তপশিলি জাতি-উপজাতিদের ওপর নির্যাতন রোধ আইন লঘু করতে সুপ্রিম কোর্ট যে রায় দিয়েছিলেন গত ২০শে মার্চ তার বিরুদ্ধে গর্জে ওঠে দলিত সমাজ৷ কারণ, তাঁরা মনে করেন, এর ফলে দলিতদের ওপর অত্যাচার আরও বাড়বে৷ এই আইন থাকা সত্বেও দলিতদের প্রতি সামাজিক বৈষম্য কমেনি৷ আইনের যথাযথ প্রয়োগে এখনও রয়েছে যথেষ্ট গাফিলতি৷ সমাজে এখনও রয়েছে ‘অস্পৃশ্যতা'র মতো অভিশাপ৷ দলিতরা অন্যদের মতো প্রথাগতভাবে বিয়েতে ঘোড়ায় চড়ে যেতে পারবে না৷ পুলিশ প্রশাসন এইসব বিষয়ে মুখ ফিরিয়ে থাকায় দোষী সাব্যস্ত হয় অতি নগণ্য– এমনটাই অভিযোগ দলিত সম্প্রদায়ের৷ দলিতদের মধ্যে শিক্ষার হার বাড়লেও তাঁরা এক ধরনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে৷ তাই এই সংশোধন দলিত স্বার্থবিরোধী৷
উদয়ন বন্দোপাধ্যায়
এর প্রতিবাদে বিভিন্ন দলিত সংগঠনভারত বনধের ডাক দেয় গতকাল৷ অগ্রণী দলিত সংগঠন ভীম সেনার নীল পতাকার নীচে শামিল হয় রাষ্ট্রীয় সেবাদল, ন্যাশনাল দলিত মুভমেন্ট ফর জাস্টিস, ভারিপ বহুজন মহাসংঘের মতো বেশ কয়েকটি দলিত সংগঠন৷ সেই বনধের জেরে বিহার থেকে নিয়ে গোটা উত্তর-মধ্য ভারতে জ্বলে ওঠে হিংসার আগুণ৷ পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ, রেল ও সড়ক অবরোধ, সরকারি সম্পত্তি ভাংচুর, পুলিশের ওপর পাথরবৃষ্টি, পুলিশের পালটা গুলি, যানবাহনে অগ্নিসংযোগ, তারমধ্যে পুলিশের গাড়িও আছে৷ ইন্টারনেট পরিষেবা বেশ কিছু এলাকায় বন্ধ রাখা হয়, যাতে গুজব ছড়িয়ে জনরোষে উসকানি না দেয়া যায়৷ মোটকথা, থমকে যায় গোটা দেশের স্বাভাবিক জনজীবন৷ হিংসার জেরে মারা যায় নয়জন দলিত৷ আহত হয় পাঁচজন পুলিশসহ ২৬ জন৷ এরমধ্যে কয়েকজনের আঘাত গুরুতর৷ মধ্যপ্রদেশে ছয়জন, রাজস্থানে একজন এবং উত্তরপ্রদেশে দুইজন৷ রাজস্থানের আলওয়ারে এবং মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়র ও মোরেনায় জারি করা হয় আংশিক কারফিউ৷ খোদ রাজধানি দিল্লিতেও এই বিক্ষোভের আঁচ বেশ ভালোই পড়ে৷ যানবাহন চলাচল ব্যাহত হয়৷ সবথেকে বেশি নাজেহাল হতে হয় বোর্ডের মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিকের পরীক্ষার্থীদের৷
দলিত বিক্ষোভ নিয়ে সংসদের ভেতরে ও বাইরে যথারীতি শুরু হয় সরকার ও বিরোধী দলগুলির চাপানউতোর৷ শুরু হয় দোষারোপ ও পালটা দোষারোপের পালা৷ তুমুল হৈ-হট্টগোলে সংসদের উভয়সভার অধিবেশন মুলতুবি হয়ে যায়৷ এই আইনে রদবদল করার সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের ফলে পরিস্থিতি যে এইভাবে ঘোরালো হয়ে উঠবে, সহিংস হয়ে উঠবে সেটা সরকার আগে থেকে আঁচ করতে পারেনি৷
ধর্মের নামে মন্দির, মসজিদ ও ঐতিহাসিক স্থাপনায় হামলা
প্রাচীন স্থাপনা ও অমুসলিমদের ধর্মীয় উপাসনালয় ধ্বংস করে চলেছে তথাকথিত ইসলামিক স্টেট বা আইএস৷ মসজিদের ওপরও হামলা হয়েছে৷ উপমহাদেশে হিন্দু ও বৌদ্ধ মন্দিরে হামলার ইতিহাসও দীর্ঘ৷ ধর্মের নামে এমন ধ্বংসের ‘খেলা’ থামবে কবে?
ছবি: Reuters
মালিতে ধ্বংসলীলা
এক সময় মালির টিমবাকটু শহরের অন্য নাম ছিল ‘মরুদ্যানের মুক্তা’৷ সেই শহরের সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক ঐতিহ্যকে ধ্বংস করেই চলেছে সেখানকার ইসলামি জঙ্গি সংগঠন৷ ২০১২ সালে শহরটিতে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার পর থেকে মুসলমানদের গড়া অনেক স্থাপত্য নিদর্শনও ধ্বংস করেছে তারা৷ সম্প্রতি শহরটিকে জঙ্গিদের কবল থেকে পুরোপুরি মুক্ত করার দাবি করেছে মালির সেনাবাহিনী৷
ছবি: Getty Images/AFP
সন্ত্রাসপ্রীতি এবং জ্ঞানভীতি
শুধু স্থাপনা বা গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক নিদর্শনই নয়, অনেক গুরুত্বপূর্ণ পাণ্ডুলিপিও ধ্বংস করেছে জঙ্গিরা৷
ছবি: DW/P. Breu
তথাকথিত আইএস-এর হামলা
সিরিয়ার পালমিরা শহরের প্রায় ২,০০০ বছরের পুরনো স্থাপনাগুলোও রেহাই পায়নি৷ সে দেশে চলছে তথাকথিত ইসলামি জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট বা আইএস-এর ধ্বংসযজ্ঞ৷
ছবি: picture-alliance/dpa
পালমিরার মন্দির ধ্বংস
এক সময় সিরিয়ার হোমস নগরীর এই স্থাপনাটিকে নিয়ে গর্ব করত সিরিয়া৷ এটি এক সময় ছিল মন্দির৷ মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম প্রাচীন এই উপসনালয় দেখে পর্যটকরা মুগ্ধ হতেন৷ আইএস-এর হামলায় স্থাপনাটি এখন ক্ষতবিক্ষত৷
ছবি: Reuters/Stringer
ধ্বংস যখন প্রচারণার হাতিয়ার
ধর্মীয় সম্প্রীতি, সাংস্কৃতিক সহাবস্থানকে হুমকির মুখে দাঁড় করানোর চেষ্টায় আইএস অক্লান্ত৷ নৃশংসতা, বর্বরতা ক্রমেই আইএস-এর প্রচারণার হাতিয়ার হয়ে উঠছে৷ এভাবে পেট্রল ঢেলে স্থাপনা পোড়ালে সংবাদমাধ্যম লুফে নেয় খবর, খবর প্রচারের সঙ্গে সঙ্গে তথাকথিত জঙ্গিরাও পেয়ে যায় তাদের কাঙ্খিত প্রচার৷
ছবি: picture alliance/AP Photo
আয়ের উৎস
সিরিয়া ও ইরাকের প্রত্নতাত্ত্বিক সম্পদ শুধু ধ্বংসই করে না, অনেক সময় কদর বুঝে সেগুলো চোরাপথে চড়াদামে বিক্রিও করে আইএস৷ প্রত্নতাত্ত্বিকদের কাছ থেকেও অমূল্য সম্পদ কেড়ে নিয়ে বিক্রি করার অভিযোগ আছে আইএস-এর বিরুদ্ধে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/IS/Internet
আফগানিস্তানে তালেবান বর্বরতা
আফগানিস্তানের এই বৌদ্ধ মন্দিরটিকে গুরুত্বপূর্ণ প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনের স্বীকৃতি দিয়েছিল ইউনেস্কো৷ ২০০১ সালে হামলা চালিয়ে এটি প্রায় ধ্বংস করে দেয় তালেবান৷
ছবি: picture-alliance/dpa/N. Ahmed
আফ্রিকায় হামলার শিকার মসজিদ
মসজিদও অনেকক্ষেত্রে তথাকথিত ধর্মীয় উন্মত্ততার শিকার৷ ২০১৫ সালে মুসলমানদের উপাসনালয়ের ওপর সবচেয়ে বেশি হামলার খবর আসে সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকান থেকে৷ খ্রিষ্টান-মুসলিম দাঙ্গায় সেখানে অন্তত ৪১৭টি মসজিদ আংশিক অথবা পুরোপুরি ধ্বংস হয়েছে বলেও দাবি করা হয়৷
ছবি: ISSOUF SANOGO/AFP/Getty Images
গির্জায় হামলা
ইসলামি জঙ্গিরা আফ্রিকা অঞ্চলে গির্জাতেও প্রায়সময়ে হামলা চালায়৷ হামলায় হতাহতের ঘটনাও ঘটে৷ ওপরের ছবিটিতে কেনিয়ার এক গির্জায় হামলার পরের দৃশ্য৷
ছবি: dapd
ভারতের ইতিহাসের কালো অধ্যায়
১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর ভারতের ইতিহাসের ‘কালো দিন’৷ ভারতের উত্তর প্রদেশের ফৈজাবাদ জেলার বাবরি মসজিদে সেদিনই হামলা চালিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত করে হিন্দু মৌলবাদীরা৷ মুঘল সম্রাট বাবরের নামে গড়া সুপ্রাচীন এই মসজিদের ওপর হামলার ঘটনা ভারতের রাজনীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন এনেছে৷
ছবি: AFP/Getty Images
বাংলাদেশে প্রতিবছরই মন্দিরে হামলা
বাংলাদেশের ভূখণ্ডে মূলত একাত্তরের মুক্তযুদ্ধের সময় থেকেই ধর্মীয় সংখ্যালঘু, বিশেষ করে হিন্দুরা হামলা, নির্যাতনের শিকার৷ তবে মন্দিরে মুর্তি ভাঙা, মন্দিরে হামলা ও অগ্নিসংযোগের অসংখ্য ঘটনা ঘটে প্রতিবছর৷ বৌদ্ধ মন্দিরেও হামলা হয়৷ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই হামলার কারণ ধর্মীয় উগ্রতা৷ সারা বিশ্বে ধর্মের নামে ধর্মীয় উপাসনালয় বা অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার ওপর হামলা থামবে কবে?
ছবি: Reuters
11 ছবি1 | 11
এই প্রসঙ্গে অধ্যাপক উদয়ন বন্দোপাধ্যায় ডয়চে ভেলেকে বললেন, প্রশাসনের একটা দায়িত্ব তো রয়েইছে৷ প্রথম থেকেই প্রশাসন যে-কোনো মিছিল কড়া হাতে প্রতিহত করার চেষ্টা করতো, তাহলে বিক্ষোভ মিছিল এতটা বিশৃঙ্খলার দিকে গড়াতো না৷ কিন্তু প্রশাসন প্রথম দিকে কিছুটা ঢিলেমি দেয় বলেই পরিস্থিতি অনেক সময় হাতের বাইরে চলে যায়৷ দলিতদের সহিংসতায় প্রশাসনিক দুর্বলতাই ফুটে ওঠে৷ সাধারণ মানুষের মিছিল যে ধ্বংসাত্মক দিকে চলে যায়, তাতে প্রশাসনের প্রতি মানুষের আস্থাহীনতাই ফুটে ওঠে৷ অধ্যাপক বন্দোপাধ্যায় ডয়চে ভেলেকে আরও বললেন, ‘‘আসলে যে কারণে আন্দোলন হচ্ছে, তা সে রামনবমী হোক বা দলিত ইস্যু হোক, সেটা যদি নৈরাজ্যের দিকে এগোতে থাকে, তাহলে বুঝতে হবে সরকারের প্রতি আস্থা নেই৷ আগে আস্থা অর্জন, পরে দমন৷ তবে হ্যাঁ, সব মিছিলেই কিছু কিছু সমাজ-বিরোধী ঢুকে পড়ে৷ সেটার দায় যারা আন্দোলন করছে তাঁদের যেমন, তেমনি প্রসাসনেরও৷ সমাজ-বিরোধীদের চিহ্নিত করতে হবে৷ তাঁদের সরাতে হবে৷
জনরোষের দিকে তাকিয়ে গতকাল মঙ্গলবারেই কেন্দ্রের মোদী সরকার আদালতের নির্দেশ পুনর্বিবেচনা করতে আদালতে আর্জি জানিয়ে বলেছে, এই রায়ের ফলে দলিত নিপীড়ন প্রতিরোধ আইন সম্পর্কে লোকেদের ভয়ভীতি কমে যাবে৷ দলিতদের ওপর অত্যাচার আরও বাড়বে৷ কী ধরনের রদবদল করতে চেয়েছেন শীর্ষ আদালত ? আদালত মনে করেন, তপশিলি জাতি-উপজাতিদের উপর অত্যাচার আটকাতে যে আইন রয়েছে, তার অপব্যবহার করা হচ্ছে৷ তাই আদালতের রায়, সরকারি কর্মচারিদের তপশিলি জাতি ও জনজাতির মানুষদের হেনস্থা করার অভিযোগে তড়িঘড়ি দায়ের করা যাবে না এবং সঙ্গে সঙ্গে গ্রেপ্তার করা যাবে না৷ গ্রেপ্তার করতে হলে নিয়োগ কর্তৃপক্ষের অনুমতি লাগবে৷ আর সাধারণ নাগরিকের ক্ষেত্রে পুলিশের ডিএসপি পদমর্যাদার কোনো অফিসারের অনুমতি লাগবে৷ মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট তাঁর রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ দিতে অস্বীকার করেন৷ পরবর্তি শুনানি আগামী দিন দশেকের মধ্যে৷
পাশাপাশি দলিত ইস্যু নিয়ে রাজনীতির জলঘোলা হচ্ছে৷ বিরোধীদের মতে, সরকার আগে কেন দলিত হেনস্থা প্রতিরোধক আইন লঘু করার বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করতে আদালতে যায়নি৷ দলিতদের প্রতিক্রিয়া দেখে এখন সরকারের টনক নড়েছে৷ কারণ, আগামী বছর সাধারণ নির্বাচন৷ ভারতের ১৩০ কোটি মানুষের মধ্যে ২০ কোটি দলিত সম্প্রদায়ভুক্ত৷ তাঁদের ভোট হারাবার ভয়ে মোদী সরকার রাতারাতি দলিত দরদি হতে চাইছে৷ সরকারের তরফে কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রী রবিশংকরের মন্তব্য, কংগ্রেস শাসনে দলিত সম্প্রদায়ের সর্বাধিনায়ক বাবা সাহেব আম্বেদকরকে উপযুক্ত সম্মানটুকু পর্যন্ত দেওয়া হয়নি৷ সেই কংগ্রেসের মুখে দলিতপ্রীতি বেমানান৷
যে দেশগুলোতে সংখ্যালঘুরা সবচেয়ে বেশি হুমকির মুখে
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা ‘মাইনোরিটি রাইটস গ্রুপ ইন্টারন্যাশনাল’ প্রতিবছর যেসব দেশে সংখ্যালঘুরা সবচেয়ে বেশি হুমকির মুখে আছে তার তালিকা প্রকাশ করে৷ ছবিঘরে ২০১৫ সালের জুলাইতে প্রকাশিত সবশেষ প্রতিবেদনের তথ্য থাকছে৷
ছবি: DW
প্রথম: সিরিয়া
সুন্নিপ্রধান দেশ সিরিয়ায় শিয়া, বিশেষ করে আলাউইট সম্প্রদায়ের লোকজন সহ খ্রিষ্টান, কুর্দ, ফিলিস্তিনি ও রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা হুমকির মুখে রয়েছে৷ আইএস, হিজবুল্লাহ ছাড়াও সিরিয়ার শাসকপন্থি গ্রুপ সাবিহা এ সব হুমকির অন্যতম কারণ৷ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা ‘মাইনোরিটি রাইটস গ্রুপ ইন্টারন্যাশনাল’ হুমকি বলতে গণহত্যা, রাজনৈতিক হত্যা ও সহিংস দমননীতি বুঝিয়েছে৷
ছবি: Reuters/SANA
দ্বিতীয়: সোমালিয়া
সরকারের সঙ্গে আল-শাবাব জঙ্গি গোষ্ঠীর সংঘাত এখনও চলছে৷ আর এর শিকার হচ্ছে বান্টু (বেশিরভাগ খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী) ও বেনাদিরি (বেশিরভাগ ইসলাম ধর্মাবলম্বী) গোষ্ঠীর মানুষজন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Y. Warsame
তৃতীয়: সুদান
দেশটির দারফুর অঞ্চলে বসবাসকারী নন-আরব মুসলিম সম্প্রদায়ের উপর খার্তুম সরকারের নিপীড়নের অভিযোগে দু’টি বিদ্রোহী গোষ্ঠী ২০০৩ সালে সরকারের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে৷ সেটি এখনও চলছে৷ ফলে দারফুরে বসবাসকারী ফুর, জাঘাওয়া, মাসালিট সহ অন্যান্য গোষ্ঠীর মানুষদের জীবন সংকটে রয়েছে৷
ছবি: GetttyImages/AFP/C. Lomodon
চতুর্থ: আফগানিস্তান
বিদেশি সৈন্য চলে যাবার পর সেখানে আবারও তালেবানের শক্তি বেড়েছে৷ ফলে হাজারা, পশতুন, তাজিক, উজবেক, তুর্কমেন, বেলুচি সহ অন্যান্য গোষ্ঠীর মানুষের উপর নির্যাতনের আশঙ্কা বাড়ছে৷
ছবি: Getty Images/AFP/Aref Karimi
পঞ্চম: ইরাক
দেশটির মোট জনসংখ্যার প্রায় ৬৫ শতাংশ শিয়া সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত৷ তারপরও সেখানে শিয়া গোষ্ঠীর লোকজনের জীবন বিপদমুক্ত নয়৷ সংকটে রয়েছে সুন্নি, কুর্দ, তুর্কমেন, খ্রিষ্টান, ইয়াজিদি, শাবাক, বাহাই, ফিলিস্তনি সহ অন্যান্যদের জীবনও৷
ছবি: Reuters/T. Al-Sudani
ষষ্ঠ: ডিআর কঙ্গো
স্থানীয় মায়ি-মায়ি মিলিশিয়া, উগান্ডা ও রুয়ান্ডার বিদ্রোহী এবং কাতাঙ্গান বিচ্ছিন্নতাবাদীদের কারণে মানুষের প্রাণ যাওয়া অব্যাহত আছে৷ ফলে সংকটে আছে হেমা, লেন্ডু, হুতু, লুবা, লুন্ডা, টুটসি, বাটওয়া সহ আরও কয়েকটি গোষ্ঠীর জনগণ৷
বৌদ্ধ জাতীয়তাবাদীদের হামলায় সংকটে রয়েছে ইসলাম ধর্মাবলম্বী রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের লোকজন৷ এছাড়া কচিন, কারেনি, কারেন, মন, রাখাইন, শান, চিন এবং ওয়া জাতির জনগণও ভালো নেই সেখানে৷
ছবি: Reuters
বাংলাদেশ, ভারতের অবস্থান
‘মাইনোরিটি রাইটস গ্রুপ ইন্টারন্যাশনাল’-এর তালিকায় বাংলাদেশ ৪১তম আর ভারত ৫৪তম অবস্থানে আছে৷ বাংলাদেশে আহমদিয়া, হিন্দু সহ অন্য ধর্মাবলম্বীরা এবং পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসকারী উপজাতির লোকেদের জীবন হুমকির মুখে রয়েছে বলে জানানো হয়েছে৷ আর ভারতে আসামিজ, বোড়ো, নাগা, ত্রিপুরা সহ অন্যান্য উপজাতি এবং কাশ্মিরী, শিখ, মুসলিম ও দলিতরা হুমকির মুখে আছে৷ প্রতিবেদনটি পড়তে উপরে (+) চিহ্নে ক্লিক করুন৷