1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

দলীয় প্রতীকে স্থানীয় সরকার নির্বাচন

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা৭ ডিসেম্বর ২০১৫

এই প্রথম দলীয় প্রতীকে স্থানীয় সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে৷ দলের ভিত্তিতে এতে অংশ নিচ্ছে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ প্রায় সব দল৷ তবে যে সব দলের নিবন্ধন নেই, তাদের প্রার্থীরা ‘স্বতন্ত্র’ হিসেবে দাঁড়াচ্ছে৷

Bangladesch Parlamentswahlen
‘ইসি কোনো দলের কথা না শুনে তাদের মতো এগোচ্ছে’ছবি: AFP/Getty Images

[No title]

This browser does not support the audio element.

আগামী ৩০শে ডিসেম্বর দেশের ৩২০টি পৌরসভার মধ্যে ২৩৪টির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে৷ এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি প্রায় সব পৌরসভায় মেয়র ও কাউন্সিলর পদে প্রার্থী দিয়েছে৷ তবে বিএনপির ১০ জন এবং আওয়ামী লীগের তিনজন মেয়র প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল হয়েছে৷ আর সব মিলিয়ে মেয়র পদে ১৬৬ জনের মনোনয়ন পত্র বাতিল হয়েছে৷ এরা প্রধানত স্বতন্ত্র এবং বিদ্রোহী প্রার্থী৷

প্রসঙ্গত, মেয়র পদে মোট ১২২৩ জন মনোনয়পত্র দাখিল করেছিলেন৷

এছাড়া কাউন্সিলর পদে ৫৭১ এবং নারীদের সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ১৫৬ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে৷

২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের পর, আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি এই প্রথম দলীয় প্রতীক নিয়ে কোনো নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে৷ বলা বাহুল্য, ২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচন বর্জন করে বিএনপি জোট৷ এরপর উপজেলা ও সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপি দলীয়ভাবে তাদের প্রার্থীদের সমর্থন দেয়৷ তবে সেই নির্বাচন দলীয় ভিত্তিতে বা দলীয় প্রতীকে ছিল না৷ তাছাড়া ঢাকাসহ তিন সিটির নির্বাচন শুরুর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তা বর্জন করে বিএনপি৷

স্থানীয় সরকার নির্বাচন বিশেষজ্ঞ ও জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষক পরিষদ (জানিপপ)-এর প্রধান অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘দলীয়ভাবে এই নির্বাচন তৃণমূল পর্যায়ে রাজনৈতিক দলগুলোর জবাবদিহিতা বাড়াবে৷ শুধু তাই নয়, নির্বাচিতরা দলের কাছে জবাবদিহি করতেও বাধ্য হবে৷ ফলে দেশের পুরো নির্বাচনই রাজনৈতিক জবাবদিহিতার মধ্যে এসে যাচ্ছে৷''

তিনি আরো বলেন, ‘‘এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আবারো সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনের ধারায় ফিরে এলো, যা ইতিবাচক৷''

তিনি নির্বাচনের পবিবেশ এবং আচরণবিধি নিয়ে নির্বাচন কমিশনের এ পর্যন্ত নেয়া পদক্ষেপে সন্তোষ প্রকাশ করেন৷ তাঁর কথায়, ‘‘ইলেকশন কমিশন বা ইসি কোনো দলের কথা না শুনে তাদের মতো এগোচ্ছে৷''

তবে সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলরদের নির্বাচনের জন্য কুলা, ঢেকি বা চকলেটের মতো প্রতীক নির্ধারণের সমালোচনা করেন ড. কলিমুল্লাহ৷ তিনি বলেন, ‘‘নির্বাচন কমিশনকে ‘জেন্ডার' নিয়ে আরো সচেতন হতে হবে৷ হতে হবে জেন্ডার নিরপেক্ষ৷''

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ