1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পোশাক শিল্প

৮ সেপ্টেম্বর ২০১২

কদিন পর পরই অস্থিরতা দেখা দেয় তৈরি পোশাক শিল্প কারখানাগুলোতে৷ অস্থিরতার কারণ, কর্মীদের মাঝে মজুরি নিয়ে অসন্তোষ৷ তবে কারণ আরো আছে৷ তার সবই খুব তাড়াতাড়ি দূর করা দরকার৷ নইলে যে আন্তর্জাতিক বাজার হারিয়ে বসার আশঙ্কা!

ছবি: AP

রপ্তানি খাতে দেশের মোট আয়ে তাঁদের অবদান শতকরা ৮০ ভাগ৷ অথচ স্বাভাবিক জীবন যাপনের জন্য ন্যূনতম মজুরির দাবি আদায় করতে লড়তে হয় তাঁদের, মরতে হয় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে কাজ করার কুফলে, দারিদ্র্যের কষাঘাতে, কিংবা গুপ্ত ঘাতকের হাতে! তাঁদের এ অবস্থার উন্নতি না হলে গভীর সংকটে পড়তে পারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প৷

তৈরি পোশাক শিল্পের কর্মীদের দুর্দশার কথা সবারই জানা৷ তাঁদের জীবনে প্রতিটি উৎসবই আসে আশাহত হবার আশঙ্কা হয়ে৷ ঈদের আগে বেতনটা পাবো তো? সেই বেতনে উৎসব উদযাপন হবে তো? টাকার অঙ্কটা এত কম যে তা দিয়ে উৎসব উদযাপনের কথা ভাবা যায় না৷ তাই মজুরি বাড়ানোর দাবিতে নামতে হয় রাস্তায়৷ শুরু হয় উৎসবের আগে ন্যূনতম মজুরির অধিকার আদায়ের সংগ্রাম৷ বাংলাদেশের জন্য এটা প্রায় নিয়মিত ঘটনা৷ গেল জুন মাসেও শ্রমিকদের বিক্ষোভের কারণে তৈরি পোশাক শিল্প কারখানাগুলো প্রায় এক সপ্তাহ বন্ধ ছিল৷ বিরাট ক্ষতি হয়েছে এতে৷ যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এক আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের কান্ট্রি ম্যানেজার এমন পরিস্থিতিতে ক্ষতির অঙ্কটা কত বড় হতে পারে সে সম্পর্কে ধারণা দিলেন এভাবে, ‘‘পোশাক শিল্প খাতে অস্থিরতা আমাদের জন্য খুব বড় এক দুশ্চিন্তা৷ আমরা হিসেব করে দেখেছি দুই সপ্তাহ কারখানাগুলোতে কাজ বন্ধ থাকলে আমাদের ৮০ লাখ ডলারের মতো ক্ষতি হয়ে যায়৷’’

রপ্তানি আয়ের ৮০ ভাগ আসে পোশাক খাত থেকেছবি: AP

কিন্তু টেসকো, ওয়াল মার্ট, জেসি পেনি, এইচ-অ্যান্ড-এম, মার্কস অ্যান্ড স্পেন্সারের মতো আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন প্রতিষ্ঠানগুলো বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক তো লাভের আশাতেই কেনে৷ লাভটা বেশি হয় উৎপাদন ব্যয় কম হয় বলে আর উৎপাদন ব্যয় কম পড়ে, কারণ, বাংলাদেশে শ্রমের মূল্য কম৷

তাই বলে কমেরও তো একটা মাত্রা থাকে৷ নাজমা আখতার ভেবে পাননা মজুরি না বাড়ালে তাঁর সংসার কী করে চলবে৷ বলছিলেন, ‘মাত্র চার হাজার দুশ টাকা বেতন পাই আমি৷ এটা বাড়িয়ে কমপক্ষে ৬ হাজার করা উচিত৷ বেতনের ৩ ভাগের দুভাগই তো চলে যায় ঘর ভাড়ার পেছনে৷ ওদিকে সব জিনিসের দামই বাড়ছে৷ বেতন না বাড়ালে চলব কী করে?'

এই প্রশ্ন বাংলাদেশের প্রতিটি তৈরি পোশাক শিল্প প্রতিষ্ঠানের সাধারণ কর্মীর৷ তাই কিছুদিন পরপরই আন্দোলনে নামতে হয় তাঁদের৷ লাভ খুব একটা হয় না৷ বরং কাজ বন্ধ থাকলেও নিজেদেরই ক্ষতি৷ খাওয়াবে কে?

কিন্তু আন্তর্জাতিক বাজারের বড় বড় ক্রেতারা এ অবস্থার উন্নতি চায়৷ তৈরি পোশাক শিল্পে কদিন পরপরই অস্থিরতা তাঁদের অনেকেই মানতে নারাজ৷ তা মানলে যে বড়সড় ক্ষতিও মেনে নিতে হয়৷ কে চায় ক্ষতি মেনে নিতে?

এসব কারণে বাংলাদেশ সরকার ও তৈরি পোশাক শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিকদের ওপর কর্মীদের মজুরি আর সুযোগ সুবিধা বাড়ানোর চাপ বাড়ছে৷ বৃহস্পতিবার সুইডিশ প্রতিষ্ঠান এইচ-অ্যান্ড-এম এর প্রধান নির্বাহী কার্ল-ইওহান পেরসন এ নিয়ে কথা বলেছেন শেখ হাসিনার সঙ্গে৷ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাত শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানিয়েছেন, তাঁর প্রতিষ্ঠান চায় শিগগিরই তৈরি পোশাক শিল্পের কর্মীদের ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ করা হোক, কারখানার ভেতরের পরিবেশের উন্নতিসহ তাঁদের প্রাপ্য অন্যান্য সুযোগসুবিধা বাড়ানো হোক৷

এসিবি/জেডএইচ (রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

বাংলাদেশ