থাইল্যান্ড থেকে দক্ষিণ কোরিয়া যাচ্ছিল জেজু এয়ারওয়েজের বিমান। আশঙ্কা করা হচ্ছে পাখির সঙ্গে সংঘর্ষের ফলে বিমানের ইঞ্জিন খারাপ হয়ে যায়।
বিজ্ঞাপন
রোববার মুয়ান বিমান বন্দরে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা ঘটে। জেজু এয়ারওয়েজের একটি বিমান থাইল্যান্ড থেকে দক্ষিণ কোরিয়া যাচ্ছিল। মুয়ান বিমান বন্দরের কাছে বিমানটি আচমকাই অকেজো হয়ে যায় এবং শেষ পর্যন্ত দুর্ঘটনা ঘটে। বিমানের ১৮১ জন যাত্রীর মধ্যে ১৭৯ জনের মৃত্যু হয়। মর্মান্তিক এই ঘটনার পর বৃহস্পতিবার দক্ষিণ কোরিয়ার পুলিশ ঘটনাস্থলে তদন্তে যায়।
পুলিশের বক্তব্য, ২৯ ডিসেম্বর যে বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছিল, তারই প্রেক্ষিতে তারা ২ জানুয়ারি তিনটি জায়গায় তদন্তে গেছেন। তার মধ্যে অন্যতম মুয়ান বিমানবন্দর। সকাল ৯টা থেকে ঘটনাস্থলে তদন্ত শুরু হয়েছে।
নেপালে ১৮ জনের প্রাণ কেড়ে নেয়া বিমান দুর্ঘটনা
নেপালে ১৮ জনের প্রাণ কেড়ে নেয়া বিমান দুর্ঘটনা
ছবি: Sujan Gurung/AP/picture alliance
১৯ জন আরোহী
নেপালের সিভিল এভিয়েশনের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন বিমানটিতে দুজন ক্রু এবং ১৭ জন যাত্রী ছিলেন৷ বিমানটি ত্রিভুবন বিমানবন্দরের উত্তরের অংশে বিধ্বস্ত হয়৷ বিমানটি ‘বার্ষিক মেনটেন্যান্স কর্মসূচি’র কাজ নিয়ে কাঠমান্ডু থেকে পোখারা যাচ্ছিল৷
ছবি: NepaliArmyHQ via X/via REUTERS
ওড়ার সময় দুর্ঘটনা
বার্তা সংস্থা রয়টার্স স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ও কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, সুরিয়া এয়ারলাইন্সের ছোট একটি বিমান উড্ডয়নের সময় রানওয়েতে স্কিড করলে বিমানটিতে আগুন লেগে যায়৷ কর্মকর্তারা জানান, ১৮ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে৷ একজন পাইলটকে শুধু জীবিত উদ্ধার করা গেছে৷ তিনি চোখে এবং কপালে আঘাত পেয়েছেন৷
ছবি: Sujan Gurung/AP/picture alliance
১৭ জন প্রকৌশলী
রয়টার্স জানিয়েছে, ১৭ জন প্রকৌশলী কিছু তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে পোখারা যাচ্ছিলেন৷ এই ছবিতে দমকল বাহিনীর কর্মীদের আগুন নেভাতে দেখা যাচ্ছে৷ ঘটনাস্থল থেকে ঘন কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলী আকাশে উঠছে৷
ছবি: picture alliance / ASSOCIATED PRESS
উদ্ধারকাজে সেনা মোতায়েন
অ্যাম্বুলেন্স এবং দমকলবাহিনী দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং উদ্ধারকাজে নেপাল সেনাবাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হয়৷
ছবি: Sujan Gurung/AP/picture alliance
সুরিয়া এয়ারলাইন্স
অগ্নিদগ্ধ বিমানের ধ্বংসাবশেষ থেকে উদ্ধার করা পাইলটকে চিকিৎসার জন্য কাঠমান্ডু মেডিকেল কলেজে নেয়া হয়েছে৷ সুরিয়া এয়ারলাইন্স মূলত নেপালের অভ্যন্তরীণ সেক্টরে বিমান পরিষেবা দিয়ে থাকে৷
ছবি: NepaliArmyHQ via X/REUTERS
নেপালে বিমান দুর্ঘটনার রেকর্ড
নেপালে বিমান দুর্ঘটনার রেকর্ড ভালো নয়৷ ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি যাত্রীবাহী বিমান ২০১৮ সালের মার্চে নেপাল থেকে বাংলাদেশ যাওয়ার সময় ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ভেঙে পড়লে ৫১ জন যাত্রী প্রাণ হারান৷
ছবি: Sujan Gurung/AP/picture alliance
বিমান দুর্ঘটনায় ২৪ বছরে ৩৫০ নিহত
রয়টার্সের তথ্য অনুযায়ী, ২০০০ সাল থেকে নেপালে বিমান দুর্ঘটনায় প্রায় ৩৫০ জন মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন৷ গত বছর জানুয়ারিতে ইয়েতি এয়ারলাইন্সের একটি যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত হয়ে ৭২ জন প্রাণ হারান৷ ইয়েতি এয়ারলাইন্সের বিমানটি কাঠমান্ডু থেকে পোখারায় যাওয়ার পর অবতরণের সময় বিধ্বস্ত হয়৷
ছবি: IMAGO/Depositphotos
7 ছবি1 | 7
মুয়ান বিমানবন্দর ছাড়া সিওলে জেজু এয়ারের অফিস এবং স্থানীয় এভিয়েশন অফিসে পৌঁছেছে পুলিশ। সেখানেও কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এদিনই দক্ষিণ কোরিয়ার অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি চয় সাং-মক জানিয়েছেন, দুর্ঘটনাগ্রস্ত জেজু এয়ার ৭সি২২১৬ এর ককপিট থেকে ব্ল্যাক বক্স উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবারের মধ্যে ভয়েস রেকর্ডিং উদ্ধার করা যাবে। সেখান থেকেই কী করে এই ঘটনা ঘটলো, তা জানা যাবে।
রোববার মুয়ান বিমানবন্দরে অবতরণের সময় প্লেনের চাকা খোলেনি। ফলে পেটের উপর ল্যান্ড করার চেষ্টা করে বিমানটি। মাটিতে নামার পরেই আগুন জ্বলে যায় গোটা প্লেনটিতে।
প্রেসিডেন্টের বক্তব্য, বোয়িংয়ের এই মডেলের বিমান এর আগেও দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। ফলে এই দুর্ঘটনার পিছনে কোনো গাফিলতি বা অজানা তথ্য লুকিয়ে আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে।
বিমানটি এমনভাবেই ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে যে ফ্লাইট রেকর্ডারটিও ভেঙে গেছে। সেটি অ্যামেরিকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানেই সেটি থেকে রেকর্ডিং উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। বস্তুত, এই গোটা তদন্তেই অ্যামেরিকা সরাসরি সাহায্য করছে দক্ষিণ কোরিয়াকে।