তুরস্কে উদ্ধার ও ত্রাণকাজে অংশ নিতে বাংলাদেশ থেকে ৬০ সদস্যের একটি ‘সম্মিলিত সাহায্যকারী দল’ বুধবার রাতে রওয়ানা হচ্ছে৷ ফায়ার সার্ভিসের ১২ সদস্যের পাশাপাশি সেনাবাহিনীর ২৪ জন এবং ১০ জন চিকিৎসক রয়েছেন এই দলে।

যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থা ইউএসএইড-এর দুটি দল ও উদ্ধারকাজে বিশেষজ্ঞ কুকুর বুধবার তুরস্কে পৌঁছার কথা৷ প্রতিটি দলে ৮০ জন করে সদস্য থাকবেন৷ তারা তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় আদিয়ামান প্রদেশে কাজ করবেন৷

ভূমিকম্পের পর উদ্ধারকাজে বিশেষজ্ঞ একটি দল যন্ত্রপাতি নিয়ে বুধবার তুরস্কের আদানায় পৌঁছেছে৷ ঐ দলে ৮২ জন রয়েছেন৷ আরো আছে চারটি কুকুর৷

ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্সের দুটি দল (১০০ জন) কুকুর ও যন্ত্রপাতি নিয়ে ওড়ার অপেক্ষায় আছেন৷ এছাড়া চিকিৎসকদের কয়েকটি দলও প্রস্তুত করা হচ্ছে৷ ত্রাণ পাঠানোর ব্যবস্থাও করা হচ্ছে৷

৭৩ জনের উদ্ধারকারী দল তুরস্কে পৌঁছেছে৷ সঙ্গে লাইফ ডিটেক্টর, ড্রিল, বহন করা যায় এমন জেনারেটর, চিকিৎসা সামগ্রী ও খাবার নিয়ে গেছেন তারা৷

৭৬ জনের একটি দল চারটি কুকুর ও যন্ত্রপাতি নিয়ে তুরস্কে গেছেন৷

তুরস্কে ফিল্ড হাসপাতাল তৈরি করবে৷ এছাড়া উদ্ধারকারী দল পাঠাতে চেয়েছে দেশটি৷ সিরিয়ার সবচেয়ে দুর্গত এলাকায় জরুরি ত্রাণ দেবে বলে জানিয়েছে আরব আমিরাত৷

দমকলকর্মী ও যন্ত্রপাতি নিয়ে এ৪০০ সামরিক বিমান পাঠানো হচ্ছে৷ এছাড়া ত্রাণ ও ৫০০ মেরিন নিয়ে দুটি যুদ্ধজাহাজ তুরস্কের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছে৷ ছবিতে একটি এ৪০০ সামরিক বিমান দেখা যাচ্ছে৷

উদ্ধারকারী দল, যানবাহন, ফিল্ড হাসপাতাল, তাঁবু ও অন্যান্য সহায়তা পাঠিয়েছে তুরস্কে৷ ‘কাতার চ্যারিটি’ নামের সংস্থাটি তুরস্কের গাজিআন্তেপ শহরে ২৭ হাজার গরম খাবার বিতরণ করছে৷ এছাড়া তুরস্ক ও সিরিয়ায় ত্রাণ পাঠাচ্ছে সংস্থাটি৷ ছবিতে সহায়তা নিয়ে তুরস্কের গাজিআন্তেপে কাতারের একটি বিমান দেখা যাচ্ছে৷

তুরস্ক ও সিরিয়ায় বিমানে করে ত্রাণ পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে দেশটি৷

তুরস্কে সিভিল ডিফেন্স দল পাঠাবে৷ আর সিরিয়ায় জরুরি ত্রাণ ও সহায়তা পাঠাতে চেয়েছে দেশটি৷

ত্রাণ ও ৩৬ জন উদ্ধারকর্মীসহ দুটি সি-১৩০ প্লেন পাঠিয়েছে পাকিস্তান৷ ছবিতে ফিলিপাইন বিমান বাহিনীর একটি সি-১৩০ বিমান দেখা যাচ্ছে৷

জরুরি সহায়তা হিসেবে পাঁচ লাখ ইউরো দিয়েছে৷

তাঁবু ও পানি পরিশোধন ইউনিট দিতে পারবে বলে জানিয়েছে জার্মানি৷ এছাড়া জেনারেটর, কম্বল পাঠাতে তুরস্কের সঙ্গে কথা বলছে৷ এছাড়া জার্মানিতে বাস করা তুর্কিরা গরম কাপড়, কম্বল ও শিশুদের খাবার পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন৷ জার্মানিতে ত্রিশ লাখের বেশি তুর্কি বাস করেন৷

জরুরি ভিত্তিতে তুরস্ক ও সিরিয়ায় সাড়ে সাত মিলিয়ন ডলার সহায়তার অঙ্গীকার করেছেন প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো৷

প্রেসিডেন্ট জেলেন্সকি তুরস্কে সহায়তা পাঠাতে প্রস্তুত আছেন বলে জানিয়েছেন৷

প্রয়োজন হলে ১০০ জন উদ্ধারকর্মী নিয়ে দুটি আইএল-৭৬ বিমান তুরস্কে যেতে প্রস্তুত আছে বলে জানিয়েছে রাশিয়া৷

তুরস্কে উদ্ধারকর্মী, মেডিকেল স্টাফ ও সহায়তা পাঠিয়েছে৷ আর শত্রু রাষ্ট্র হলেও সিরিয়াকে সহায়তা করতে ইসরায়েল প্রস্তুত আছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু৷

অস্ট্রেলিয়া, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ইটালি, পোল্যান্ড, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, তাইওয়ান, গ্রিস, নরওয়েজিয়ান রিফিউজি কাউন্সিল, সুইজারল্যান্ড ও ফিনল্যান্ড বিভিন্ন ধরনের সহায়তা পাঠাচ্ছে৷

সোমবার ভোরে সিরিয়া ও তুরস্কে ৭.৮ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে৷ এতে এখন পর্যন্ত তুরস্ক ও সিরিয়ায় ২,৩০০-র বেশি মানুষ মারা গেছেন৷

হাইতির দক্ষিণাঞ্চলে ৭.২ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানলে ২,২০০র বেশি মানুষ প্রাণ হারান৷ প্রায় ১৩ হাজার ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল৷

ইন্দোনেশিয়ার সুলাওয়েসিতে ৭.৫ মাত্রার ভূমিকম্পের কারণে প্রায় দেড় মিটার উঁচু সুনামি হয়েছিল৷ প্রাণ হারান চার হাজার ৩০০ জনের বেশি মানুষ৷

পূর্বাঞ্চলীয় কেয়ারমানশাহ রাজ্যে ৭.৩ মাত্রা ভূমিকম্পে চারশর বেশি মানুষ নিহত হয়েছিলেন৷

মধ্য মেক্সিকোতে ৭.১ মাত্রার ভূমিকম্পে কমপক্ষে ৩৬৯ জন প্রাণ হারান৷

রোমের পূর্বে পাহাড়ি এলাকায় ৬.২ মাত্রার ভূমিকম্পে প্রায় ৩০০ জন নিহত হয়েছিলেন৷

দেশটির প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকূলীয় এলাকায় ৭.৮ মাত্রার ভূমিকম্পে সাড়ে ছয়শর বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন৷

৭.৫ মাত্রার ভূমিকম্পে দুই দেশ মিলিয়ে প্রায় চারশ জন প্রাণ হারান৷

৭.৯ মাত্রার ভূমিকম্প প্রায় নয় হাজার মানুষের প্রাণ কেড়ে নেয়৷ ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল কাটমান্ডু থেকে ৮০ কিলোমিটার পশ্চিমে৷

৯ মাত্রার ভূমিকম্প থেকে সৃষ্ট সুনামি ও তারপর পারমাণবিক কেন্দ্রে বিপর্যয়ের ঘটনায় প্রায় ২১ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়৷

৭.৩ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হানে৷ এতে কমপক্ষে তিন লক্ষ ২০ হাজার মানুষ নিহত হয়৷ আহত হয় প্রায় তিন লক্ষ মানুষ৷ ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল হাইতির রাজধানী পোর্ট অফ প্রিন্স থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার পশ্চিমে৷

৭.৯ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানলে প্রায় ৯০ হাজার মানুষ মারা যায়৷ এতে ৫০ লক্ষেরও বেশি ভবন ধসে পড়ে৷ নিহতদের বেশিরভাগই ধসে যাওয়া ভবনের নীচে পড়ে প্রাণ হারায়৷

২০০৬ সালের ৬.৩ মাত্রার ভূমিকম্পে প্রায় ৫,৮০০ মানুষের প্রাণ যায়৷ আহত হয় প্রায় ৩৬ হাজার৷

৭.৬ মাত্রার ভূমিকম্পে কমপক্ষে ৭৩ হাজার মানুষ প্রাণ হারায়৷ এছাড়া ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে প্রায় ১,৩০০ জন এবং আফগানিস্তানেও বেশ কয়েকজন নিহত হয়৷

ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপের উপকূলে সমুদ্রগর্ভে সংঘটিত ৯.১ মাত্রার ভূমিকম্প যে সুনামির অবতারণা ঘটায়, তাতে ১৪ দেশের প্রায় দুই লাখ ৩০ হাজার মানুষ প্রাণ হারায়৷

৬.৬ মাত্রার একটি ভূমিকম্পে ৪০ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হন৷ আহতের সংখ্যা ছিল প্রায় ৩০ হাজার৷

গুজরাটে ৭.৯ মাত্রার ভূমিকম্পে প্রাণ হারায় ২০ হাজারেরও বেশি মানুষ৷