1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন

৯ মার্চ ২০২২

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোটগ্রহণ প্রায় শেষের দিকে৷ আর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে নতুন প্রেসিডেন্টের নাম জানা যাবে৷ মে মাসে তিনি দায়িত্ব গ্রহণ করবেন৷

Südkorea Seoul | vorläufige Stimmabgabe zur Präsidentschaftswahl
ছবি: Chris Jung/NurPhoto/imago images

শাসক দল ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী হয়েছেন লি জে-মিয়ুং৷ আর বিরোধী রক্ষণশীল দল পিপল পাওয়ার পার্টির প্রার্থীর নাম ইয়ুন সুক ইওল৷

দুজনেরই জনপ্রিয়তা এত কম যে স্থানীয় গণমাধ্যমে এবারের নির্বাচনকে ‘দুই অজনপ্রিয় প্রার্থীর' মধ্যে নির্বাচন বলে আখ্যা দেয়া হয়েছে৷

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রায় ৯০ শতাংশ ভোটার একটি নির্দিষ্ট দলকে সমর্থন করেন৷ ফলে বাকি ১০ শতাংশ তরুণ ভোটাররা যাকে ভোট দেবেন তিনিই প্রেসিডেন্ট হবেন বলে বিশ্লেষকেরা মনে করছেন৷

তরুণ ভোটারেরা রাজধানী সৌলের বাসা ভাড়ার ঊর্ধ্বগতি, সামাজিক বৈষম্য ও বেকারত্ব নিয়ে চিন্তিত৷ তাই দুই প্রার্থী নির্বাচনি ইশতাহারে তাদের মতো করে এসব বিষয় সমাধানের অঙ্গীকার করেছেন৷ কিন্তু এ পর্যন্তই৷ নির্বাচনি প্রচারণার সময় কেউই এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করেননি৷ বরং তারা একে অপরের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত আক্রমণ নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন৷ প্রার্থীদের ‘পশু', ‘পরজীবী' ইত্যাদি নামে ডাকা হয়েছে৷

চুংনাম ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক হিয়োবিন লি ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘নীতি নিয়ে আলোচনা হয়নি৷ প্রার্থীরা শুধুমাত্র একে অপরের সমালোচনা করেছেন৷ যেমন তারা একজনের স্ত্রী বা তার সন্তানের বাজে আচরণ নিয়ে কথা বলেছেন৷'' তিনি বলেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে আমি সমাজে বৈষম্য নিয়ে উদ্বিগ্ন, বেকারত্ব, সম্পদের পুনর্বণ্টন ইত্যাদি নিয়ে চিন্তিতি৷ কিন্তু প্রার্থীরা এসব বিষয়ে তেমন মনোযোগ দেননি৷''

সৌল ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অর্থনীতির অধ্যাপক পার্ক সাইং-ইনও নীতি ও দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে পর্যাপ্ত আলোচনা না হওয়ায় হতাশ৷ ‘‘এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যের বিষয় যে এবারের নির্বাচনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, একজন ভোটার কোন প্রার্থীকে একটু কম অপছন্দ করেন,'' বলেন তিনি৷ পার্ক সাইং-ইন বলেন, ‘‘আমার কাছে এটা বিপজ্জনক মনে হয় যখন ভোটাররা গণমাধ্যমে প্রকাশিত অভিযোগ কিংবা সামাজিক মাধ্যমে প্রচারিত স্ক্যান্ডালের ভিত্তিতে ভোট দেন৷''

শাসক দল ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী লি জে-মিয়ুং উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে বর্তমান প্রেসিডেন্টের নেয়া উদ্যোগের ধারাবাহিকতা রক্ষার অঙ্গীকার করেছেন৷ তিনি বেইজিং ও ওয়াশিংটনের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারসাম্য বজায় রাখতে চান৷

অন্য প্রার্থী ইয়ুন সুক ইওল যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ করতে চান৷ আর উত্তর কোরিয়ার ব্যাপারে ‘শক্তি প্রদর্শনের মাধ্যে শান্তি' স্থাপনের পক্ষে তিনি৷

ইউলিয়ান রায়াল (টোকিও)/জেডএইচ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ