1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

থাইল্যান্ডে সামরিক শাসকের নিন্দায় এইচআরডাব্লিউ

২৮ নভেম্বর ২০১৪

থাইল্যান্ডে এখন ক্ষমতায় সামরিক শাসক৷ ছয়মাস আগে অভ্যুত্থান ঘটিয়ে প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন জেনারেল প্রায়ুথ চান-ওচা৷ তারপর থেকে দেশটির মানুষ মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, বলে মনে করছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বা এইচআরডাব্লিউ৷

Thailand Militärputsch Armeechef Prayuth Chan-Ocha mit Generäle
ছবি: imago

এক বিবৃতিতে সংস্থাটির এশিয়া পরিচালক ব্র্যাড অ্যাডামস বলেন, ‘‘সামরিক শাসনের অধীনে থাইল্যান্ডে মৌলিক অধিকার ও গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ একেবারে তলানিতে এসে ঠেকেছে৷ অভ্যুত্থানের ছয়মাস পর এখন সে দেশে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে, গণমাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হয়েছে এবং বিরোধীদের বিচারের মুখোমুখি করা হচ্ছে৷''

সামরিক শাসনের বিরোধিতা করতে থাইল্যান্ডের জনগণ ‘দ্য হাঙ্গার গেমস' চলচ্চিত্রতে দেখানো তিন আঙুলের ‘স্যালুট' চিহ্ন ব্যবহার করেন কিংবা জনসম্মুখে মুখের ওপর হাত রাখেন৷ অনেকে এভাবে ছবি তুলে ফেসবুকেও প্রকাশ করেন৷ তবে সামরিক শাসনের কারণে এরকম প্রতিবাদকারীদের দুবছরের কারাদণ্ড ভোগ করতে হতে পারে৷

অভ্যুত্থানের নেতা ও বর্তমানে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চান-ওচা সম্প্রতি ঘোষণা দিয়েছেন, সরকারের সমালোচনা করা অগ্রহণযোগ্য৷ একটি স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনের দাবি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘আমার কাছে গণতন্ত্র ও নির্বাচন চেও না৷ এটা ঠিক সময় নয়৷'' এরপর সামরিক শাসনের মেয়াদ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘যতদিন প্রয়োজন ততদিন বলবৎ থাকবে৷''

থাইল্যান্ডে রাজতন্ত্রকে কটাক্ষ করে কিছু বলা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ৷ দেশটির সামরিক সরকার বিরুদ্ধবাদীদের দমন করতে প্রায়ই এই আইন ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ এইচআরডাব্লিউ-র৷ এই আইন লঙ্ঘনের দায়ে সামরিক আইনে দু'জনের বিচার হয়েছে এবং সামরিক আদালত হওয়ার কারণে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা যাচ্ছে না৷

ক্ষমতায় গিয়ে সামরিক শাসক গণতন্ত্র, মানবাধিকার, বাক স্বাধীনতা ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আলোচনার সুযোগও বন্ধ করে দিয়েছে বলে অভিযোগ এইচআরডাব্লিউ-র৷

জেডএইচ/ডিজি (এইচআরডাব্লিউ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ