1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

থ্রিডি প্রিন্টারে সেতু তৈরি!

লার্স শলটুসুক/এসবি২৮ ডিসেম্বর ২০১৫

বাড়িঘর, সেতু থেকে শুরু করে যে কোনো নির্মাণ কাজই জটিলতায় ভরা৷ ভবিষ্যতে থ্রিডি প্রিন্টিং প্রযুক্তি হয়ত এই সব কাজ আরও সহজে ও দ্রুত সেরে ফেলতে পারবে৷ একাধিক সংস্থা এখনই তার তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছে৷

Niederlande 3D-Drucker MX3D
ছবি: MX3D

থ্রিডি প্রিন্টারে আস্ত সেতু

04:07

This browser does not support the video element.

এ যেন বাতাসে তুলি চালানো! শুধু তুলির জায়গায় অত্যন্ত শক্ত ইস্পাত৷ নেদারল্যান্ডস-এর স্টার্ট আপ কোম্পানি এমএক্সথ্রিডি থ্রিডি প্রিন্টিং-এর বাজারে বিপ্লব এনে দিচ্ছে৷ তাদের প্রযুক্তির সাহায্যে ধাতু দিয়ে জটিল কাঠামো তৈরি সম্ভব হচ্ছে৷ কোম্পানির প্রতিনিধি টিম খোয়ের্টইয়েন্স বলেন, ‘‘আমরা যেভাবে রোবট ব্যবহার করি, কেউ তা করে না৷ গাড়ি বা অন্যান্য শিল্পে ইঞ্জিনিয়াররা একই কাজের পুনরাবৃত্তির জন্য রোবটদের প্রোগ্রামিং-এর পেছনে অনেক সময় ব্যয় করেন৷ আমরা অন্য পথ বেছে নিয়েছি৷ অর্থাৎ রোবটকে সর্বদা নতুন তথ্য দিয়ে চলেছি৷ ফলে রোবট প্রিন্টিং-এর প্রতিটি তথ্য তার আগেরগুলি থেকে ভিন্ন৷''

গোটা ব্যবস্থার মূলে রয়েছে একটি রোবটিক হাত, যাতে ৬টি ভাঁজ রয়েছে৷ প্রিন্টহেড-টি অনেকটা ওয়েল্ডিং টর্চ-এর মতো কাজ করে৷ ১,৫০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত উত্তাপ সহ্য করতে পারে সেটি৷ প্রায় যে কোনো সারফেসের উপর ধাতুর বস্তু তৈরি করা সম্ভব৷ উপর-নীচ অথবা পাশাপাশি সেই কাজ করা চলে৷ খোয়ের্টইয়েন্স বলেন, ‘‘শিল্পের নানা কাজে এটা ব্যবহার করা যায়৷ ইস্পাত দিয়ে যাই তৈরি করুন না কেন, আলাদা অংশ দিয়ে তা করলে অত্যন্ত জটিল ও ব্যয়বহুল হয়ে ওঠে৷ প্রতিবার আলাদা করে ছাঁচ তৈরি করতে হয়৷ আমরা কিন্তু প্রায় যে কোনো আকার-আয়তন প্রিন্ট করতে পারি৷''

এর মধ্যেই এই প্রযুক্তির প্রয়োগ শুরু হয়ে গেছে৷ যেমন স্টেনলেস স্টিল দিয়ে তৈরি পথচারীদের সেতু৷ কোম্পানির সদর দপ্তর আমস্টারডাম শহরের কেন্দ্রস্থলে এটি বসানো হবে৷ শহরের প্রায় ২০০টি খালের উপর ১,২০০-রও বেশি সেতু রয়েছে৷ নতুন সেতুটি একেবারে খালপাড়েই থ্রিডি প্রিন্টিং পদ্ধতিতে তৈরি হবে৷ টিম খোয়ের্টইয়েন্স বলেন, ‘‘আমাদের আর কোনো জ্যামিতিক বাধ্যবাধকতা মানতে হয় না৷ রোবট ব্যবহারের ফলে আমরা তৈরি কাঠামো থেকেই প্রিন্ট করতে পারি৷''

এমন ত্রিমাত্রিক স্থাপত্য প্রিন্ট করার বিষয়টি সুইজারল্যান্ডের জুরিখ শহরের প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়েও গুরুত্ব পাচ্ছে৷ সেখানে অবশ্য আরও হালকা বস্তু নিয়ে কাজ চলছে৷ কৃত্রিম স্যান্ডস্টোন দিয়ে কম্পিউটার জটিল ডিজাইন তৈরি করছে৷ বিশেষ অ্যালগোরিদমের সাহায্যে প্রতিটি অংশ আলাদা করে মাপা হচ্ছে৷ ‘ডিজিটাল গ্রোটেস্ক' ওয়েবসাইটের মিশায়েল হান্সমায়ার বলেন, ‘‘আধুনিক যুগের আগেও এমন জটিল স্থাপত্য ছিল৷ গির্জার বিভিন্ন শৈলিতেই তা দেখা যায়৷ তবে তখন নির্মাণকাজের জন্য অনেক সময় লাগতো৷ অনেক বছরের পরিশ্রমের পর পাথর কেটে এমন অংশ তৈরি করা যেত৷''

জুরিখের থ্রিডি প্রিন্টার দুই দিনেই সূক্ষ্ম বালু দিয়ে একের পর এক স্তর তৈরি করে৷ বিশেষ ধরনের আঠা সেই স্তরকে কৃত্রিম পাথরে পরিণত করে৷ প্রত্যেকটি খুঁটিনাটি ডিজাইন আলাদা করে স্থির করা সম্ভব৷

এক্ষেত্রে বিশেষ আধারের মধ্যেই প্রিন্টিং-এর কাজ চলে৷ তবে আমস্টারডামের রোবটদের সেই বাধ্যবাধকতা নেই৷ আরও জায়গার খাতিরে কোম্পানি শহরের উপকণ্ঠে এক গুদামঘরে চলে যাচ্ছে৷ এমএক্সথ্রিডি কোম্পানির টিম খোয়ের্টইয়েন্স বলেন, ‘‘আমরা সেতু দিয়ে কাজ শুরু করছি৷ প্রথমে ছোট সেতু, কারণ আমাদের আরও উন্নতি করতে হবে৷ পরে দেখতে হবে, আর কী করা যায়৷ হয়ত নতুন ও আরও বড় সেতু৷ নির্মাণের অন্যান্য কাজও হবে৷ এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে হয়তো একদিন গোটা বাড়ি তৈরি করা সম্ভব হবে৷''

২০১৭ সালের শুরুতে আমস্টারডাম শহরের কেন্দ্রস্থলে সেতু প্রিন্টিং শুরু হওয়ার কথা৷ প্রয়োজনীয় সব অনুমতি জোগাড় করতে ততদিন সময় লাগবে৷ কোম্পানির রোবটরা এই সময়কালে অনুশীলনের সুযোগ পাবে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ