তুষার আর বরফে ঢাকা পড়েছে আফগানিস্তান৷ সমতল ভূমি, অরণ্য এবং পাহাড়ি অঞ্চল হঠাৎ করেই শ্বেতশ্রুভ্র রূপ ধারন করেছে৷ রাজধানী কাবুলেও এই পরিবর্তন দেখা গেছে৷

বাইরে প্রচণ্ড ঠাণ্ডার কারণে বাসার ভেতরটা গরম রাখা খুব কঠিন৷ এই বাস্তুহারা আফগান মেয়েরা তাই স্টোভের আগুনে নিজেকে গরম রাখার চেষ্টা করছে, কিন্তু তাতেও যে খুব একটা কাজ হচ্ছে না৷

ভয়ঙ্কর তুষারপাতের মধ্যে গাড়ি নিয়ে ভ্রমণ অনেকটা রোমাঞ্চের পর্যায়ে পড়ে৷ এসময় রাস্তায় যানজট আর দুর্ঘটনা হরহামেশাই দেখা যায়৷

তীব্র শীতে পুরো দেশই কাবু৷ তবে তুষারপাতের কিছুটা ইতিবাচক দিকও রয়েছে৷ অল্প বয়সিদের জন্য এটা একটা আনন্দের সময়৷

নিরাপত্তাহীনতার কারণে আফগানিস্তানে বর্তমানে অনেক মানুষ বাস্তুহারা৷ তীব্র শীতে তাদের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে৷ ঠিক কাবুলের এই শিশুটির মতো৷

এই শিক্ষার্থীদের দেখে মনে হচ্ছে, তীব্র শীতে তারা মোটেও বিচলিত নয়৷ প্রচণ্ড শীতেও কাবুলের পাহাড়ি অঞ্চলে তারা উশু অভ্যাস অব্যাহত রেখেছেন৷

তুষারপাত হচ্ছে প্রবল৷ এ কারণে সরকার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে৷ আর সময় পেয়ে তাই প্রতিটি মানুষ নিজেদের বাড়ির ছাদ বরফমুক্ত করার কাজে নেমে পড়েছেন, কেননা বরফের চাপ বেশি হলে ছাদ ধসে পড়তে পারে৷

মালিক বৃষ্টির পানি সংগ্রহ করছে আর এই গাধাগুলো ধৈর্যের সাথে অপেক্ষা করছে৷ মনে হচ্ছে, তাদের গায়ে যে পোশাক চাপিয়ে দেয়া হয়েছে, সেগুলো শীত থেকে রক্ষা পেতে সহায়তা করছে বলে তারা সন্তুষ্ট৷

বরফ পড়বে আর ‘স্নো ম্যান’ বানানো হবে না তা কি হয়! কাবুলের উপকণ্ঠে কারঘা লেকের কাছে তাই এই কুৎসিত বরফ মানবটি তৈরি করে খুশি নির্মাতারা৷

জীবিকার জন্য যাদের বাইরে বের হওয়াটা জরুরি, চরম এই আবহাওয়ায় সেই কাজটা ভীষণ কষ্টকর৷ এই মানুষটি সাইকেলের উপর ভারি বোঝা চাপিয়ে হেঁটে চলেছেন৷ বরফে সাইকেলের চাকা পিছলে যাচ্ছে বলে এটাকে ধরে রাখাও তার পক্ষে কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে৷

আবহাওয়া যতই খারাপ হোক, এই সবজি বিক্রেতা কাজ না করলে পয়সা পাবেন না৷ কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো, ক্রেতারা কিন্তু এই চরম আবহাওয়ায় ঘরের ভেতরে থাকতেই পছন্দ করেন৷