1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

দক্ষিণ মেরুর বরফ গলছে আরো তাড়াতাড়ি

১৮ এপ্রিল ২০১৩

গবেষকরা তথ্যটি আবিষ্কার করেছেন৷ অপরদিকে ২০০০ সাল যাবৎ বিশ্বের তাপমাত্রা বৃদ্ধির হার কিন্তু কমেছে, যদিও গ্রিনহাউস গ্যাসের নির্গমন কমেনি৷ সব মিলিয়ে প্রকৃতির খেয়াল, না আর কোনো কিছু, তা বিজ্ঞানীরা নিজেরাই জানেন না৷

ছবি: John Weller/AP/dapd

দক্ষিণ মেরুতে গ্রীষ্মে বরফ গলেই থাকে৷ কিন্তু এখন সেটা বিগত এক হাজার বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে, বলছেন অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি এবং ব্রিটিশ অ্যান্টার্কটিক সার্ভের গবেষকরা৷ ৬০০ বছর আগে যতোটা বরফ গলতো, সে তুলনায় গত ৫০ বছরে বরফ গলার তীব্রতা বেড়েছে দশগুণ৷

গবেষকরা কুমেরু উপদ্বীপের জেমস রস দ্বীপের বরফে ৩৬৪ মিটার পাইপ ঢুকিয়ে সেই বরফ অংশ অংশ করে বার এবং বিশ্লেষণ করে দেখেছেন যে, বিগত ৬০০ বছরে তাপমাত্রা ধীরে ধীরে ১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়েছে৷ এবং বরফ গলার তীব্রতা গত ৫০ বছরে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে৷

বিশ্বের তাপমাত্রা বৃদ্ধি, তার ফলে জলবায়ু পরিবর্তন, সর্বজনবিদিত এই তথ্যের একটা নতুন প্রমাণ পাওয়া গেল, বলে যারা প্রসঙ্গটি ফাইলবন্ধ করতে চাইবেন, তাদের জন্য অন্য আর একটা প্রশ্ন থাকবে: গত শতাব্দীর আশির ও নব্বইয়ের দশকে বিশ্বব্যাপী তাপমাত্রা যেমন খুব তাড়াতাড়ি বেড়েছিল, এই শতাব্দীর প্রথম দশকে সেই তাপমাত্রা বৃদ্ধির গতি আবার ধীর হয়ে পড়েছে৷ এ সত্যটা কি তাদের জানা ছিল?

পরস্পরবিরোধিতা

আশ্চর্যের ব্যাপার, জলবায়ু হন্তারক বলে খ্যাত গ্রিনহাউস গ্যাসগুলির নির্গমন কিন্তু ২০০০ সাল যাবৎ একাধিকবার রেকর্ড পর্যায়ে পৌঁছেছে৷ শতাব্দীর প্রথম দশকের অধিকাংশ সময় গ্রিনহাউস গ্যাসের নির্গমন বৃদ্ধির পরিমাণ ছিল ৩ শতাংশের আশেপাশে৷ এই রেকর্ড পরিমাণ গ্যাস নির্গমনের জন্য চীন ও ভারতের উত্থানের অবশ্যই অবদান ছিল৷ কিন্তু তাহলে তাপমাত্রা বৃদ্ধির গতি কমল কেন কিংবা কিভাবে?

নানা ধরনের যুক্তি ও ব্যাখ্যা শোনা গেছে: গভীর সমুদ্র নাকি আরো বেশি তাপ শুষে নিয়েছে, যার ফলে সাগরের উপরিভাগ যা প্রত্যাশা করা গিয়েছিল, তার চেয়ে ঠাণ্ডা থেকেছে৷ আরেক তত্ত্ব হল, এশিয়ায় কলকারখানা থেকে ধোঁয়া সূর্যালোক আটকে দিয়েছে৷ আরো এক তত্ত্ব: গ্রিনহাউস গ্যাসগুলির আস্তরণ পৃথিবীর যে পরিমাণ তাপ মহাশূন্যে বিকিরণ হওয়া থেকে আটকে দেয় বলে মনে করা হতো, আসলে হয়ত ঠিক ততটা করে না৷

অনিশ্চয়তা

মোদ্দা কথা, বিজ্ঞানী-গবেষকরা তাপমাত্রা বৃদ্ধি কিংবা জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কে আগের মতো নিশ্চিত করে কোনো কথাই বলতে পারছেন না৷ জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত আন্তঃ-সরকার বিশেষজ্ঞ প্যানেল আইপিসিসি ২০৩৫ সালের মধ্যে হিমালয়ের হিমবাহের অন্তর্ধান সম্পর্কে যা কিছু ভবিষ্যদ্বাণী করেছিল, তা প্রত্যাহার করে নিয়েছে৷

তবে আইপিসিসি'র চেয়ারম্যান রাজেন্দ্র পচৌরি বলেছেন, ১৮৫০ সাল যাবৎ দশ, পনেরো বছর অন্তর এ ধরনের ওঠা-নামা লক্ষ্য করা গেছে৷ তার জন্য সানস্পট বা সূর্যপৃষ্ঠে বিস্ফোরণ থেকে শুরু করে প্রশান্ত মহাসাগরে লা নিনিয়া, সব কিছু দায়ী হতে পারে, আইপিসিসি চিরকালই বলে আসছে৷

সব মিলিয়ে ক্ষতি আসলে এই যে, এই নতুন বৈজ্ঞানিক অনিশ্চয়তার মধ্যে বিশ্বের সরকারবর্গ কার্বন ডাইঅক্সাইড নির্গমন হ্রাস, কিংবা নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিনিয়োগ করার বিশেষ উৎসাহ কিংবা প্রয়োজন, দু'টোর কোনোটাই অনুভব করবেন না৷

এসি/ডিজি (রয়টার্স, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ