তুষারপাত আর প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় জর্জরিত গোটা ইউরোপ
২২ ডিসেম্বর ২০০৯তুষার ঝড়ের ফলে সৃষ্ট দুর্ঘটনায় জার্মানিতে নিহত হয়েছেন কমপক্ষে ৬ জন৷ দুর্ঘটনা ঘটেছে অস্ট্রিয়া এবং ফিনল্যান্ডেও৷ এদিকে, ইউরোপের বিভিন্ন জায়গায় তাপমাত্রা নেমে গেছে ৩৩ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের নীচে৷ তাই অধিকাংশ শহরে বিমান, রেল ও সড়ক পরিবহন ব্যবস্থায় বিঘ্ন ঘটেছে৷
শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, ইংলিশ চ্যানেলের উভয় পাশে আটকা পড়ে আছে প্রায় ৪০ হাজার যাত্রী৷ গত তিন দিন যাবত ব্রিটেন-ফ্রান্স সুড়ঙ্গ রেলপথে ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হলেও, মঙ্গলবার থেকে আংশিক রেল চলাচল শুরু হতে পারে বলে জানিয়েছে ইউরোস্টার৷ তবে শুক্রবারের আগে ট্রেনগুলি নিয়মিত সময়সূচি মেনে চলতে পারবে না বলে যাত্রীদের সতর্ক করে দিয়েছে তারা৷ এছাড়া, বাণিজ্যিক পরিচালক নিক মেরসার জানিয়েছেন যে, গত সপ্তাহান্তে টানেলের মধ্যে প্রায় আড়াই হাজার যাত্রীর ১৬ ঘন্টা ধরে আটকা পড়ে থাকার ঘটনাটি তদন্ত করে দেখছে ইউরোস্টার৷ নিক জানিয়েছেন, এ ধরনের ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না ঘটে - সে ব্যাপারে ভবিষ্যতে সচেতন থাকবেন তারা৷
উল্লেখ্য, গত তিন দিন ইউরোস্টার ট্রেন সার্ভিস বন্ধ থাকার ফলে, ব্রিটেন, ফ্রান্স এবং বেলজিয়ামের প্রায় ৭৫ হাজার মানুষ আটকা পড়েছিলেন৷ শোনা গেছে, ফরাসি প্রেসিডেন্ট নিকোলা সার্কোজির অনুরোধের ফলেই আবারো তাদের ট্রেন সার্ভিস অবিলম্বে চালু করতে চলেছে ইউরোস্টার৷
ওদিকে ঠাণ্ডা ও তুষারপাতের ফলে, হল্যান্ড এবং পোল্যান্ডেও পরিবহন ব্যাবস্থায় বিপর্যয় নেমে এসেছে৷ তারপরেও বড়দিনের আগে, যাত্রীদের বাড়ি পৌঁছানোর ব্যবস্থা করার জন্য ইউরোপীয় বিমানবন্দর এবং রেলস্টেশনগুলি প্রাণান্তকর চেষ্টা করে যাচ্ছে৷ ব্রাসেলস ন্যাশনাল বিমানবন্দরের মুখপাত্র জ্যঁ ভ্যাঁ দর ক্রুসে বলেছেন, ‘‘ফ্লাইট ওঠানামার জন্য আমরা সারাক্ষণই রানওয়ে পরিষ্কার করছি৷ কিন্তু তুষারপাত এভাবে চলতে থাকলে, আমাদের এ কাজ বন্ধ করে দিতে হতে পারে৷''
অন্যদিকে, তীব্র শীতের হাত থেকে রক্ষায় বিদ্যুতের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে ফ্রান্স৷ তাই সোমবার দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে প্রায় এক ঘন্টার জন্য আলো বন্ধ রাখতে বাধ্য হয় প্রশাসন৷ আগামী দিনগুলিতে ইউরোপের উত্তরাংশে আরো তুষারপাতের সম্ভাবনার কথা জানা গেলেও, দক্ষিণের তাপমাত্রা বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে জার্মান আবহাওয়া দপ্তর৷
প্রতিবেদন : দেবারতি গুহ, সম্পাদনা : হোসাইন আব্দুল হাই