1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

দক্ষিণ চীন সাগরে এবার চীনের যুদ্ধবিমান?

২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

দক্ষিণ চীন সাগরে আবার উত্তেজনা৷ এবারের উত্তেজনার কারণ উডি আইল্যান্ডে চীনের যুদ্ধবিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনের খবর৷ এ খবরে উদ্বেগ প্রকাশ করে চীনের প্রতি সে অঞ্চলকে সামরিকীকরণ না করার আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র৷

China Luftwaffe demonstriert Stärke
ছবি: picture-alliance/dpa/C. Wenbin

যুক্তরাষ্ট্রের দুজন সামরিক কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে ফক্স নিউজ জানিয়েছে, দক্ষিণ চীন সাগরের উডি আইল্যান্ডে চীন দুটি (শেনিয়াং জে-১১ এবং জিয়ান জেএইচ-৭) যুদ্ধবিমান মোতায়েন করেছে৷ যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা বিভাগ বিমানগুলোর অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হয়েছে বলেও খবরে দাবি করা হয়৷

দক্ষিণ চীন সাগরের পারাসেল দ্বীপপুঞ্জে অবস্থিত উডি আইল্যান্ড নিয়ে গত কয়েক বছর ধরেই উত্তেজনা চলছে৷ সেখানে অবশ্য ১৯৯০-এর দশক থেকেই বিমান ঘাঁটি রয়েছে৷ তবে গত বছর চীন সেটিকে জে-১১ যুদ্ধবিমান অবতরণের উপযোগী করে তোলে৷

উডি আইল্যান্ডে চীনের যুদ্ধবিমান মোতায়েনের খবরের সত্যতা স্বীকার করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর ক্যাপ্টেন ড্যারিন জেমস৷ তবে তিনি এ-ও জানান, সেখানে চীনের যুদ্ধবিমান অবতরণ নতুন কোনো ঘটনা নয়, চীনের যু্দ্ধবিমান আগেও সেখানকার বিমানঘাঁটি ব্যবহার করেছে৷ তবে অ্যাডমিরাল হ্যারি হ্যারিস বলেছেন, এই বিমান মোতায়েনের ঘটনায় এটা স্পষ্ট যে চীন দক্ষিণ চীন সাগরে সামরিক শক্তি বাড়াচ্ছে৷

এক সপ্তাহ আগে দক্ষিণ চীন সাগরে ভূমি থেকে নিক্ষেপণযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্রও মোতায়েন করে চীন৷ ওয়াশিংটন ভিত্তিক সংস্থা ‘সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ' একটি স্যাটেলাইট ভিডিও প্রকাশ করেছে৷ সেখানে দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের ক্ষেপণাস্ত্রের উপস্থিতি স্পষ্ট ধরা পড়েছে৷
চীনও ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনের কথা স্বীকার করেছে৷ চীনের দাবি, দক্ষিণ চীন সাগরের ওই অঞ্চলটি তাদের, সুতরাং সেখানে তাদের ক্ষেপণাস্ত্র থাকাও স্বাভাবিক৷

যুক্তরাষ্ট্র দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের সাম্প্রতিক তৎপরতায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে৷ ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং য়ি-কেও এই উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি৷ দক্ষিণ চীন সাগর নিয়ে সমন্বিত উদ্যোগের বাইরে গিয়ে চীন, ভিয়েতনাম বা বিবদমান অন্য কোনো দেশ যেন কোনো আগ্রাসী পদক্ষেপ না নেয় সে বিষয়ে সতর্কও করে দেন তিনি৷

জবাবে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, চীন কোনো আগ্রাসনের পথ অবলম্বন করবেনা৷

চীন প্রায় সম্পূর্ণ দক্ষিণ চীন সাগর অঞ্চলকেই নিজেদের বলে দাবি করে আসছে৷ অন্যদিকে ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া, ব্রুনেই, ফিলিপিন্স আর তাইওয়ানও ওই অঞ্চলের কিছু অংশকে তাদের অবিচ্ছেদ্য অংশই মনে করে৷

এসিবি/জেডএইচ (রয়টার্স, এএফপি, এপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ