর্তে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কোবানিতে অস্ত্রশস্ত্র, খাদ্য ও ঔষধপত্র এয়ারড্রপ করা শুরু করার পর৷ ওয়াশিংটনের এই পদক্ষেপও ছিল বস্তুত তুরস্কের অনমনীয়তার কারণে৷

এখন প্রশ্ন হল, কোবানির উপর আইসিস-এর চাপ উপশমের জন্য তুরস্ক আর কী করতে প্রস্তুত? আংকারা কি এবার ওয়াশিংটনের সঙ্গে পূর্ণ সহযোগিতা করবে? শুধু বিমান হানা দিয়ে যে আইসিস-কে পরাজিত করা যাবে না, সে বিষয়ে পশ্চিমি বিশেষজ্ঞরা একমত৷ অপরদিকে ‘বুটস অন দ্য গ্রাউন্ড' বা স্থলযুদ্ধে আইসিসএর মহড়া নিচ্ছে একমাত্র কুর্দরা৷ কাজেই তাদের আন্তর্জাতিক রাষ্ট্রসমাজের – এবং সেই সঙ্গে তুরস্কের পূর্ণ সাহায্য পাবার নৈতিক অধিকার রয়েছে বৈকি৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ