ত্রাণ ও উদ্ধারকাজে প্রধান বাধা বৃষ্টি আর ধস
২২ সেপ্টেম্বর ২০১১ভূমিকম্প বিধ্বস্ত সিকিমে ত্রাণ ও উদ্ধারকাজে বিঘ্ন ঘটাচ্ছে দফায় দফায় বৃষ্টি৷ বৃষ্টির ফলে আবার ভূমিধস৷ স্থানীয় আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, মৌসুমি মেঘ হিমালয়ের পাদদেশ থেকে পুরোপুরি সরে যায়নি৷ভূমিকম্প পরবর্তী পরিস্থিতিতে বৃষ্টি হলে ধস নামে৷ রাস্তা পরিষ্কার না হওয়ায় গোটা উত্তর ও পশ্চিম সিকিমের বহু গ্রাম এখনো বিচ্ছিন্ন৷ বহু মানুষ সেখানে আটকা পড়ে আছে যার মধ্যে আছেন দেশিবিদেশি অনেক পর্যটক৷ বিমান থেকে খাবার প্যাকেট ও ওষুধপত্র নামিয়ে দেয়া হচ্ছে৷ গোদের ওপর বিষফোঁড়ার মত আজ উত্তর সিকিমে ভারত-চীন সীমান্তের কাছে লাচুং-এ হড়কা বানে মারা যায় একজন৷ আটকা পড়ে শখানেক লোক৷ কিছু ঘরবাড়ির ক্ষতি হয়৷
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি.চিদাম্বরম আজ সিকিমে ভূমিকম্প বিধ্বস্ত এলাকাগুলি আকাশপথে পরিদর্শন করেন৷ হাসপাতালে আহতদের দেখতে যান৷ রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন৷ পরে সিকিম প্রশাসন, পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে চলতি ত্রাণ ও উদ্ধার কাজ পর্যালোচনা করার পর তিনি রাজ্যের জন্য মাঝারি ও দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি রচনার কথা বলেন৷
এরমধ্যে আছে, চিকিৎসা সুবিধা, রাস্তা পরিষ্কার করে ভাঙা সড়ক মেরামত করে গ্রামের সঙ্গে যুক্ত করা, জল ও বিদ্যুৎ সংযোগ পুনরুদ্ধার করা, ৫/৬ হাজার দুর্গত পরিবার যারা ত্রাণ শিবিরে আছে তাদের খাদ্য ও অন্যান্য জরুরি সামগ্রী সরবরাহ করা ইত্যাদি৷ প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং নিউইয়র্কে জাতিসংঘের অধিবেশন থেকে ফিরে সিকিমে যাবেন বলে জানান তিনি৷
সিকিমের জনজীবন স্বাভাবিক করতে কেন্দ্রীয় সরকার সবরকম সাহায্য দেবে৷ প্রথম কিস্তি হিসেবে ৫০ কোটি টাকা সাহায্য দেবার কথা ঘোষণা করেন চিদাম্বরম৷
ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১৬ তারমধ্যে সিকিমে মৃত ৭৬৷
প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুনদিল্লি
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক