1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জামায়াত-শিবিরের হিংসা

সঞ্জীব বর্মন১৪ নভেম্বর ২০১২

বাংলাদেশে জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীদের বর্তমান তৎপরতা নিয়ে দুশ্চিন্তা বাড়ছে৷ আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন আইনজীবী ও রাজনীতিবিদ ড. কামাল হোসেন মনে করেন, রাজনৈতিক কার্যকলাপ আইন ও সংবিধানের আওতায় থাকতে হবে৷

ছবি: DW/Harun Ur Rashid Swapan

যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তার শীর্ষ নেতাদের মুক্তি দাবিতে মতিঝিলে জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছিল৷ তারপর থেকেই ধারাবাহিকভাবে দেশের বিভিন্ন স্থানে জামায়াত-শিবিরের সঙ্গে পুলিশের সংঘাত চলে আসছে৷ পুলিশের উপর জামায়াত-শিবিরের সুপরিকল্পিত হামলার অভিযোগও আসছে৷ মঙ্গলবার ঢাকার কারওয়ান বাজারে পুলিশের উপর হামলা ঘটে৷ ইসলামী ছাত্রশিবির আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদের গাড়িবহরের উপরও হামলা চালিয়েছে৷ আইনমন্ত্রী অক্ষত থাকলেও তার বহরের দুটি গাড়ি ভাঙচুর হয়েছে৷

রাজপথে জামায়াত-শিবিরের তাণ্ডবছবি: DW/Harun Ur Rashid Swapan

জামায়াত-শিবিরের এই ধরণের কার্যকলাপ সম্পর্কে নানারকম প্রতিক্রিয়া শোনা যাচ্ছে৷ একটি মহল জামায়াতকে সভা সমাবেশ করার সাংবিধানিক অধিকারের পক্ষে সওয়াল করছে৷ নিবন্ধিত দল হিসেবে জামায়াতের রাজনৈতিক অধিকার সম্পর্কে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন আইনজীবী ও রাজনীতিবিদ ড. কামাল হোসেন বলেন, এই ধরণের হিংসা কোনো আইনের আওতায় পড়ে না৷ বাংলাদেশের দণ্ডবিধি অনুযায়ী এটা গুরুতর অপরাধ হিসেবেই চিহ্নিত হবে৷

রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামী নিবন্ধন পাওয়ার জন্য কতটা উপযুক্ত? এই প্রশ্নের উত্তরে রাজনীতিবিদ ড. কামাল হোসেন মনে করেন, আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করলে তাদের দায়-দায়িত্ব অবশ্যই প্রমাণ হবে৷ উপযুক্ত দণ্ডবিধির আওতায় তখন অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া রাষ্ট্রের কর্তব্য৷ এই পরিস্থিতিতে দেশের স্বাভাবিক অবস্থা রক্ষা করার জন্য দেশের সরকারকে আইনের কার্যকর প্রয়োগ এবং যারা আইন ভঙ্গ করছে, তাদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে৷ সবাইকেই স্পষ্ট করে জানানো দরকার, যে রাজনৈতিক কার্যকলাপ করতে হলে আইনের আওতায় থাকতে হবে, সংবিধানের আওতায় থাকতে হবে৷ কেউ যদি আইন ভঙ্গ করে, একটা অস্থিতিশীল অবস্থা সৃষ্টি করে এবং জাতীয় নিরাপত্তার বিরুদ্ধে কাজ করে, তখন রাষ্ট্রের যা করণীয় তাই করতে হবে, যা তাদের কর্তব্যও৷

BM/141112/Interview: Dr.Kamal Hossain on Jamaat politics - MP3-Mono

This browser does not support the audio element.

রাজনৈতিক স্তরে জামায়াতের মতো একটি দলের মোকাবিলার ক্ষেত্রে বিরোধী বিএনপি বা শাসক আওয়ামী লীগের দীর্ঘমেয়াদি কৌশল কী হওয়া উচিত? এ প্রসঙ্গে ড. কামাল হোসেন নিজের ঘোষিত অবস্থান মনে করিয়ে দিয়ে বললেন, যে তাঁর মতে এগুলি সারা রাষ্ট্রের প্রতি একটি হুমকি৷ জাতীয় নিরাপত্তার বিষয় এখানে জড়িত৷ এ সব বিষয় নিয়ে কোনো দলীয় দৃষ্টিভঙ্গি থেকে নয়, জাতীয় দৃষ্টিভঙ্গি থেকে কৌশল অবলম্বন করতে হবে৷ জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে এই সব বিষয়ে নীতি নির্ধারণ করতে হবে৷

জামায়াত নেতা দেলওয়ার হোসাইন সাঈদীছবি: AP

বর্তমান পরিস্থিতিতে যুদ্ধাপরাধের বিচার প্রক্রিয়া ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কিছু আশঙ্কা রয়েছে৷ ড. কামাল হোসেন মনে করেন, এটা জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ কাজ৷ এ ক্ষেত্রেও কার্যকর ব্যবস্থাগুলি দ্রুত সম্পন্ন করা উচিত৷

জামায়াতের মতো শক্তি বিদেশ থেকেও আর্থিক ও অন্যান্য সাহায্য পেয়ে থাকে৷ তা বন্ধ করার ক্ষেত্রে অনেক আন্তর্জাতিক আইন রয়েছে বলে মনে করিয়ে দিলেন ড. কামাল হোসেন৷ আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যে আইনগুলি রয়েছে, তার কাঠামোর মধ্যে পারস্পরিক সাহায্য-সহযোগিতার সুযোগ রয়েছে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ