1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
রাজনীতিউত্তর অ্যামেরিকা

দক্ষিণ কোরিয়ার কাছে সামরিক জমির মালিকানা চাইলেন ট্রাম্প

২৬ আগস্ট ২০২৫

ওয়াশিংটনে এই বৈঠকে প্রেসিডেন্ট লি জানিয়েছেন, ট্রাম্প একজন অভিজ্ঞ শান্তিস্থাপক বা পিসমেকার।

হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প-লি বৈঠক
হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প-লি বৈঠকছবি: Mandel Ngan/AFP/Getty Images

অ্যামেরিকা সফরে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি জে মিউং। সোমবার হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে তার। দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে উত্তর কোরিয়া নিয়ে। লি জানিয়েছেন, আলোচনায় ট্রাম্প উত্তর কোরিয়ার প্রধান কিম জং উনের সঙ্গে বৈঠকে বসার আগ্রহ দেখিয়েছেন। 

ট্রাম্প যা বললেন

বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন দুই প্রেসিডেন্ট। সেখানে ট্রাম্প বলেছেন, ''কিম জং উন এবং উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে আমার অত্যন্ত ভালো সম্পর্ক।'' শুধু তা-ই নয়, ট্রাম্প জানিয়েছেন, কিমের বোন কিম ও জংয়ের সঙ্গে তার আরো ভালো সম্পর্ক। উল্লেখ্য, কিম ও জং উত্তর কোরিয়ার রাজনীতিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। 

এরপরেই ট্রাম্প বলেন, ''অনেকেই মনে করেন কিম ভালো নন। আমি তা মনে করি না। আমি কিছুদিনের মধ্যেই তার সঙ্গে আলোচনায় বসতে আগ্রহী।'' 

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি জানিয়েছেন, তিনি অ্যামেরিকার সঙ্গে একাধিক বিষয়ে সম্পর্ক তৈরির প্রস্তাব দিয়েছেন। জাহাজ শিল্পের মতো বিষয়ে অ্যামেরিকার সহায়তা চেয়েছেন তিনি। ট্রাম্প জানিয়েছেন, লি-র সঙ্গে বৈঠকে বিভিন্ন শিল্পের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়েছে। 

সামরিক অঞ্চলের মালিকানা

দক্ষিণ কোরিয়ার সমুদ্র অঞ্চলে অ্যামেরিকার সামরিক ঘাঁটি আছে। এদিনের বৈঠকে লি-র কাছে ট্রাম্প প্রস্তাব দিয়েছেন, ওই সামরিক ঘাঁটির জমি অ্যামেরিকার মালিকানাধীন করে দেওয়া হোক। 

ট্রাম্প বলেছেন, ''সামরিক ঘাঁটি রক্ষার জন্য আমরা দূর্গ তৈরি করেছি। তাতে প্রচুর অর্থ ব্যয় করেছি। দক্ষিণ কোরিয়াও আমাদের সাহায্য করেছে। কিন্তু আমি চাই, আর লিজ নয়, দক্ষিণ কোরিয়া ওই জমি অ্যামেরিকার মালিকানাধীন করে দিক।'' 

লি অবশ্য এনিয়ে সাংবাদিকদের সামনে কোনো মন্তব্য করেননি। তবে তিনি বলেছেন, বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য ট্রাম্পের চেষ্টা চোখে পড়ার মতো। ট্রাম্পকে শান্তিস্থাপক বলে ব্যাখ্যা করেছেন লি। 

ট্রাম্পের তির্যক মন্তব্য

লিয়ের সঙ্গে বৈঠকের আগে ট্রাম্প অবশ্য দক্ষিণ কোরিয়াকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেন। সমাজ মাধ্যমে ট্রাম্প পোস্ট করেন, ''কী চলছে দক্ষিণ কোরিয়ায়? বিদ্রোহ? আমরা এসব চাই না, আমরা সেখানে ব্যবসা করতে চাই।'' 

ঠিক কী বিষয়ে ট্রাম্প এই মন্তব্য করেছেন, তা অবশ্য স্পষ্ট করেননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট। পরে সাংবাদিক বৈঠকে এক রিপোর্টার তাকে এবিষয়ে প্রশ্ন করেন। ট্রাম্প জানান, তিনি শুনেছেন, দক্ষিণ কোরিয়ায় চার্চের উপর আক্রমণ হয়েছে। তারা আমাদের সামরিক ঘাঁটিতে ঢুকেও তথ্য সংগ্রহ করেছে। এমনটা হওয়া বাঞ্ছনীয় নয়। তবে একই সঙ্গে তার মন্তব্য, ''এখবর সত্যি কি না, আমি জানি না।''

বস্তুত, গত কয়েকদিন দক্ষিণ কোরিয়ার ইউনিফিকেশন চার্চে অভিযান চালিয়েছে দেশের প্রশাসন। এই ধরনের চার্চ অ্যামেরিকায় খুবই জনপ্রিয়।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি, এএফপি) 

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ