ত্বকের রোগ নিয়ে সমস্যায় ভোগেন অনেক মানুষ৷ ওষুধপত্র, ক্রিম ইত্যাদি সাময়িক স্বস্তি দিলেও অনেক রোগ দূর হতে চায় না৷ জার্মান বিজ্ঞানীরা এবার শীতল প্লাজমা কাজে লাগিয়ে ক্ষতের চিকিৎসার অভিনব উপায় খুঁজে পেয়েছেন৷
বিজ্ঞাপন
জার্মানির ফ্রাউনহোফার ইনস্টিটিউট এবার ক্ষত ও ত্বকের রোগের চিকিৎসায় শীতল প্লাজমা কতটা কার্যকর হতে পারে, তা খতিয়ে দেখছে৷ দেখা গেছে, শীতল প্লাজমা অতি ক্ষুদ্র মাইক্রোঅরগ্যানিজম মেরে ফেলে এবং ত্বকে রক্তের চলাচল তরান্বিত করে৷ ফ্রাউনহোফার ইনস্টিটিউটের ড. আন্দ্রেয়াস হেল্মকে বলেন, ‘‘প্লাজমা-র বিশেষত্ব হলো, তা ব্যাক্টিরিয়া ও মাইক্রোঅরগ্যানিজম-এর মোকাবিলা করে এবং বিভিন্ন রোগের প্যাথোজেন বা জীবাণু মেরে ফেলে৷ ত্বকের স্তরের ঠিক নীচে রক্তসঞ্চালন প্রক্রিয়া চাঙ্গা করে তোলে৷ অর্থাৎ ক্ষত বেশিদিন থাকলে তাতে পুষ্টি ও অক্সিজেন সরবরাহ বিঘ্নিত হয়৷ এই দুই প্রভাব কাজে লাগিয়ে প্লাজমা সেই অভাব পূরণ করে ক্ষত সারিয়ে তুলতে সাহায্য করে৷''
পদার্থবিদ্যা অনুযায়ী তিন রকম অবস্থা সম্ভব – কঠিন, তরল ও বায়বীয়৷ প্লাজমা হলো চতুর্থ অবস্থা৷ শক্তি কাজে লাগিয়ে যে কোনো গ্যাসকে এই অবস্থায় রূপান্তরিত করা সম্ভব৷ এই প্রক্রিয়ায় প্রায় ৬০০ রাসায়নিক প্রতিক্রিয়া কাজে লাগানো হয়৷ ইলেকট্রন, আয়ন, অণু ও অতি বেগুনি রশ্মির এক মিশ্রণ সৃষ্টি হয়৷ ড. আন্দ্রেয়াস হেল্মকে বলেন, ‘‘কোনো গ্যাসের মধ্যে বৈদ্যুতিক শক্তি প্রবেশ করিয়ে প্লাজমা সৃষ্টি করা হয়৷ অর্থাৎ সেই গ্যাস বিদ্যুৎ বহন করতে পারে৷ তখন দেখা যায়, কণাগুলি তাদের চার্জ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে এবং অণু পরমাণুতে রূপান্তরিত হয়৷ কণাগুলিতে শক্তি প্রবেশ করলে বিকিরণের মাধ্যমে সেই শক্তি বিচ্ছুরিত হয়৷ এখানে কণার সেই বিকিরণ দেখা যাচ্ছে৷''
ত্বকের কয়েকটি রোগ
চর্মরোগে কম-বেশি সবাই ভোগেন৷ গরমকালেই এ জাতীয় রোগ বেশি দেখা দেয়৷ এছাড়া অপরিষ্কার ও ঘনবসতিপূর্ণ পরিবেশে বসবাস চর্মরোগের একটা অন্যতম কারণ৷ নিয়ম মেনে চললে রোগের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo
একজিমা
একজিমা হলো ত্বকের এমন একটি অবস্থা যেখানে ত্বকে প্রদাহের সৃষ্টি হয়৷ একেক ধরনের একজিমার লক্ষণ একেক রকম হয়৷ তবে সাধারণভাবে লালচে, প্রদাহযুক্ত ত্বক; শুষ্ক, খসখসে ত্বক; ত্বকে চুলকানি; হাত ও পায়ের ত্বকের মধ্যে ছোট ছোট পানির ফুসকুড়ি ইত্যাদি হলো একজিমার লক্ষণ৷
ছবি: picture-alliance/dpa
একজিমার কারণ
ডিটারজেন্ট, সাবান অথবা শ্যাম্পু থেকে একজিমার সংক্রমণ হতে পারে৷ অতিরিক্ত গরম বা অতিরিক্ত ঠান্ডা ও স্যাঁতসেঁতে ভেজা আবহাওয়াও একজিমার কারণ৷
ছবি: picture-alliance/dpa
সোরিয়াসিস
এটি ত্বকের একটি জটিল রোগ৷ তবে সোরিয়াসিস কেবল ত্বক নয়, আক্রমণ করতে পারে শরীরের অন্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গেও৷ সাধারণত ত্বকের কোষস্তর প্রতিনিয়ত মারা যায় এবং নতুন করে তৈরি হয়৷ সোরিয়াসিসে এই কোষ বৃদ্ধির হার অস্বাভাবিক হয়ে ওঠে৷ ত্বকের কয়েক মিলিমিটার থেকে কয়েক সেন্টিমিটার জায়গাজুড়ে এই সমস্যা দেখা দেয়৷
ছবি: Fotolia
আজীবন চিকিৎসা
সোরিয়াসিস রোগ যত পুরোনো হয়, ততই জটিল হতে থাকে৷ তাই দ্রুত শনাক্তকরণ ও চিকিৎসার আওতায় আসা জরুরি৷ আক্রান্ত ব্যক্তিকে আজীবন চিকিৎসা নিতে হয়৷ সোরিয়াসিস বংশগতভাবে হতে পারে৷
ছবি: Fotolia
আর্সেনিকের কারণে চর্মরোগ
আর্সেনিক যুক্ত পানি খেলে ত্বকে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে৷ যেমন ত্বকের গায়ে ছোট ছোট কালো দাগ কিংবা পুরো ত্বক কালো হয়ে যেতে পারে, হাত ও নখের চামড়া শক্ত ও খসখসে হয়ে যেতে পারে৷ এছাড়া ত্বকের বিভিন্ন স্থানে সাদা-কালো দাগ দেখা দেয়াসহ হাত ও পায়ের তালুর চামড়ায় শক্ত গুটি বা গুটলি দেখা দিতে পারে৷
ছবি: DW
চরম পর্যায়
আর্সেনিক যুক্ত পানি পানের শেষ পরিণতি হতে পারে কিডনি ও লিভারের কর্মক্ষমতা লোপ পাওয়া; ত্বক, ফুসফুস ও মূত্রথলির ক্যানসার হওয়া; কিডনির কার্যক্ষমতা লোপ পাওয়া ইত্যাদি৷
ছবি: picture-alliance/dpa
দাদ
শরীরের যে-কোনো স্থান ফাংগাস দ্বারা আক্রান্ত হতে পারে৷ অধিকাংশ ক্ষেত্রে একে দাদ বলে৷ এই আক্রমণ মাথার চামড়ায়, হাত-পায়ের আঙুলের ফাঁকে কিংবা কুঁচকিতে হতে পারে৷ এটা ছোয়াঁচে রোগ৷ আক্রান্ত স্থান চাকার মতো গোলাকার হয় এবং চুলকায়৷ মাথায় দাদ দেখতে গোলাকার হয় এবং আক্রান্ত স্থানে চুল কমে যায়৷ প্রতিকার পেতে সাবান ও পানি দিয়ে আক্রান্ত স্থান প্রতিদিন ধুতে হবে৷ এছাড়া আক্রান্ত স্থান শুকনো রাখা জরুরি৷
ছবি: MEHR
পাঁচড়া
শিশুদের মধ্যে এই রোগ বেশি দেখা যায়৷ পরিষ্কার কাপড়-চোপড় ব্যবহার ও নিয়মিত গোসল করলে খোসপাঁচড়া থেকে রেহাই পাওয়া যায়৷
ছবি: MEHR
ঘামাচি
গরমের সময় ঘামাচি একটি সাধারণ সমস্যা৷ এটি সাধারণত তখনই হয় যখন ঘর্মগ্রন্থির মুখ বন্ধ হয়ে যায়, ঘাম বের হয় না এবং ত্বকের নীচে ঘাম আটকে যায়৷ এর ফলে ত্বকের উপরিভাগে ফুসকুড়ি এবং লাল দানার মতো দেখা যায়৷ কিছু কিছু ঘামাচি খুব চুলকায়৷ ঘামাচি সাধারণত এমনিতেই সেরে যায়৷ তবে ঘামাচি সারানোর জন্য ত্বক সবসময় শুষ্ক রাখতে হবে এবং ঘাম শুকাতে হবে৷
ছবি: imago stock&people
ব্রণ
সাধারণত বয়ঃসন্ধিকালে এই রোগটি দেখা দেয়৷ তাই একে টিনএজারদের রোগও বলা যেতে পারে৷ ১৮ থেকে ২০ বছরের ছেলে-মেয়েদের মধ্যে এ রোগটা সবচেয়ে বেশি দেখা যায়৷ ব্রণ থেকে মুক্তি পেতে তৈলাক্ত, ঝাল ও ভাজাপোড়া খাবারসহ চকলেট, আইসক্রিম ও অন্যান্য ফাস্টফুড খাওয়া কমাতে হবে৷ এছাড়া বেশি করে পানি ও শাক-সবজি খেতে হবে৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo
10 ছবি1 | 10
প্লাজমার আসল প্রভাবের এখনো পুরোপুরি ব্যাখ্যা পাওয়া যায় নি৷ তবে এটা ঠিক, যে প্লাজমা ত্বকের ক্ষুদ্রতম ফাঁকফোকরেও প্রবেশ করে জীবাণুমুক্ত করে তুলতে পারে৷ এমনকি মাল্টিরেজিস্টেন্ট ব্যাক্টিরিয়াও রেহাই পায় না৷
ব্যাক্টিরিয়ার বিরুদ্ধে প্লাজমা কতটা কার্যকর হতে পারে, তা ই-কোলাই ব্যাক্টিরিয়ার এক পরীক্ষার মাধ্যমেই বোঝা সম্ভব৷ এই ব্যাক্টিরিয়া আন্ত্রিক রোগ ও ফুড পয়জেনিং ঘটাতে পারে৷ শীতল প্লাজমার বিকিরণের ফলে সেই ব্যাক্টিরিয়া মারা যায়৷ বায়োকেমিস্ট মোনিকা গেলকার বলেন, ‘‘প্লাজমা ব্যক্টিরিয়া ও ছত্রাকের মতো মাইক্রোঅরগ্যানিজম মেরে ফেলতে পারে৷ সেটি বিভিন্ন রাসায়নিক পরস্পরের সঙ্গে জুড়ে দেয় অথবা বৈদ্যুতিক ক্ষেত্র কাজে লাগিয়ে মেমব্রেন ক্ষতিগ্রস্ত করে৷ মাইক্রোঅরগ্যানিজমের ভিতরে ডিএনএ এবং প্লোটিনও নষ্ট করে দেয় প্লাজমা৷ ফলে সেগুলির মৃত্যু হয়৷''
ডাক্তার, বায়োলজিস্ট ও পদার্থবিদদের এক টিম এর মধ্যে এক যন্ত্র তৈরি করেছেন, যা সরাসরি ত্বকের উপর শীতল প্লাজমা সৃষ্টি করতে পারে৷ এক ক্লিনিকাল পরীক্ষার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তার ব্যাক্টিরিয়া-নাশক গুণের প্রমাণ পাওয়া গেছে৷ হাই ভোল্টেজ পাল্স সৃষ্টি করে যন্ত্র ও ত্বকের মাঝের অংশের বাতাসকে প্লাজমায় রূপান্তরিত করা যায়৷ ড. হেল্মকে বলেন, ‘‘এক্ষেত্রে প্রায় ৪ মাস ধরে বিশেষ যন্ত্রের মাধ্যমে প্লাজমা প্রয়োগ করে চিকিৎসা করা হয়েছে৷ সব মিলিয়ে ৫০ রকমের অ্যাপ্লিকেশন কাজে লাগানো হয়েছে৷
সুস্থ, সুন্দর স্বপ্নের মতো উজ্জ্বল ত্বক
আমাদের শরীরের সবচেয়ে বড় অঙ্গ হলো ত্বক৷ সুস্থ, সুন্দর, উজ্জ্বল ও মসৃণ ত্বক সকলেরই কাম্য৷ তাছাড়া ‘সুন্দর মুখের জয় সর্বত্র’ – কথাটা পুরোপুরি সত্য না হলেও, একেবারে মিথ্যে নয়৷ তাই সুন্দর ত্বকের জন্য ছবিঘরে থাকছে ১১টি টিপস৷
ছবি: Fotolita/Syda Productions
ভালো করে মুখ পরিষ্কার করুন
ত্বকের যত্ন নির্ভর করে ত্বকের ধরনের ওপর৷ সাধারণভাবে একটি হালকা ‘ক্লিনজিং মিল্ক’ বা ‘ফেসওয়াশ’ দিয়ে মুখ ভালো করে ধুয়ে ফেলুন, দিনে অন্তত একবার৷ তারপর মেখে নিন ‘অ্যালকোহল ফ্রি টোনার’৷ ঘরে থাকা গোলাপজলও টোনারের কাজ করে৷ এছাড়া সপ্তাহে একবার স্ক্রাবার ব্যবহার করুন৷ তবে ত্বকের যত্ন করতে হবে সময় থাকতেই, অর্থাৎ বলিরেখা, দাগ ইত্যাদি হবার আগে৷
ছবি: nicoletaionescu - Fotolia
ত্বকের রক্ষাকবচ ‘সানক্রিম’
ত্বককে বুড়িয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করে ‘সানক্রিম’৷ দিনেরবেলায় ঘরের বাইরে যাওয়ার সময় তাই অবশ্যই সানক্রিম ব্যবহার করবেন৷ সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি ত্বকের মহাশত্রু৷ তবে শীতকালীন রোদে থাকে ভিটামিন ‘ডি’, যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই দরকার৷ অবশ্য সেটা দিনে ১০ থেকে ১৫ মিনিটের বেশি নয়৷
ছবি: picture alliance/blickwinkel
ত্বকের প্রয়োজন আদ্রতা
ত্বক পরিষ্কারের পর একটা টানটান অনুভূতি বা শুষ্ক মনে হলে অবশ্যই আদ্রতাযুক্ত ক্রিম ব্যবহার করতে হবে৷ কারণ শুষ্ক ত্বক তাড়াতাড়ি বুড়িয়ে যায় এবং বলিরেখা পড়ে৷ ‘অ্যালোভেরা’ এবং ‘থার্মাল ওয়াটার’ ত্বককে স্থির বা স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে৷ তৈলাক্ত ত্বকে ব্রণ বা দাগের সমস্যা হলে ত্বক পরিষ্কার রাখাটাই সবচেয়ে জরুরি, বলেন জার্মানির ত্বক বিশেষজ্ঞ আকস্ট গার্ডারমান৷
ছবি: Fotolia/sweetok
ত্বক নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা নয়!
অনেকেই নিজের ত্বক নিয়ে পরীক্ষা করে থাকেন, অর্থাৎ ত্বকের বিভিন্ন ক্রিম, যা বিজ্ঞাপনের নমুনা হিসেবে বিভিন্ন দোকান থেকে দেওয়া হয়, সে’সব ব্যবহার করেন৷ এটা কিন্তু আপনার ত্বকের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে৷ তাই কোনো ক্রিম ব্যবহারের আগে সরাসরি ত্বক বিশেষজ্ঞের কাছে গিয়ে নিজের ত্বক কোন ধরনের সেটা জেনে নেয়া ভালো৷ ত্বক সাধারণত, তৈলাক্ত, শুষ্ক বা সংবেদনশীল হয়ে থাকে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
ব্রণ হলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন
কেই বা এটা না চেনে? মুখের ত্বকে কিছু একটা হলেই সেটাকে আঙুল দিয়ে খুঁটিয়ে বড় করা, যাতে ‘ইনফেকশ’ পর্যন্ত হয়ে যায় আর সেটা ভালো হতে অনেক সময় লাগে৷ তাই সেরকম কিছু হলে বিশেষজ্ঞের কাছে যাওয়া উচিত অথবা ঘরে ‘স্যালিসিলিক অ্যাসিড’ অথবা জিঙ্ক-এর সাহায্য নেয়া যেতে পারে৷ এমনটাই পরামর্শ ত্বক বিশেষজ্ঞ আকস্ট গার্ডারমানের৷
ছবি: Dmitriy Melnikov - Fotolia
ত্বকের উপযোগী স্বাস্থ্যকর খাবার
ভালো ক্রিম ব্যবহার করাই ত্বকের জন্য যথেষ্ট নয়! সুস্থ ত্বকের জন্য চাই স্বাস্থ্যকর খাবার৷ হলুদ, আদা এবং থাইমে রয়েছে ‘অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট’৷ ‘ওমেগা থ্রি’ বা ‘ফ্যাটি অ্যাসিডযুক্ত’ মাছও ত্বকের জন্য ভালো৷ এটা বার্ধক্যরোধেও সহায়ক৷ এছাড়া আখরোটে রয়েছে ‘অ্যামিনো অ্যাসিড’, যা ত্বককে সুন্দর করে৷ হলুদ ও কমলা রঙের ফল এবং সবজিতে ভিটামিন-এ তথা ‘বিটা ক্যারোটিন’ রয়েছে, যা সুন্দর ত্বকের সহায়ক৷
ছবি: picture-alliance/dpa
ঘুমের মধ্যে ত্বকের যত্ন
ঘুমের মধ্যে ত্বক মেদ থেকে ক্ষরিত রস কমায়৷ ত্বক থেকে পানি খরচ হয় কম এবং রক্ত চলাচল করে৷ ত্বকের কোষগুলোও ভালোভাবে কাজ করে৷ তাছাড়া রাতে অন্যান্য অনেক উপাদান ঠিকমতো গ্রহণ করে থাকে ত্বক৷ বিশেষ করে শুষ্ক ত্বক বা পরিণত ত্বক রাতের ক্রিম বা ‘অ্যান্টিএজিং ক্রিম’ ভালোভাবে গ্রহণ করে এ সময়৷ তবে আর যাই করুন, ঘুমানোর আগে মেকআপ তুলতে ভুলবেন না কিন্তু!
ছবি: Werner Heiber/Fotolia
শক্রু ধোঁয়া, ধুলোবালি আর নিকোটিন
সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি এবং ধূমপান ত্বকের ক্ষতি করে৷ তাই প্রয়োজনে তেল, সুগন্ধী অথবা কেমিক্যাল ছাড়া ক্রিম ব্যবহার করা যেতে পারে৷ ত্বকের জন্য প্রয়োজন ভিটামিন-সি, বিটা ক্যারোটিন ইত্যাদি৷ তবে অতিরিক্ত ভিটামিনও কিন্তু ত্বকের ক্ষতি করতে পারে৷ তাই কোনো কিছু বেশি পরিমাণে ব্যবহার করার আগে ত্বক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন৷
ছবি: imago/McPHOTO
মেকআপ নারীকে আরো সুন্দর করে
মেকআপের জন্য ট্রেনিং লাগে না৷ শুধু জানতে হবে কোন মেকআপ আপনার জন্য আদর্শ৷ যেমন শুষ্ক ত্বকের জন্য ‘ক্রিম’ আর তৈলাক্ত ত্বকের জন্য চাই ‘কমপ্যাক্ট’ মেকআপ৷ লক্ষ্য রাখবেন ফাউন্ডেশন যেন ভালোভাবে মিশে যায়৷ তাছাড়া ‘অকেশন’ অনুযায়ী মেকআপ নিতে হবে, অর্থাৎ সাজটা অফিস, বিয়ে বাড়ি নাকি বান্ধবীর বাড়ি যাওয়ার জন্য! আসল কথা, মেকআপের পরও যেন ‘ন্যাচারাল লুক’ বজায় থাকে৷
ছবি: Tim Boyles/Getty Images
বেবি ক্রিম
বড়দের শুষ্ক এবং সংবেদনশীল ত্বকের জন্য শিশুদের ‘বেবি ক্রিম’ বেশ ভালো কাজে দেয়৷ শিশুদের ত্বক যেমন সংবেদশীল হয়, বয়স্কদের ক্ষেত্রেও অনেকটা সেরকমই হয়ে থাকে৷ তাই নানি, দাদিরা যদি নাতি, নাতনির ক্রিম ব্যবহার করেন, তাতে ভুলের কিছু নেই৷ এছাড়া শশা, টক দই, বেসন, পাকা পেঁপেও ত্বকের উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে৷
ছবি: Colourbox
ত্বকের যত্নে ব্যায়ামের ভূমিকা
ব্যায়াম বা শরীরচর্চা করলে ত্বকের রক্ত চলাচল ভালো হয়, ত্বক হয় মসৃণ ও টানটান৷ তার সঙ্গে সঙ্গে ত্বকের রঙে আসে একটা গোলাপি আভা৷ নিয়মিত ব্যায়াম বা খেলাধুলা করলে শরীরে চর্বি জমতে পারে না আর পেশিও হয় শক্ত৷ এক্ষেত্রে ত্বক বিশেষজ্ঞের একটি বাড়তি পরামর্শ, ‘‘বেশি বেশি হাসুন, মুহূর্তেই আপনাকে অনেক বেশি তরুণ এবং সুন্দর দেখাবে৷’’
ছবি: Fotolita/Syda Productions
11 ছবি1 | 11
এই ক্ষত কিছুতেই সেরে উঠছিল না৷ এই চিকিৎসার পর সেই ক্ষত উধাও৷ এই চিকিৎসা পদ্ধতি ৩ রকমের পদ্ধতির মেলবন্ধন ঘটাচ্ছে৷ ওজোন-থেরাপি, স্টিমুলেশন কারেন্ট থেরাপি এবং লাইট থেরাপি৷ এখানে একটি যন্ত্রের মাধ্যমে সে সবের সঙ্গে প্লাজমা প্রযুক্তিও একসঙ্গে কাজে লাগানো হচ্ছে৷''
বহুকালের ক্ষত সারাতে শীতল প্লাজমার প্রয়োগ এর মধ্যেই শুরু হয়ে গেছে৷ এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মাইক্রোঅরগ্যানিসম ও চুলকানি কমানো যাচ্ছে বলে বিজ্ঞানীদের আশা, এভাবে নিউরোডার্মাটিটিস বা সোরিয়াসিস-এর মতো রোগের চিকিৎসা করা সম্ভব৷