1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

থাইল্যান্ডে সরকারবিরোধীদের নীপিড়ন

২৪ এপ্রিল ২০২০

করোনা সংকট মোকাবিলায় সরকারি পদক্ষেপের সমালোচকদের উপর থাইল্যান্ড কর্তৃপক্ষ কঠোর দমন-পীড়ন চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল৷

ছবি: picture-alliance/ZUMAPRESS/SOPA images/Y. Kongprasert

করোনা ভাইরাস নিয়ে সরকার ও রাজতন্ত্রের সমালোচনা করে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে পোস্ট দিলে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছে থাইল্যান্ড৷  বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল তাদের প্রতিবেদনে জানায়, প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুত চান-ও-চা'র প্রশাসন গত বছর সরকার গঠনের পর থেকে বিশেষ আইনে এ পর্যন্ত অনেক সমালোচকের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছে৷

অ্যামনেস্টির জ্যেষ্ঠ গবেষণা পরিচালক ক্লার অ্যালগার জানালেন, সরকারবিরোধীদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা রুখতেই একটা আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি করেছে থাইল্যান্ড সরকার৷ করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পর সমালোচকদের রুখতে একই ধরনের অস্ত্র ব্যবহার করছে, যা মানবাধিকার লঙ্ঘনের শামিল৷

প্রতিবেদনের শিরোনাম ‘দে আর অলওয়েজ ওয়াচিং’ অর্থাৎ তারা সবসময় সজাগ আছে৷ থাইল্যান্ডের মানবাধিকার কর্মী, সমাজ কর্মী, রাজনীতিবিদ, আইনজীবী, শিক্ষাবিদদের সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে তৈরি হয়েছে প্রতিবেদনটি৷ প্রত্যেকেই জানিয়েছেন, সরকার কীভাবে মত প্রকাশের স্বাধীনতার অধিকারকে অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করছে৷ যারাই সরকারের সমালোচনা করেছে তাদের বিরুদ্ধে এখন ফৌজদারি মামলা চলছে বলে জানান তারা৷ 

করোনা সংক্রমণের কারণে মার্চে জরুরি অবস্থা জারি করার পর থেকে বিরোধীদের উপর দমন-পীড়ন আরো বেড়েছে বলে জানিয়েছে অ্যামনেস্টি৷ যারাই সরকারের সমালোচনা করছে, তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভুয়া খবর ছড়াচ্ছে৷

অনলাইনে বিভ্রান্তিকর সংবাদ ও তথ্য পর্যবেক্ষণ করতে বর্তমান সরকার গত বছরের নভেম্বরে বেশ কয়েকটি ‘অ্যান্টি ফেক নিউজ সেন্টার' বা ‘ভুয়া সংবাদ-বিরোধী কেন্দ্র' স্থাপন করে৷

গত ২৬ শে মার্চ জরুরি পরিস্থিতিতে জন প্রশাসন সংক্রান্ত সরকার জরুরি ডিক্রি জারি করে৷ এর ফলে অনলাইনে যে-কোনো তথ্য মিথ্যা বা ভুল মনে হলে সেগুলো সেন্সর করা এবং তথ্য সংশোধন করার ক্ষমতা দেয়া হয়েছে সরকারি কর্মকর্তাদের উপর৷ এছাড়া যারা এই সমালোচনা করবে, তাদের দুই বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে৷

২০১৬ সালে ‘কম্পিউটার ক্রাইমস অ্যাক্ট' নামে একটি আইন হয়৷ এই আইনকে কাজে লাগিয়ে বিরোধী ও সরকার সমালোচকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে৷ থাই ক্রিমিনাল কোডের ১১৬ নম্বর ধারায় অপরাধ প্রমাণিত হলে সাত বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে৷  অ্যালগার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, শান্তিপূর্ণভাবে যারা সমালোচনা করছে, তাদের বিরুদ্ধে অপরাধ আইন প্রয়োগ এখনই বন্ধ করা উচিত৷ এছাড়া করোনা সংক্রমণ সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশে ‘মত প্রকাশের স্বাধীনতা'য় হস্তক্ষেপ করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি৷

এপিবি/এসিবি (এপি, এএফপি, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ