1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

তুরস্ক দেখছে তারুণ্যের তেজ

১২ জুন ২০১৩

তাঁরা নারী৷ স্বাভাবিক অবস্থায় ঘড়ি দেখে ঘরে ফেরেন রাতে৷ এখন সে নিয়ম নেই৷ অধিকার রক্ষার প্রশ্নে তাঁরা রাত কাটান পার্কে, খোলা আকাশের নিচে৷ নিরাপত্তাহীনতা স্পর্শই করেনা৷ আদর্শিক ঐক্যই এখন তুরস্কের তারুণ্যের রক্ষাকর্তা৷

ছবি: Getty Images

একটি পার্ক বিনষ্ট করে, গাছ কেটে সেখানে প্রথমে শপিং মল তৈরির পরিকল্পনা হয়েছিল৷ এখন বলা হচ্ছে, থিয়েটার, অপেরা হাউস ও ক্যাফে তৈরি হবে৷ সেই উদ্যোগে বাধা দিতে যাওয়া – সেই থেকে যে তুরস্কে এ অবস্থা হবে, রেচেপ তাইয়েপ এর্দোয়ানের সরকারও বোধ হয় এতটা ভাবেনি৷

হাতে গোনা কয়েকজন প্রতিবাদকারীর ওপর পুলিশি হামলা না হলে প্রতিবাদের আগুন এতটা হয়তো তীব্র হতো না৷ গাছকাটা কর্মসূচি প্রতিরোধ থেকে প্রধানমন্ত্রী এর্দোয়ানের সাম্প্রতিক সব বিতর্কিত সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবিও যোগ হয়েছে আন্দোলনকারীদের স্লোগানে৷ মিছিল, স্লোগানে শরিক হাজার হাজার মানুষ৷ এক মাস আগের গেজি পার্ক আর তাকসিম স্কোয়্যার এখন একেবারে অন্য চেহারায়৷ প্রতিবাদী উচ্ছল তারুণ্যের স্থায়ী আবাসই যেন ইস্তানবুলের বুকের ওই দুটো জায়গা৷

প্রতিবাদকারীদের দমনে দাঙ্গা পুলিশের ব্যবহার হচ্ছেছবি: picture-alliance/AP

খাবার পাওয়া যায় বিনে পয়সায়, যোগ ব্যায়ামের কোর্স করতেও টাকা লাগেনা, কনসার্ট হচ্ছে প্রায় প্রতিদিন, দেশের অতি ক্ষুদ্র কোনো অংশের প্রতিনিধিরাও পারছেন এতদিন কারো মনযোগ না পাওয়া নিজেদের কিছু দাবির কথা ব্যানার, প্ল্যাকার্ডে লিখে প্রতিবাদের জোয়ারে মিশে যেতে – গেজি পার্ক আর তাকসিম স্কোয়্যারকে এই রূপে আগে কেউ দেখেনি৷ সবাই সমবেত এর্দোয়ানের জন্মনিয়ন্ত্রণ, অ্যালকোহল বিক্রিসহ বেশ কিছু বিতর্কিত সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানাতে৷ আন্দোলনকারীরা বলছেন, এ সবের মাধ্যমে তৃতীয় বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হওয়া এর্দোয়ান ইসলামের নামে তাঁর দলের অনুকূলে যায়, এমন সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিচ্ছেন সবার ওপর৷ এর ফলে ব্যক্তিস্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে বলেও মনে করেন তাঁরা৷ চাপিয়ে দেয়া সরকারি নীতি মানবেন না বলেই সেভি আলগান এখন দিন-রাত পড়ে থাকেন পার্কে৷ ৩৭ বছর বয়সি এই অভিনেত্রী বলছিলেন, ‘‘আমরা নারী৷ এর্দোয়ান নিশ্চয়ই চান এমন নারীরা ঘরে থাকুক৷ আজ নারীরা আন্দোলনের সামনে দাঁড়িয়েছে, কারণ, নারীরাই এর্দোয়ানের প্রকল্পগুলোর প্রথম শিকার৷ ''

ছাত্র-ছাত্রী, আইনজীবী, শিক্ষক, সাধারণ চাকুরিজীবী, শ্রমিক – বলতে গেলে সব পেশার লোকই যোগ দিয়েছেন এর্দোয়ান-বিরোধী আন্দোলনে৷ অথচ শতকরা প্রায় ৫০ ভাগ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হওয়ায় সাম্প্রতিক সব সিদ্ধান্তকেই ‘সংখ্যাগরিষ্ঠের দাবি' বলে প্রতিবাদকে অগ্রাহ্য করছে ক্ষমতাসীন একে পার্টি৷ তাদের সমর্থকরা আন্দোলনকারীদের বলছেন, ‘‘খারাপ মুসলমান৷'' এমন মন্তব্যের জবাবে দর্শনের ছাত্র এসরা বললেন, ‘‘আমরা ইসলাম ধর্ম বা সংস্কৃতির কোনো কিছুকেই বাতিল করছিনা৷ আমরা কথা বলছি অধিকার রক্ষার বিষয়ে৷''

এসিবি/এসবি (এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ