দক্ষ রোবট তৈরিতে অগ্রদূত জার্মানি?
২৭ নভেম্বর ২০২৪কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা জার্মানিকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই প্রযুক্তির সম্ভাব্য অগ্রদূত মনে করছে এবং এক্ষেত্রে চীনকে প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে গোনায় ধরছেন না৷
পরিমার্জিত রূপের এক রোবট, যেটি গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করছে... কারখানাতেও ব্যবহার উপযোগী এই রোবট... তবে এমন রোবটও এখনো শুধু এনিমেশনে দেখা যাচ্ছে৷ নিউরার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাযুক্ত রোবট অবশ্য এরকম হতে পারে৷
ডাভিড রেগার এই কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা এবং ডেভেলপার৷ তিনি চীনসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এআইযুক্ত মেশিন বিক্রি করেন৷ নিউরার প্রতিষ্ঠাতা ডাভিড রেগার এই বিষয়ে বলেন, ‘‘চীন সবভাবেই আমাদের জ্ঞান নিয়ে যাচ্ছে... এবং অন্যান্য দেশেও এটা ঘটে৷ আমি মনে করি জার্মানিতে আমাদের দ্রুত আগানো উচিত৷ প্রযুক্তির উন্নয়নে আমাদেরকে অগ্রদূতের দলে দাঁড়াতে হবে৷ আর এটাই মেইড জার্মানি... যেটি গোটা বিশ্বের জন্য প্রযুক্তি তৈরি করে৷''
একটি রোবটকে খুব ভালোভাবে কাজের উপযোগী করতে এআই সফটওয়্যার, ডিজাইন এবং অনেক সেন্সরের সমন্বয় ঘটাতে হয়৷ মেশিনটি অনেকটা মানুষের মতো বলের ভারসাম্য রক্ষা করতে পারছে৷
এমনকি সেগুলো স্যান্ডউইচ তৈরি করতে শিখছে৷ দক্ষ কর্মীর সংকট তৈরি হওয়ায় মেশিন গৃহকর্মীর চাহিদা বাড়ছে৷ নিউরার প্রতিষ্ঠাতা ডাভিড রেগার বলেন, ‘‘আর এক্ষেত্রে জার্মান কোম্পানিগুলো নেতৃত্ব দিতে পারে৷ আমরা এই বাজারটি হারাতে চাই না৷ আমরা বর্তমানে এক শীর্ষ অবস্থানে রয়েছি৷''
মেশিনগুলো বিভিন্ন কমান্ড অনুসরণ করছে৷ ফলে প্রোগ্রামিং সহজ হচ্ছে৷ ডাভিড রেগার বলেন, ‘‘সত্যিই রোবট কী ধরছে তা বুঝতে পারছে না৷ তবে এটি ঠিকভাবে ধরছে৷ এবং এক্ষেত্রে, বুঝতে পারছে এটিকে কখন শোয়ানো হয়েছে৷''
কোম্পানিটির ৩৫টি দেশে ২৬০ জন কর্মী রয়েছেন৷ তাদের মধ্যে ভারতের একজন সফটওয়্যার ডেভেলপার আছেন৷ নিউরা সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার মেয়াঙ্ক প্যাটিল বলেন, ‘‘বর্তমানে ভারতে খুব কম প্রতিষ্ঠান রয়েছে যেগুলো রোবট তৈরি করতে পারে৷ ফলে নিউরোলিংকের জন্য এটি ব্যবসা শুরুর আদর্শ স্থান৷ আমরা সেখানে বিক্রি করতে পারি, উৎপাদন করতে পারি৷ ব্যবসার কথা চিন্তা করলে ভারত বর্তমানে বড় বাজার৷''
প্রতিষ্ঠানটি ২০৩০ সাল নাগাদ পঞ্চাশ লাখ রোবট তৈরি করতে চায়৷ চলতি বছর এটি ৫০ মিলিয়ন ইউরো আয় করার আশা করছে৷ ডাভিড রেগার মনে করেন রোবোটিক্স একদিন জার্মানির গাড়ি শিল্পকেও ছাড়িয়ে যাবে৷
প্রতিবেদন: কার্ল হেরেনব্রক/এআই