তারা দক্ষিণ আফ্রিকার তরুণ সমাজ৷ যাদের বলা হয় ‘বর্ন ফ্রি’ প্রজন্ম৷ দক্ষিণ আফ্রিকাকে বর্ণবাদহীন দেশ হিসাবে চেনে তারা৷ নেলসন ম্যান্ডেলার পথ ধরে একটি মুক্ত ও বৈষম্যহীন সমাজ দেখতে চায় এই তরুণরা৷
বিজ্ঞাপন
দক্ষিণ আফ্রিকার অধিবাসীদের এক চতুর্থাংশ ১৫ থেকে ২৪ বছর বয়সি তরুণ৷ অন্যান্য দেশের তরুণদের সঙ্গে তাদের বেশ পার্থক্য রয়েছে৷ তারা ‘বর্ন ফ্রি' প্রজন্ম৷ ১৯৯০-এ দক্ষিণ আফ্রিকার রাষ্ট্রনায়ক নেলসন ম্যান্ডেলা সগর্বে হাত উঁচু করে কারাগার থেকে বের হয়ে আসেন৷ ভেঙে পড়ে জাতিভেদ প্রথা৷ অন্য এক দক্ষিণ আফ্রিকার সৃষ্টি হয়৷ এই মুক্ত সমাজে জন্ম হয় নতুন প্রজন্মের৷
নিজেরাই সিদ্ধান্ত নিতে পারে
‘‘আমরা মুক্ত দেশে জন্ম গ্রহণ করেছি৷ আমরা কী করবো না করবো, তা নিজেরাই ঠিক করতে পারি৷'' বলেন ২০ বছর বয়সি কৃষ্ণাঙ্গ তরুণী টিফানি সিমা৷ কানে তার সোনালি দুল, মাথায় লম্বা বেণি৷ জোহানেসবুর্গ ইউনিভার্সিটিতে পরিবেশ ব্যবস্থাপনা নিয়ে পড়াশোনা করছেন তিনি৷ জোহানেসবার্গের শ্বেতাঙ্গ অধ্যুষিত এলাকা থেকে এসেছেন তিনি৷ মা পরিচারিকা থেকে ম্যানেজার হয়েছেন৷ টিফানির কাছে অনুকরণীয় এক দৃষ্টান্ত৷ মা শিক্ষাকে কাজে লাগিয়ে ভাল কিছু করার উপদেশ দিয়েছেন মেয়েকে৷ বড় চার ভাই টিফানির শিক্ষার ব্যাপারে আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন৷
নেলসন ম্যান্ডেলা: স্বাধীনতার কণ্ঠ
নেলসন ম্যান্ডেলার হাসিমাখা এই মুখের কথা দক্ষিণ আফ্রিকার বেশিরভাগ মানুষেরই মনে থাকবে৷ যাঁকে সবাই ভালোবেসে ‘মাদিবা’ নামেই ডাকতেন৷
ছবি: Getty Images
প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণ
১৯৯৪ সালের ১০ মে নতুন ইতিহাসের জন্ম হয়৷ গণতান্ত্রিক নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন৷ ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত তিনি প্রেসিডেন্ট ছিলেন৷
ছবি: AP
গান্ধী থেকে অনুপ্রেরণা
অহিংস আন্দোলনের নেতা মহাত্মা গান্ধীর জীবন একসময় নেলসন ম্যান্ডেলার জন্য বড় প্রেরণার উৎস হয়ে উঠেছিল৷ তাইতো ২৭ বছরের কারাজীবন শেষে যখন তিনি বাইরে বেরিয়ে আসেন তখন ম্যান্ডেলা সশস্ত্র সংগ্রাম ছেড়ে অহিংস আন্দোলনকেই বেছে নিয়েছিলেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/AP/DW
যুগান্তকারী এক পরিবর্তন
নেলসন ম্যান্ডেলার হাসিমাখা এই মুখের কথা দক্ষিণ আফ্রিকার বেশিরভাগ মানুষেরই মনে থাকবে৷ যাঁকে সবাই ভালোবেসে ‘মাদিবা’ নামেই ডাকতেন৷ আর যাঁর অবদান বিশ্বের ইতিহাসে এনে দিয়েছে যুগান্তকারী এক পরিবর্তন৷ ম্যান্ডেলা তাঁর জীবনের প্রায় তিন দশক কাটিয়েছেন কারাগারে৷
ছবি: Reuters/Mark Wessels
প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ আইনজীবী
১৯১৮ সালের ১৮ জুলাই দক্ষিণ আফ্রিকার কেপ প্রদেশে জন্ম নেন নেলসন রোলিলালা ম্যান্ডেলা৷ উচ্চ মাধ্যমিক শেষ করার পর তিনি আইন পড়ার সিদ্ধান্ত নেন৷ ছাত্র হিসেবে রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন তিনি, বিশেষ করে বর্ণবিদ্বেষের বিরুদ্ধে শিক্ষাজীবন থেকেই সংগ্রাম চালিয়েছেন ম্যান্ডেলা৷ ১৯৫২ সালে তিনি জোহানেসবার্গে অলিভার টাম্বোকে সঙ্গে নিয়ে প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ আইনচর্চা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেন৷
ছবি: AP
বর্ণবিদ্বেষ
বর্ণবিদ্বেষ – সোজা কথায় বললে কৃষ্ণাঙ্গ এবং শেতাঙ্গদের মধ্যকার মৌলিক বিভাজন – শিশু এবং তরুণকালে ম্যান্ডেলার উপর ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে৷ ফলে দক্ষিণ আফ্রিকায় বর্ণবিদ্বেষের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে ওঠেন তিনি৷ কোসা ভাষায় ম্যান্ডেলার বাবা তাঁর নাম দিয়েছিলেন ‘‘রোলিলালা৷’’ এই নামের অর্থ হচ্ছে, ‘‘যিনি শাখা ভেঙে দেন’’, কথ্যভাষায় ‘‘সমস্যা সৃষ্টিকারী৷’’
ছবি: AP
যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
১৯৬৪: বর্ণবিদ্বেষ বিরোধী অ্যাক্টিভিস্ট ম্যান্ডেলা এবং অন্যদের শুনানি চলছিল আদালতে৷ কিন্তু পুলিশ সেই আদালতের বাইরে অবস্থানরতদের সরিয়ে দেয়৷ তথাকথিত ‘রিভোনিয়া ট্রায়াল’ এ ম্যান্ডেলাকে তাঁর রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়৷
ছবি: AP
দীর্ঘ কারাজীবন
রবেন দ্বীপের কারাগারে একটি পাঁচ বর্গমিটার ঘরে ১৮ বছর কাটিয়েছেন ম্যান্ডেলা৷ তাঁর পরিচয় নম্বর ছিল ৪৬৬৬৪৷ জেল থেকে মুক্তির পর ম্যান্ডেলা বলেন, ‘‘আমি একটি নম্বর হিসেবে পরিচিত ছিলাম৷’’
ছবি: cc-by-sa- Paul Mannix
গোটা বিশ্বের আগ্রহ
১৯৮৮ সালে লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে নেলসন ম্যান্ডেলার জন্য একটি দাতব্য সংগীতানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়৷ সেই অনুষ্ঠানে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি সংগীতশিল্পীরা ম্যান্ডেলার সত্তরতম জন্মদিন উদযাপন করেছেন এবং বর্ণবিদ্বেষের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছেন৷ দশঘণ্টার সেই কনসার্টে হাজির হয়েছিলেন সত্তর হাজার মানুষ, যা ষাটটির বেশি দেশে সম্প্রচার হয়েছিল৷
ছবি: AP
অবশেষে মুক্তি
১৯৯০ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি - সাতাশ বছর পর - কারাগার থেকে মুক্তি পান ম্যান্ডেলা৷ ছবিতে মুষ্টিবদ্ধ হাত উচিয়ে ম্যান্ডেলা এবং তাঁর তৎকালীন স্ত্রী উইনি দক্ষিণ আফ্রিকার শ্বেতাঙ্গ শাসকদের বিরুদ্ধে নিজেদের বিজয়ের ইঙ্গিত দিচ্ছেন৷
ছবি: AP
রাজনীতিতে ফেরা
১৯৯০ সালের মে মাসে আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেস (এএনসি)-র হাল ধরেন ম্যান্ডেলা এবং তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ফ্রিডেরিক উইলিয়াম ডি ক্লার্ক (বামে) সঙ্গে আলোচনায় নেতৃত্ব দেন৷ এই আলোচনার উদ্দেশ্য ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে বর্ণবিদ্বেষ মুছে ফেলার উপায় বের করা৷ ১৯৯৩ সালে তিনি এবং ক্লার্ক নোবেল শান্তি পুরস্কার জয় করেন৷
ছবি: AP
দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট
১৯৯৪ সালের ১০ মে দিনটি ইতিহাসে জায়গা করে নিয়েছে৷ সে বছরের এপ্রিলে প্রথম গণতান্ত্রিক নির্বাচনে জয়লাভের পর সেদিন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন ম্যান্ডেলা৷ ১৯৯৯ সাল অবধি এই দায়িত্বে ছিলেন তিনি৷ পরবর্তীতে তাঁর কাছ থেকে দায়িত্ব গ্রহণ করেন তাবো এমবেকি৷
ছবি: AP
‘‘রেইনবো নেশন’’ কি ব্যর্থ হয়েছে?
২০০৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বড় শহরগুলোর অনেক বস্তিতে বিদেশি বিদ্বেষ এবং সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে৷ এ সময় অনেক অভিবাসী প্রাণ হারায়৷ ফলে যে প্রশ্নটি দেখা দিয়েছে, তা হচ্ছে যে ‘‘রেইনবো নেশন’’ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ম্যান্ডেলা, বিশেষ করে যেখানে সবার মিলে মিশে থাকার কথা, সেটি কি ব্যর্থ হয়েছে?
ছবি: AP
ক্রীড়াপ্রেমী ম্যান্ডেলা
যুব বয়সে নেলসন ম্যান্ডেলা ছিলেন একজন বক্সার৷ খেলাধুলা সম্পর্কে তাঁর মন্তব্য ছিল এরকম – খেলায় শ্রেণি, ধর্ম বা বর্ণের কোনো ভূমিকা নেই৷ ক্রীড়াপ্রেমি ম্যান্ডেলা কারাগারে থাকার সময়ও নিজেকে ফিট রেখেছেন৷ সেখানে তিনি নিয়মিত ব্যায়াম করতেন৷
ছবি: Getty Images
শেষবার জনসম্মুখে
২০১০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় বিশ্বকাপ ফুটবল অনুষ্ঠিত হয়েছিল৷ আর সেসময়ই ম্যান্ডেলাকে শেষবারের মতো জনসম্মুখে দেখা গিয়েছিল৷ উপরের ছবিটি ২০০৪ সালের ১৫ মে তারিখের৷ কারণ ঐ বছরই দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপের আয়োজক নির্বাচিত হয়৷
ছবি: AP
ম্যান্ডেলার সঙ্গে ড. ইউনূস
২০০৯ সালে ম্যান্ডেলার ৯১তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে আয়োজিত উৎসবে বক্তব্য রেখেছিলেন বাংলাদেশের নোবেল জয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস৷ ম্যান্ডেলার মৃত্যুর পর তাঁর স্ত্রীকে লেখা চিঠিতে ইউনূস ঐ ঘটনাটিকে তাঁর জীবনের অন্যতম সুখকর ঘটনা বলে মন্তব্য করেছেন৷
ছবি: AP
জীবনের শেষ দিনগুলো
ম্যান্ডেলা তাঁর জীবনের শেষ কয়েকটি বছর মানুষের সামনে আসেননি৷ সে সময়টুকু তিনি পরিবারের সাথে কাটিয়েছেন৷ ছবিতে ২০১১ সালে নেলসন ম্যান্ডেলার ৯৩তম জন্মদিনে তাঁকে নাতি-পুতিদের সঙ্গে দেখা যাচ্ছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
16 ছবি1 | 16
২০ বছর আগে অ্যাপার্থাইড বা জাতিভেদের সময় কৃষ্ণাঙ্গ ও শ্বেতাঙ্গদের সমানাধিকার বা সমান সুযোগ পাওয়ার কোনো সম্ভাবনাই ছিল না৷ ‘‘আমাদের অনেক কিছু পুনরুদ্ধার করতে হবে৷ এখনও মানুষরা বর্ণ, ভাষা ও বংশের কারণে দমনের শিকার হচ্ছেন৷ এটা অবশ্য ভাল শোনায় না যে, আমার বন্ধুবান্ধবরা সবাই কালো বর্ণের৷'' বলেন টিফানি৷
সবার সমানাধিকার
আইনত সব নাগরিকেরই সমান সুযোগের অধিকার রয়েছে৷ কিন্তু বাস্তবে সাদা ও কালো মানুষের জীবনযাত্রায় বেশ পার্থক্য দেখা যায়৷ আজ এটা হলো অর্থ, যা দক্ষিণ আফ্রিকার মানুষদের মধ্যে বিভেদের সৃষ্টি করছে৷ আলেক্সান্ড্রা নাশ ও মেগান টমাস স্কুল জীবন থেকেই বন্ধু৷ তাদের অনেক কিছুই আছে৷ ‘‘আমরা শ্বেতাঙ্গ মধ্যবিত্ত কিংবা বলা যায় উচ্চবিত্ত পরিবার থেকে এসেছি৷'' মেগান কেপ টাউনে মিডিয়া নিয়ে পড়ছেন৷ আলেক্স স্কটল্যান্ডে মেডিকেল পড়ছেন৷
আইস-ক্যাফেতে বসে বেসরকারি স্কুল কলেজ, বিরাট বাগান, ইউরোপে ছুটি কাটানো এসব বিষয় নিয়ে গল্পগুজব করেন তাঁরা৷ আসলে তাঁরা মা-বাবার মতোই একই ধরনের পরিবেশে বড় হয়ে উঠেছেন৷ শুধু বর্ণবাদ ছাড়া , যা দুজনই প্রত্যাখ্যান করেন৷
‘‘যা ঘটে গিয়েছে তাতে আমাদের হাত নেই৷ কিন্তু এখন আমাদের সামাজিক অসাম্য দূর করার ব্যাপারে দায়িত্ব রয়েছে৷'' বলেন আলেক্সান্ড্রা৷ এই দুই বান্ধবী দরিদ্রদের জন্য কাজ করেন৷ তারা রাজনীতি সচেতন৷ নিজেদের দেশের পরিস্থিতির পরিবর্তনের ব্যাপারে বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করেন৷ তবে এখানেও শ্রেণি বৈষম্য রয়েছে৷ ‘‘কৃষ্ণাঙ্গ বা শ্বেতাঙ্গ যাই হোক না কেন, আমার সব বন্ধু বান্ধবের আগ্রহ একই ধরনের৷ আমরা ছুটি কাটাতে যাই প্রায় একই রকম জায়গায়৷ এই দেশে ইন্টিগ্রেশন সফল, তবে তা একটি শ্রেণিতে সীমাবদ্ধ৷'' জানান আলেক্সান্ড্রা৷
ওপরে ওঠার সুযোগ রয়েছে সবার
জেফরি মুলাউডসি যে সমাজে চলাফেরা করেন, সেখানে সবাই দরিদ্র ও কালো৷ জোহানেসবার্গের সবচেয়ে পুরানো টাউনশিপ আলেক্সান্ড্রায় বাস করেন এই তরুণ৷ ধনীদের পাড়া সান্ডটোন থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে৷ কয়েক হাজার মানুষ ঘেঁষাঘেঁষি করে বসবাস করেন এখানে৷
তবে ২১ বছর বয়সি জেফরি এর মধ্যেই নিজস্ব এক জগত গড়ে তুলেছেন৷ পর্যটকদের জন্য সাইকেল-ট্রিপের ব্যবস্থা করেছেন ৷ এছাড়া তরুণ ব্যবসায়ীদের একটি মেন্টরিং-প্রোগ্রামে যুক্ত তিনি৷ এজন্য মাঝে মাঝে স্যুটও পরতে হয় তাঁকে৷
‘‘আমি কখনও গায়ের রং বদলাতে পারবো না৷ কিন্তু বিত্তশালী হওয়াটা অসম্ভব নয়৷ আমার মায়ের এক সেন্টও অতিরিক্ত ছিল না৷ আর আজ আমি স্কুলের ছাত্রদের জন্য জুতাও কিনে দিতে পারি৷ '' বলেন জেফরি৷ দক্ষিণ আফ্রিকায় এখনও বৈষম্য রয়েছে৷ এতো শিগগির এটা শেষ হবে না৷ তবে এতে রাগ করে লাভ নেই৷ ইতিবাচক চিন্তা করতে শিখেছে ‘বর্ন ফ্রি' প্রজন্ম৷ এই প্রজন্মের দুই তৃতীয়াংশ বেকার, সুপ্রশিক্ষণও নেই৷ কিন্তু ‘বর্ন ফ্রি' প্রজন্ম আত্মপ্রত্যয়ী৷ কঠোর পরিশ্রম করলে লক্ষ্যে পৌঁছানো যাবে এবং অ্যাপার্থাইডকে দূর করতে হলে আরো কিছুটা সময় প্রয়োজন বলে মনে করেন তারা৷
গণতন্ত্র সম্ভাবনা বয়ে এনেছে
গণতন্ত্র তাদের প্রজন্মের জন্য অনেক সম্ভাবনা বয়ে এনেছে৷ এ ব্যাপারে সাদা বা কালো, ধনী বা দরিদ্র সকলেই একমত৷ মুক্তি সংগ্রামের ব্যাপারে তাদের সরাসরি অভিজ্ঞতা নেই৷ রাজনীতিবিদরাই এখন তাদের ভবিষ্যতের নীতিনির্ধারক৷ কিন্তু এক্ষেত্রে তারা যা দেখছেন, তা তাদের ক্ষুব্ধ করে তোলে৷ প্রতিদিন অন্যায়, অবিচার ও দুর্নীতি সংক্রান্ত খবরাখবর শিরোনাম হয়ে ওঠে৷
ঐক্যবদ্ধ ও সফল ‘রেনবো' জাতি হিসাবে গড়ে ওঠার স্বপ্নটা ধূলিসাৎ হতে দিতে চান না তারা৷ কেননা ‘বর্ন ফ্রি' প্রজন্ম অন্য যে কোনো জায়গার চেয়ে দক্ষিণ আফ্রিকাতেই বসবাস করতে পছন্দ করে৷