1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

থানায় মৃত্যু, পুলিশের বক্তব্যে মানবাধিকার সংস্থার সন্দেহ

২৯ ডিসেম্বর ২০২৩

হবিগঞ্জের বানিয়াচং থানা হেফাজতে চোর সন্দেহে আটক এক ব্যক্তির ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে৷ এ ঘটনায় পুলিশের বক্তব্য ‘বিশ্বাসযোগ্য নয়’ বলে মনে করছে মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ)৷

জেলের প্রতীকী ছবি
(প্রতীকী ছবি) পুলিশের দাবি, হাজতের ফ্যানের সঙ্গে বেল্ট ও গেঞ্জি গলায় বেঁধে রাব্বানী আত্মহত্যা করেছেনছবি: Getty Images/AFP/M. Abed

বৃহস্পতিবার  (২৮  ডিসেম্বর) এক  বিবৃতিতে এ ঘটনায় ক্ষোভ ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ)৷

মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) বিকেলে বানিয়াচং উপজেলার বড়বাজার এলাকা থেকে কয়েকটি চুরির মামলায় গোলাম রাব্বানী নামের এক যুবককে আটক করে পুলিশ৷ একইদিন সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ বানিয়াচং থানার একটি কক্ষে তার ঝুলন্ত মরদেহ পাওয়া যায়৷ 

পুলিশ দাবি করে, থানায় নিজের গেঞ্জি আর বেল্ট ব্যবহার করে ঘরের সিলিং ফ্যানে ঝুলে আত্মহত্যা করেছেন রাব্বানী৷

তবে গোলাম রাব্বানীর স্বজনদের অভিযোগ, রাব্বানীকে থানায় নিয়ে নির্যাতন করে হত্যা করেছে পুলিশ৷ তাদের মতে যদি ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যাই করে থাকেন রাব্বানী তাহলে তার শরীরে যে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন, সেগুলো থাকার কথা না৷ 

হবিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পলাশ রঞ্জন দে বলেন, ‘‘পরিবারের পক্ষ থেকে যে দাবি করা হচ্ছে, বিষয়টি আদৌ সত্য নয়৷ আর এই ঘটনার পিছনে যদি কারও দোষ ত্রুটি থেকে থাকে, দায় দায়িত্ব নিরূপণ করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে৷''

বানিয়াচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেনের ভাষ্য, এশার নামাজের সময় থানা হাজতে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান তারা৷ তাৎক্ষণিক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন৷

পুলিশের দাবি, তাদের অগোচরে হাজতের ফ্যানের সঙ্গে পরনের বেল্ট ও গেঞ্জি গলায় বেঁধে ঝুলে রাব্বানী আত্মহত্যা করেছেন৷

উপজেলার স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শামীমা আক্তার জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে রাব্বানীকে হাসপাতালে নিয়ে আসে পুলিশ৷ হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়৷

মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন বলছে, চুরির মামলায় গোলাম রাব্বানীকে ২৬ ডিসেম্বর পুলিশ গ্রেপ্তার করে৷ থানা কর্তৃপক্ষ এ ঘটনার যে বর্ণনা দিয়েছে, তা বিশ্বাসযোগ্য নয়৷ থানার হাজতখানায় সবসময় লোকজন বা পাহারাদার থাকে৷ সেখানে পরনের বেল্ট ও গেঞ্জি গলায় বেঁধে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করা একেবারেই অসম্ভব৷

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, থানা হাজতখানায় সাধারণত ফ্যান থাকে না৷ আর থাকলেও তা বেশ উঁচুতে এবং কোনো কিছুর সাহায্য ছাড়া সেটার কাছে পৌঁছানো সম্ভব নয়৷ এরপরও হাজতখানার ভেতরে বা বাইরে লোকজন থাকবে না এটা মেনে নেওয়া যায় না৷ থানা কর্তৃপক্ষ যে ব্যাখ্যা দিয়েছে তা কোনোভাবেই বিশ্বাসযোগ্য নয়৷

সংগঠনটি থানা কর্তৃপক্ষের এ ঘটনার ব্যাখ্যা প্রত্যাখ্যান করে রাব্বানীর মরদেহের সুষ্ঠু ময়নাতদন্ত করে তা প্রকাশের দাবি করছে৷ সেইসঙ্গে দ্রুত এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত নিশ্চিত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছে৷

এসএইচ /এসিবি (দ্য ডেইলি স্টার)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ