থাইল্যান্ডের উত্তর পূর্বাঞ্চলে একটি ডে কেয়ার সেন্টারে বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে দেশটির পুলিশ৷
বিজ্ঞাপন
বৃহস্পতিবারের এই ঘটনায় অন্তত ৩৬ জন মারা গেছেন বলে জানা গেছে৷ আততায়ী নিজেও আত্মহত্যা করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ৷
এখন পর্যন্ত যা জানা গেছে
বন্দুক হামলায় নিহতদের মধ্যে ২২ জনই শিশু বলে বিবৃতিতে জানিয়েছে পুলিশ৷ হামলাকারী একজন সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে তারা৷ পুলিশের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, নংবুয়া লাম্ফু প্রদেশের ন ক্লাং শহরে দুপুরের দিকে হামলার ঘটনাটি ঘটে৷ এরপর আততায়ী গুলি করে আত্মহত্যা করে৷
জার্মানির স্কুলে যত গোলাগুলি
জার্মানির স্কুলগুলোতে বেশ ক’বার বন্দুকধারীরা আক্রমণ করেছে৷ সর্বপ্রথম আঘাতটি এসেছিল ১৮৭১ সালে৷ এগুলোর মধ্যে বড় কয়েকটি ঘটনা তুলে ধরা হল৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Kulturhaus Walle
সারব্রুকেন, ১৮৭১
১৮২০ থেকে ১৮৯১ পর্যন্ত পশ্চিম জার্মানির সারব্র্যুকেনের এই চার্চটিতে একটি স্কুল ছিল৷ একবার ইউলিয়স বেকার নামের মানসিক বিকারগ্রস্ত এক ছাত্র বাজে গ্রেড পায় এবং এর ফলে স্কুল থেকে তাঁর বাবার কাছে একটি নোট যায়৷ এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ১৮৭১ সালের ২৫ মে সে দুই ছাত্রকে গুলি করে৷ ছেলে দু’টি গুরুতর আহত হলেও প্রাণে বেঁচে গিয়েছিল৷ বেকারকে কোর্ট কোনো সাজা দেয়নি৷ তবে তাঁর জীবন শেষ হয় একটি সংশোধন কেন্দ্রে৷
ছবি: Imago/W. Otto
ব্রেমেন, ১৯১৩
৩০ বছর বয়সি এক চাকুরিহীন শিক্ষক একবার এক স্কুলে গিয়ে এলোপাথাড়ি গুলি করে৷ তাতে সাত থেকে আট বছর বয়সি পাঁচটি মেয়ে শিশু মারা যায়৷ এই শেষকৃত্যটি সেই শিশুদের৷ ১৯১৩ সালের এই ঘটনায় আরো কয়েকজন শিশু ও কর্মচারী আহত হন৷ হাইনৎস শ্মিড্ট নামের সেই শিক্ষকের জীবনও শেষ হয় আশ্রমে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Kulturhaus Walle
কোলন, ১৯৬৪
১৯৬৪ সালের ১১ জুন৷ কোলনের ফল্কহোফেন ডিস্ট্রিক্টে ৪২ বছরের যুবক ওয়াল্টার এস একটি ক্যাথলিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে হাতবোমা নিক্ষেপ করে৷ এতে আটজন শিশু এবং দু’জন শিক্ষিকা মারাত্মকভাবে আহত হন৷ আরো বিশজন শিশু এবং দুই শিক্ষকের বিভিন্ন অংশ পুড়ে যায়৷ এস পরে বিষপানে আত্মহত্যা করে৷ তবে মারা যাবার আগে তিনি দাবি করেন যে কেউ তাঁকে মেরে ফেলতে চেয়েছিল, তাই তিনি এ কাজ করেছেন৷
ছবি: picture-alliance/AP Images/H. Sanden Jr.
এপস্টাইন, ১৯৮৩
এই আগ্নেয়াস্ত্রটি ব্যবহার করেছিলেন ৩৪ বছরের চেক শরণার্থী কারেল সি৷ তৎকালীন পশ্চিম জার্মানির এপস্টাইনে ফ্রাইহের-ফম-স্টাইন স্কুলে তিনি ১১-১২ বছরের তিনজন শিক্ষার্থী এবং একজন পুলিশ অফিসারকে মেরে ফেলেন৷ আরো ১৪ জন আহত হন৷ এরপর নিজেও আত্মহত্যা করেন৷ ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বলছে, তিনি মদ্যপ ছিলেন৷ কিন্তু কী কারণে ঘটনাটি ঘটিয়েছিলেন তা জানা যায়নি৷
ছবি: picture-alliance/dpa/J. Schmitt
অ্যারফুর্ট, ২০০২
জার্মানির ট্যুরিঙ্গিয়া রাজ্যের অ্যারফুর্টের ম্যাসাকারটি ঘটেছিল ২০০২ সালের ২৬ এপ্রিল৷ গুটেনবার্গ গিমনাসিয়ুমে ১৯ বছর বয়সি রবার্ট এস নামের এক স্কুল থেকে বহিষ্কৃত ছাত্র ১৩ কর্মচারী, দুই শিক্ষার্থী এবং একজন পুলিশ কর্মকর্তাকে গুলি করে মেরে ফেলেন৷ এক শিক্ষক তাকে কোনোরকমে শান্ত করতে সমর্থ হন এবং একটি ঘরে বন্ধ করে রাখেন৷ পরে ঐ ঘরে আত্মহত্যা করেন রবার্ট৷
ছবি: picture-alliance/dpa/M. Schutt
এমস্টেটেন, ২০০৬
এমস্টেটেনের গেশোয়েস্তার-শল স্কুলের এক প্রাক্তন ছাত্র সেবাস্টিয়ান বি৷ ১৮ বছর বয়সি এই তরুণ ২০০৬ সালের ২০ নভেম্বর হঠাৎ করেই বেশ কয়েকটি বন্দুক ও স্মোক বোমা নিয়ে স্কুলে আক্রমণ করেন৷ এতে ১২ থেকে ১৬ বছর বয়সি চার শিক্ষার্থী ও এক পরিচারক মারাত্মক আহত হন৷ এছাড়া আরো স্মোক বোমায়ও ক্ষতিগ্রস্ত হন এক শিক্ষক ও ১৬ জন পুলিশ সদস্য৷ পরে পুলিশ জানায় যে, তিনি প্রায়ই একটি হিংস্র ভিডিও গেম খেলতেন৷
ছবি: picture-alliance/ dpa
ভিনেন্দেন, ২০০৯
২০০৯ সালের ১১ মার্চ টিম কে নামের ভিনেন্দেন শহরের আলবার্টভিলে-রেয়ালশুলের এক সাবেক ছাত্র স্কুলে এসে মাতালের মতো গুলি ছুঁড়তে থাকেন৷ পিস্তলটি তিনি তার বাড়ি থেকে এনেছিলেন৷ তিনি ১৪ থেকে ১৬ বছর বয়সি নয় শিক্ষার্থী, যাদের আটজনই মেয়ে, এবং তিনজন নারী শিক্ষককে হত্যা করেন৷ পরে স্কুলের বাইরে গিয়েও তিনি এমন আচরণ শুরু করেন এবং আরো তিনজনকে হত্যা করেন৷ তারপর আত্মহত্যা করেন৷ কিন্তু তার এহেন মাতলামোর কারণ জানা যায়নি৷