1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

দণ্ডিত হাজি সেলিমের দুর্নীতির মামলায় জামিন

৬ ডিসেম্বর ২০২২

পুরান ঢাকার আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হাজি মোহাম্মদ সেলিমের দুর্নীতির দায়ে দশ বছরের সাজায় দণ্ডিত আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত জামিন দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ৷

ফাইল ছবিছবি: DW/M. Mamun

প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ মঙ্গলবার হাজি সেলিমকে আপিলের অনুমতি দিয়ে জামিন মঞ্জুর করে৷

আদালতে হাজি সেলিমের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা৷ দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান৷ ডয়চে ভেলের কনটেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোরের প্রতিবেদন অনুযায়ী, আইনজীবী রাজা পরে সাংবাদিকদের বলেন,  ‘‘এ মামলায় সাজার রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি দিয়ে আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত সংসদ সদস্য হাজি মোহাম্মদ সেলিমকে জামিন দিয়েছেন আদালত৷”

যে মামলায় দণ্ড নিয়ে  হাজি সেলিম কারাগারে আছেন, ২০০৭ সালের ২৪ অক্টোবর সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে জরুরি অবস্থার মধ্যে সেটি দায়ের করেছিল দুদক৷ 

২০০৮ সালের ২৭ এপ্রিল বিশেষ আদালত  হাজি সেলিমকে দুই ধারায় মোট ১৩ বছরের কারাদণ্ড দেয়৷ পাশাপাশি জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনে সহযোগিতার অভিযোগে হাজি সেলিমের স্ত্রী গুলশান আরা বেগমকে দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়৷

হাজি সেলিম এবং তার স্ত্রী ওই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করলে ২০১১ সালের ২ জানুয়ারি উচ্চ আদালত তাদের সাজা বাতিল করে রায় দিলে দুদক সর্বোচ্চ আদালতে আপিল করে৷

ওই আপিলের শুনানি শেষে ২০১৫ সালের ১২ জানুয়ারি হাইকোর্টের রায় বাতিল হয়ে যায়৷ সেই সঙ্গে হাজি সেলিমের আপিল পুনরায় হাইকোর্টে শুনানির নির্দেশ দেয় আপিল বিভাগ৷ সেই শুনানি শেষে গত বছরের ৯ মার্চ হাইকোর্ট বেঞ্চ একটি ধারায় হাজি সেলিমের ১০ বছরের সাজা বহাল রাখে এবং অন্য ধারায় ৩ বছরের সাজা থেকে তাকে অব্যাহতি দেয়৷ সেই সঙ্গে তাকে এক মাসের মধ্যে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেওয়া হয়৷

উচ্চ আদালতের নির্দেশে গত ২২ মে ঢাকার ৭ নম্বর বিশেষ জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে হাজি সেলিম জামিন আবেদন করেন৷ বিচারক শহীদুল ইসলাম তা নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন৷ পরে তাকে কেরানীগঞ্জ কারাগারে পাঠানো হয়৷

পরদিন স্বাস্থ্যগত কারণ দেখিয়ে হাজি সেলিমকে কারা তত্ত্বাবধানে ভর্তি করা হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে৷

গত ২৪ মে অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় ১০ বছরের সাজার বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি (লিভ টু আপিল) এবং একইসঙ্গে জামিন চেয়েও চেয়ে আবেদন করেন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হাজি সেলিম৷

সে আবেদনের শুনানির পর তা আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন চেম্বার আদালত৷ তার ধারাবাহিকতায় গত ১ আগস্ট তা আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য ওঠে৷ শুনানির পর হাজি সেলিমের জামিন আবেদনটি নথিভুক্ত করে রেখে দণ্ড বাতিল চেয়ে এই আইনপ্রণেতার করা লিভ টু আপিলটি (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) শুনানির জন্য রেখেছিল আদালত৷

মঙ্গলবার আপিল বিভাগ থেকে জামিন পাওয়ার পর হাজি সেলিমের মুক্তিতে এখন কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা৷

এনএস/কেএম (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)  

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ