1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

থামছে না শ্রমিক বিক্ষোভ

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৩

বেতন বাড়ানোর দাবিতে শ্রমিক বিক্ষোভের মুখে আবারো বিপর্যয়ের মুখে পড়তে যাচ্ছে বাংলাদেশের পোশাক শিল্প৷ এ নিয়ে সরকার, মালিক এবং শ্রমিক পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় বৈঠক হলেও ক্ষোভ কমার কোন লক্ষণ নেই৷

Bangladeshi social activists shout slogans in Dhaka on September 17, 2013, after a verdict was delivered against Abdul Quader Molla, the fourth-highest leader of the Jamaat-e-Islami party. Bangladesh's top court sentenced to death a senior Islamist opposition official for murder during the 1971 liberation war against Pakistan. Abdul Quader Molla is the first politician to be found guilty by the country's Supreme Court after it rejected an appeal to acquit him of all charges. AFP PHOTO/Munir uz ZAMAN (Photo credit should read MUNIR UZ ZAMAN/AFP/Getty Images)
ছবি: Munir Uz Zaman/AFP/Getty Images

বেতন বাড়ানোর দাবিতে বুধবারও গাজীপুর, আশুলিয়ার জিরানী ও নারায়ণগঞ্জে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন পোশাক শ্রমিকরা৷ সে সময় পুলিশ বাধা দিলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে৷ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে টিয়ারসেল নিক্ষেপ ও লাঠিচার্জ করে পুলিশ৷ এতে জিরানীর চন্দ্রা-নবীনগর সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়৷ একই দাবিতে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কও অবরোধ করে তারা৷ আর নারায়ণগঞ্জে পুলিশ-শ্রমিক সংঘর্ষে ৩০ জন আহত হয়৷ বিক্ষোভরত শ্রমিকরা তাদের ন্যূনতম মজুরি ৮,০০০ টাকা দাবি করেন৷ তাঁরা বলেন, এর নীচে হলে তাদের জন্য জীবনধারণ অসম্ভব৷ ২০১০ সালে সর্বশেষ ন্যূনতম মজুরি ধার্য করা হয় ৩,০০০ টাকা৷ আর নতুন মজুরি বোর্ড গঠন করার পর মজুরি মাত্র ৬০০ টাকা বাড়িয়ে ৩,৬০০ টাকার প্রস্তাব করেছে মালিকপক্ষ৷

এদিকে শ্রমিকদের টানা বিক্ষোভের ফলে প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও পোশাক কারখানা বন্ধ থাকছে৷ কোথাও কোথাও অসন্তোষের আশঙ্কায় মালিকরা পোশাক কারখানা বন্ধ রাখছেন৷ ফলে উত্‍পাদন ব্যাহত হচ্ছে বলে ডয়চে ভেলেকে জানান বিজিএমইএ-র সহ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান৷ তিনি বলেন, এই পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে পোশাক খাতে বিপর্যয় নেমে আসবে৷ তাঁর কথা, মালিক পক্ষ ৬০০ টাকা বেতন বাড়ানোর যে প্রস্তাব করেছে, তা প্রস্তাব মাত্র৷ চূড়ান্ত কোন সিদ্ধান্ত হওয়ার আগে এ নিয়ে বিক্ষোভ বা উত্তেজনা কাম্য নয়৷

বিক্ষোভরত শ্রমিকরা তাদের ন্যূনতম মজুরি ৮,০০০ টাকা দাবি করেনছবি: Imago/Xinhua

তবে বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক সিরাজুল ইসলাম ডয়চে ভেলেকে বলেন, মালিকদের অযৌক্তিক আচরণের কারণেই এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে৷ তিনি ডয়চে ভেলেকে আরও বলেন, শ্রমিকদের পক্ষ থেকে ন্যূনতম বেতন প্রস্তাব করা হয়েছে ৮,১১৪ টাকা৷ তাঁদের এই প্রস্তাব যে যৌক্তিক তা সিপিডি-র রিপোর্টেই প্রমাণিত হয়েছে৷ সিপিডি গবেষণা করে দেখিয়েছে পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম বেতন হওয়া উচিত ৮,২০০ টাকা৷

সিপিডি-র অর্থনীতিবিদ এবং গবেষক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম ডয়চে ভেলেকে বলেন, তাঁদের প্রস্তাব হল – প্রথম বছরে ন্যূনতম মজুরি ৬,৫৬০ টাকা দেয়া হবে৷ মূল বেতন ৪,৩০০ টাকা, বাড়ি ভাড়া ১,৭২০ টাকা এবং চিকিত্‍সা ভাতা ৫৬০ টাকা৷ দ্বিতীয় অথবা তৃতীয় বছরে এটা বেড়ে মোট ৮,২০০ টাকার প্রস্তাব রেখেছেন তাঁরা৷

তিনি আরও বলেন, শ্রমিক অসন্তোষ থামাতে হলে মালিকদের ৬০০ টাকা বেতন বাড়ানোর প্রস্তাব প্রত্যাহার করে যৌক্তিকভাবে বেতন বাড়ানোর ঘোষণা দেয়া উচিত৷ সরকারের উচিত মজুরি বোর্ডকে দিয়ে একইভাবে একটি ঘোষণা দেয়ানো৷ আর ২১শে অক্টোবর ন্যূনতম মজুরি চূড়ান্ত করা হবে৷ কিন্তু মজুরি বোর্ডের উচিত, আরো আগে যত দ্রুত সম্ভব ন্যূনতম মজুরি চূড়ান্ত করা৷ নয়তো শ্রমিক বিক্ষোভ থামানো কঠিন হবে বলে মনে করেন তিনি৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ