পর্যটকদের কাছে থাইল্যান্ডের হাতির আকর্ষণ কম নয়৷ কিন্তু মানুষের মনোরঞ্জন করতে গিয়ে হাতির জীবন প্রায়ই দুর্বিষহ হয়ে ওঠে৷ এক নারী অসহায় হাতির সুরক্ষার জন্য বিশাল কর্মযজ্ঞ শুরু করেছেন৷
বিজ্ঞাপন
পর্যটকদের কাছে থাইল্যান্ডের হাতির আকর্ষণ কম নয়৷ কিন্তু মানুষের মনোরঞ্জন করতে গিয়ে হাতির জীবন প্রায়ই দুর্বিষহ হয়ে ওঠে৷ এক নারী অসহায় হাতির সুরক্ষার জন্য বিশাল কর্মযজ্ঞ শুরু করেছেন৷
একবার তাকালেই লেক চাইলার্ট প্রত্যেকটি হাতিকে আলাদা করে চিনতে পারেন৷ তাঁর কাছে প্রায় ৮০টি হাতি রয়েছে৷ প্রত্যেকটি প্রাণী অনেক কষ্ট পেয়েছে৷ প্রাণীগুলির জীবনের সব ঘটনা তাঁর জানা আছে৷ যেমন কয়েক বছর আগে পর্যন্ত একটি হাতি কাছের এক রাইডিং ক্যাম্পে কাজ করতো৷ প্রতিদিন পর্যটকদের পিঠে নিয়ে ঘুরতে হতো৷ নির্দেশ অমান্য করলে মালিক বুলহুক দিয়ে ত্বক চিরে দিতো৷
প্রায় ২৫ বছর ধরে হাতির সুরক্ষার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন থাইল্যান্ডের এই অ্যাক্টিভিস্ট৷ নিজের ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে তিনি হাতির জীবনযাত্রার উন্নতির চেষ্টা করছেন৷ দানের অর্থ দিয়ে তিনি মারাত্মক নিপীড়নের শিকার হয়েছে, এমন হাতি কিনে নেন৷
হাতি সুরক্ষায় এক নারী
05:22
কাজে না লাগলে অবাঞ্ছিত
বেশিরভাগ হাতি কয়েক দশক ধরে মানুষ বহন করেছে অথবা মনোরঞ্জনের খোরাক হিসেবে কাজ করেছে৷ কিন্তু চাইলার্টের ‘এলিফ্যান্ট নেচার পার্ক’-এ সেই প্রাণীগুলিকে কাজ করতে অথবা শিকলে বন্দি থাকতে হয় না৷ অতিথিরা অর্থের বিনিময়ে শুধু হাতির দর্শন পেতে পারেন৷ চাইলার্ট বলেন, ‘‘মানুষ এসে আমাদের প্রকল্প দেখে যান৷ তাঁরা হাতিদের বিরক্ত করেন না, শুধু দেখেন৷ সেই অর্থ দিয়ে আমরা আরও হাতি উদ্ধার করতে পারি৷’’
একদিন লেক চাইলার্ট ও তাঁর টিম আবার হাতি উদ্ধার অভিযানে বেরিয়েছেন৷ এবার সংরক্ষণবাদীরা ব্যাংককের দক্ষিণ পশ্চিমে এক রাইডিং ক্যাম্প থেকে সাতটি হাতি তুলে চিয়াং মাই-এর কাছে সংরক্ষিত এলাকায় নিয়ে যাবেন৷ ক্যাম্পের মালিকরা নিজস্ব উদ্যোগে চাইলার্টের ফাউন্ডেশনের সঙ্গে যোগাযোগ করে সাহায্য চেয়েছেন৷ কারণ করোনা মহামারির কারণে আর প্রায় কোনো পর্যটক হাতির পিঠে ঘুরতে ক্যাম্পে আসছেন না৷
করোনা সংকটের কুপ্রভাব
পূ্র্ণবয়স্ক হাতির দাম সাধারণত ২০ লাখ বাট, অর্থাৎ ৫০,০০০ ইউরোর একটু বেশি৷ কিন্তু মহামারির কারণে এই প্রাণী মালিকের জন্য বোঝা হয়ে উঠছে৷ খোরাক ও দেখাশোনার জন্য তাঁদের মাসে প্রায় এক হাজার ইউরো ব্যয় হয়৷ চাইলার্টের ফাউন্ডেশনের কাছ থেকে হাতি-প্রতি কমপক্ষে ১০ লাখ বাট পেয়ে থানাপত কায়ার বেশ খুশি৷ তিনি বলেন, ‘‘মহামারির শুরু থেকে আমাদের অবস্থা কঠিন হয়ে পড়েছে৷ কয়েক মাসের জন্য আমাদের ক্যাম্প বন্ধ করে দিতে হয়েছে৷ কিন্তু খোলা থাক বা না থাক, হাতির দেখাশোনা তো করতেই হয়৷ প্রতিদিন খোরাকের ব্যবস্থাও করতে হয়৷ ১লা জুলাই ক্যাম্প খোলার অনুমতি পেলেও কোনো দর্শক আসে নি৷’’
প্রাণীরা কেন বেশি শুনতে পায়?
বিজ্ঞানিরা বলেন, বিবর্তনের ফলে মানুষের শ্রবণশক্তি কমেছে৷ আমরা হাতির মত খুব অল্প বা বাদুড়ের মত অতি উচ্চ কম্পাঙ্কের শব্দ শুনতে পাই না৷ অনেক প্রাণীর কানের নড়াচড়া শ্রবণক্ষমতা বাড়ানোর কৌশল৷ এভাবে তারা বিপদ থেকে বাঁচে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/P. Pleul
খরগোশ কান ঘোরাতে পারে ২৭০ ডিগ্রি
খরগোশেরা শব্দের দিকে তাদের কান ঘুরিয়ে নেয়৷ এতে করে তারা আক্রমণকারী প্রাণীর গতিবিধি বুঝতে পারে৷ আবার কানের নড়াচড়ার সঙ্গে তাদের মনোজগতও টের পাওয়া যায়৷ যেমন, তাদের দু’কান খাঁড়া মানে একেবারে মনোযোগ দিয়ে কিছু শুনছে৷ এক কান খাঁড়া ও এক কান শোয়ানো মানে শুনছে কিন্তু মনোযোগ নেই৷ পিঠের ওপর দু’কান পরস্পর স্পর্শ করে পড়ে থাকা মানে নিরুদ্বেগ সময় কাটানো, কিন্তু কান যদি পরস্পর স্পর্শ না করে, তার মানে ভয় পেয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/P. Pleul
বিড়াল ও কুকুর খুব মনোযোগী
মানুষের ক্ষমতার চেয়ে উচ্চ কম্পাঙ্কের শব্দ শুনতে পায় কুকুর৷ তারা মনিবের পায়ের শব্দ আলাদা করতে পারে৷ বিড়াল আরো বেশি সংবেদনশীল৷ কুকুরের যেখানে ১৮টি কানের পেশি আছে, বিড়ালের আছে ৩০টি৷ এমনকি তারা কান ১৮০ ডিগ্রি ঘোরাতে পারে৷ তাই চুপ করে বিড়ালের পিছু নেবেন? সম্ভব নয়৷
ছবি: picture-alliance/dpa/P. Faber
আলট্রাসনিক তরঙ্গদৈর্ঘ্য ব্যবহার করে বাদুড়
বাদুড় রাতে উড়ে বেড়ানোর সময় শব্দের প্রতিধ্বনি ব্যবহার করে৷ তাদের মুখ থেকে আলট্রাসনিক তরঙ্গদৈর্ঘ্য বের হয় এবং তা সামনে কোন বস্তুর ওপর লেগে তা তাদের কানে ফেরত আসে৷ এতে বস্তুর অবস্থান ও আকার টের পায় তারা৷ বাদুড়ের কানে ২০টি পেশি আছে৷ এগুলো ব্যবহার করে তারা শব্দের প্রতিধ্বনির সূক্ষ্মতা যাচাই করে৷
ছবি: picture-alliance/Mary Evans Picture Library/J. Daniel
যার কান নেই, সেই শোনে সবচেয়ে ভালো
তুলনামূলক বড় আকারের এই মথগুলোর কান খুঁজে পাওয়া দুষ্কর৷ কিন্তু এর শুনতে পাবার ক্ষমতা প্রাণীকূলে সেরা৷ তারা মানুষের চেয়ে দেড়শ’ গুণ ভাল শোনে৷ আর বাদুড়ের চেয়ে ১০০ হার্ৎস বেশি শুনতে পায় এই মথগুলো৷
গুবরে, ঝিঁঝিঁ বা মথ পোকাগুলোর আলট্রাসাউন্ড সংবেদনশীল শ্রবণক্ষমতা রয়েছে৷ এরা তাদের শিকারীদের শুনতে পায়৷ তখন শত্রুর হাত থেকে বাঁচতে এরা আঁকাবাঁকা দৌঁড়ে পালায় বা গোলগোল করে উড়ে৷ কোন কোনটি ভয় দেখাতে নানান শব্দও তৈরি করে৷
ছবি: picture-alliance/AP Images/J. Schultz
চোয়াল দিয়ে শোনে ডলফিন
শুনতে হলে সবসময় কানের প্রয়োজন নেই৷ এর প্রমাণ ডলফিন৷ তারা বাদুড় ও তিমি মাছের মত পানির নীচে শব্দ তৈরি করে অপর বস্তু বা প্রাণীর অবস্থান ও আকার নির্ধারণ করে৷ কিন্তু সেই তথ্য সংগ্রহ করে চোয়াল ও দাঁত দিয়ে৷
ছবি: picture-alliance/WILDLIFE/W. Peolzer
হাতি বজ্রধ্বনি টের পায়!
বিরাট কান দিয়ে হাতি বৃষ্টির আগেই মেঘের হালকা গর্জন টের পায়, যা মানুষের কান শুনতে পায় না৷ এগুলো নিম্ন কম্পাঙ্কের বা ইনফ্রাসাউন্ড তরঙ্গদৈর্ঘ্যের শব্দ৷ তাদের পায়ের স্নায়ুকোষ দিয়ে তারা মাটির নীচের কম্পন ও শব্দ টের পায়৷
ছবি: picture-alliance/M. Reichelt
প্যাঁচা: প্রকৃতির ‘সার্ভেইলেন্স’ ক্যামেরা
প্যাঁচা শুধু রাতে দেখতেই পায়না, মাথাও ৩৬০ ডিগ্রি ঘোরাতে পারে৷ তাদের অসাধারণ শ্রবণক্ষমতাও আছে৷ তাদের দুই কান একরকম নয়৷ প্যাঁচা যখন উড়ে, তখন এক কান দিয়ে ওপরের শব্দ ও এক কান দিয়ে নীচেরটা শুনতে পায়৷ এতে তাদের শিকার করতে সুবিধা হয়৷
ছবি: DW
8 ছবি1 | 8
রওয়ানা হবার আগে প্রত্যেকটি হাতিকে বাঁশের তৈরি খাঁচায় প্ল্যাটফর্মের উপর ভালো করে দাঁড় করাতে হয়৷ হাতি ও উদ্ধারকারীদের প্রায় ৮০০ কিলোমিটার পাড়ি দিতে হবে৷ এই টিম এর আগে কখনো এত হাতি নিয়ে এত লম্বা পথ পাড়ি দেয় নি৷ দুপুরের দিকে সারিবদ্ধ যানগুলি যাত্রা শুরু করলো৷ যাত্রা শুরুর আধ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে যানগুলিকে থামতো হলো৷ কারণ একটি হাতি ট্রাকের খাঁচার মধ্যে তাণ্ডব চালিয়েছে৷ তাই বড় আকারে মেরিমতির কাজ করতে হবে৷ লেক চাইলার্ট বলেন, ‘‘বেশ কিছু হাতি নার্ভাস হয়ে পড়েছে৷ যাত্রার সময় বার বার এমনটা হয়৷ হাতি ভাঙচুর শুরু করে৷ কাঠামো ভেঙে রাজপথের উপর ফেলে দেয়৷ সেই অবস্থায় চালিয়ে গেলে হাতি ট্রাক উলটে দিতে পারে৷
প্রায় ২০ ঘণ্টার যাত্রার পর দিন সকালে কনভয় চিয়াং মাই শহরের উত্তরে ‘এলিফ্যান্ট নেচার পার্ক’-এ পৌঁছেছে৷ গোটা দল ক্লান্ত হয়ে পড়েছে৷ লেক চাইলার্টের প্রায় একেবারেই ঘুম হয় নি৷ কিন্তু কোনো কিছুই তাঁর মনমেজাজ নষ্ট করতে পারে না৷ তিনি বলেন, ‘‘উচ্ছাস ও আনন্দ হচ্ছে৷ কারণ যাত্রা ছিল দুশ্চিন্তায় ভরা, হাতিগুলি বেশ রেগে ছিল৷ অবশেষে পৌঁছতে পারায় নিশ্চিন্ত লাগছে৷’’
খাঁচার খুঁটিগুলি সরানোর পর হাতিগুলি সতর্কতার সঙ্গে নতুন জীবনে পা রাখতে পারছে৷ রোগের সংক্রমণ এড়াতে নতুন অতিথিদের দুই সপ্তাহের জন্য বাকি হাতির পাল থেকে বিচ্ছিন্ন রাখতে হবে৷
উদ্ধারকারীরা দড়ি ও শিকল সরিয়ে হাতিগুলিকে মুক্ত করলেন৷
লেক চাইলার্ট একশোরও বেশি হাতির জন্য নতুন আবাসনের ব্যবস্থা করেছেন৷ সেখানে হাতিগুলিকে জোর করে কোনো কাজ করতে হয় না, হাতি হিসেবেই স্বাভাবিক জীবন কাটানোর সুযোগ পাওয়া যায়৷
নুয়র/নুশ/এসবি
হাতির পিঠে না চড়াই ভালো
একটি আন্তর্জাতিক পশু অধিকার সংস্থা বলছে, পর্যটকরা যে নানা দেশে হাতির পিঠে চড়ে আনন্দ করেন, তার মাধ্যমে আসলে প্রকারান্তরে হাতিদের ওপর ভয়ংকর নিপীড়নকেই উৎসাহিত করা হয়৷ তাই সবাইকে হাতির পিঠে চড়তে নিরুৎসাহিত করেছেন তারা৷
ছবি: Jennifer Pastorini/Centre for Conservation and Research Sri Lanka
হাতিদের নিয়তি
লন্ডনভিত্তিক ‘ওয়ার্ল্ড অ্যানিমেল প্রোটেকশন’ (ডাব্লিউএপি) এশিয়ার কয়েকটি দেশ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে হাতিদের কাজ করতে বাধ্য করার প্রমাণ পেয়েছে৷ তাদের এক সমীক্ষার তথ্য প্রকাশ করে ডাব্লিউএপি জানিয়েছে, এশিয়ার অনেক দেশে, বিশেষ করে পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয় কিছু স্থানে প্রতি চারটি হাতির মধ্যে তিনটিকেই নির্যাতন করে নানা ধরনের কাজ করতে বাধ্য করা হয়৷
ছবি: Picture alliance/dpaepa/H. H. Young
দুঃসহ যন্ত্রণা
ডাব্লিউএপি জানাচ্ছে, থাইল্যান্ড, লাওস, কম্বোডিয়া, নেপাল, শ্রীলঙ্কা এবং ভারতে বুনো হাতিদের ওপর ভয়াবহ নির্যাতন চালানো হয়৷ মূলত নির্যাতন করেই বশ করা হয় তাদের৷ এশিয়ায় হাতি কমছে৷ তবে এখনো এ অঞ্চলে ৫০ হাজারের মতো হাতি আছে বলে জানিয়েছে ডাব্লিউএপি৷
ছবি: Getty Images/AFP/N. Celis
হাতিশিশু নির্যাতন
বশ করার কাজটা সাধারণত শুরু করা হয় হাতিদের একেবারে শৈশব থেকে৷ শিশু হাতিকে প্রথমে মায়ের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করা হয়৷ কয়েক সপ্তাহ বন্দি রাখা হয় তাকে৷ বন্দিদশায় অনেক ধরনের নির্যাতনও সইতে হয় হাতিশিশুকে৷ সার্কাস বা অন্য কাজের জন্য ভবিষ্যতে যা যা তাকে করতে হবে, সেগুলো রপ্ত করতে দেরি হলে পিটুনি তো চলেই, কোথাও কোথাও নাকি ছুরিও চালানো হয় শিশুদেহে৷
থাইল্যান্ড, লাওস, কম্বোডিয়া, নেপাল, শ্রীলঙ্কা এবং ভারতের মোট ২২০টি পর্যটন কেন্দ্রের তিন হাজার হাতির অবস্থা দেখে ডাব্লিউএপি জানিয়েছে, হাতিগুলোকে অনেকক্ষেত্রে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয়৷ খুব কম ক্ষেত্রেই পর্যাপ্ত এবং উপযুক্ত খাবার দেয়া হয় বলে অপুষ্টিতেও ভোগে হাতিরা৷
ছবি: picture-alliance/dpa/J. S. Peifer
কালোবাজারে হাতি
মধ্য ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর বেশ কিছু ওয়াইল্ড লাইফ টুরিজম সেন্টারে গিয়েও হাতিদের দুরবস্থা দেখেছে ডাব্লিউএপি৷ দেখা গেছে, সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর সরকারের হাতি সংরক্ষন কর্মসূচির ফাঁক গলে কালো বাজারে হাতি ক্রয়-বিক্রয়ও চলছে দেদার৷ মানুষের হাতির পিঠে চড়ার শখের শিকার করতে থাইল্যান্ডে একটা বাচ্চা হাতি নাকি ২৫ হাজার ডলারেও বিক্রি করা হয়৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Y. Kochetkov
হাতি শুধুই আয়ের উৎস
থাইল্যান্ডে পোষা হাতি আছে ৪ হাজারের মতো৷ প্রায় সব হাতিই পর্যটকদের বিনোদনে নিয়োজিত৷ এর বাইরে প্রায় আড়াই হাজার বুনো হাতিকেও মানুষের কাজ করতে বাধ্য করা হচ্ছে৷ এশিয়ার আরেক দেশ মিয়ানমারেও বিপুল সংখ্যক হাতিকে ‘কর্মজীবী’ হতে বাধ্য করা হয়৷ সে দেশে সরকারি হিসেবেই ২৮৫০টি হাতি বনাঞ্চলে গাছ বহন করে জীবিকা নির্বাহ করে৷
ছবি: Jennifer Pastorini/Centre for Conservation and Research Sri Lanka
পর্যটনই শত্রু?
এশিয়ার হাতিদের সবচেয়ে বেশি দুর্দশা পর্যটন শিল্পে৷ থাইল্যান্ড সরকারের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, সে দেশে পর্যটকদের শতকরা অন্তত ৪০ ভাগই নাকি হাতির পিঠে চড়তে না পারলে ভ্রমণসুখ যথার্থ হয়েছে বলে মনে করেন না৷ হাতিনিপীড়ন কমাতে পর্যটকদের তাই হাতির পিঠে চড়তে নিরুৎসাহিত করছে ডাব্লিউএপি৷