1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
বিচার ব্যবস্থাদক্ষিণ কোরিয়া

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের ইমপিচমেন্ট আদালতে বহাল

৪ এপ্রিল ২০২৫

ইউন সুক ইওল দেশে মার্শাল আইন বা সেনা শাসন ঘোষণা করেছিলেন। তারই পরিপ্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত জানালো সাংবিধানিক বেঞ্চ।

ইউন সুক ইওল।
আটজনের মধ্যে ছয়জন বিচারপতি ইমপিচমেন্টের পক্ষে রায় দেন। ছবি: SONG KYUNG-SEOK/REUTERS

শুক্রবার দক্ষিণ কোরিয়ার সাংবিধানিক বেঞ্চ এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে। তবে আদালতে এদিন উপস্থিত ছিলেন না ইউন সুক ইওল। আদালত জানিযেছে, ইওল য়েভাবে মার্শাল আইন ঘোষণা করেছিলেন, তা অসাংবিধানিক। আদালতের বক্তব্য, নির্দিষ্ট নিযম মেনে এই সিদ্ধান্ত নেননি প্রেসিডেন্ট। শুধু তা-ই নয়, বিচারবিভাগের অধিকারেও হস্তক্ষেপ করেছেন তিনি। 

দেশের প্রধান এবং সেনা বাহিনীর প্রধান হিসেবে তিনি ভুল পথে সেনা বাহিনীকে চালনা করেছেন বলে এদিন রায় দিয়েছে আদালত। 

এদিকে এদিন আদালতের বাইরে ভিড় জমিয়েছিলেন ইওলের সমর্থকেরা। পাশাপাশি বিরোধীরাও শিবির তৈরি করেছিলেন আদালত চত্বরের বাইরে। পুলিশ গোটা আদালত চত্বর ঘিরে রেখেছিল। গোটা দেশেই বিরাট পরিমাণ পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। 

কবে গ্রেপ্তার প্রেসিডেন্ট

গত জানুয়ারি মাসে গ্রেপ্তার করা হয় প্রেসিডেন্ট ইওলকে। ৩ ডিসেম্বর প্রেসিডেন্ট হিসেবে তিনি মার্শাল আইন ঘোষণা করেছিলেন। ডিসেম্বরেই দক্ষিণ কোরিয়ার পার্লামেন্ট প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব আনে। সে সময়েই প্রেসিডেন্ট পদ থেকে সরে দাঁড়াতে বাধ্য হন ইওল। 

পুলিশ তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। কিন্তু প্রেসিডেন্ট প্যালেস থেকে বার হতে চাননি ৬৪ বছরের ইওল। টানা দুই সপ্তাহ সেখানেই ছিলেন তিনি। তবে এরপর গ্রেপ্তার করা হয় তাকে। 

মার্চ মাসে দেশের একটি জেলা আদালত প্রেসিডেন্টের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা খারিজ করে দেয়। সর্বোচ্চ আদালত সেই রায় বাতিল করে ইমপিচমেন্ট বহাল রাখলো। 

আগামী ৬০ দিনের মধ্যে নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করতে হবে দক্ষিণ কোরিয়াকে।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ