1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

দাড়ি-গোঁফওয়ালা এক শিখ মেয়ে

২৫ জানুয়ারি ২০১৭

যুক্তরাজ্যের শিখ তরুণী হরনাম কাউরের ১১ বছর বয়স থেকেই দাড়ি-গোঁফ গজাতে শুরু করে৷ সেজন্য অনেক কথা শুনেছেন, আত্মহত্যার কথাও ভেবেছেন৷ কিন্তু শেষে নিজের শরীর ও রোগকে মেনে নিয়েছেন এই অসমসাহসী নারী৷

Harnaam Kaur - jüngste Vollbartträgerin
ছবি: picture-alliance/dpa/P. M. Hughes

সাহসটা হরনামের, কিন্তু নির্মম-নিষ্ঠুর জগতের মুখোমুখি হবার সেই দুঃসাহসী অ্যাডভেঞ্চারে তাঁর পাশে এসে দাঁড়িয়েছে ইন্টারনেট৷ দু'বছর আগে প্রকাশিত এক ইউটিউব ভিডিও দেখেন লক্ষ লক্ষ মানুষ৷ সেই ভিডিওতে ২৩ বছরের হরনাম জানিয়েছেন, তাঁকে যারা তাঁর গোঁফদাড়ির জন্য হাস্যাস্পদ বা পর্যুদস্ত করার চেষ্টা করেছে, তাদের তিনি কীভাবে ঠান্ডা করেছেন৷

এগারো মাস আগে হরনাম আরেকটি ভিডিওতে শুনিয়েছেন, তিনি কিভাবে ইন্টারনেটে ‘ট্রল'-এর সামাল দেন৷ এর এক মাস পরেই হরনামকে প্রথম দাড়িওয়ালা মডেল হিসেবে ক্যাটওয়াকে দেখা যায়৷ মজার কথা, ঠিক সে-বছরেই ইউরোভিশন সং কন্টেস্ট জেতেন অস্ট্রিয়ান ড্র্যাগ কুইন কনচিটা ভুয়র্স্ট, নারীর সাজে পুরুষ, যার গালপাট্টার মতো দাড়ি আছে৷

হরনামের নাম ছড়াতে থাকে৷ তাঁর ছবি ওঠে ব্রিটেনের রক'ন রোল ব্রাইড ম্যাগাজিনে৷ এমনকি চার মাস আগে গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস-এও তাঁর নাম উঠেছে৷ ১১ থেকে ১৬ বছর বয়স পর্যন্ত যেন নরকবাস করেছেন হরনাম৷ লোকজনের তাকিয়ে থাকা আর মন্তব্য সহ্য করতে না পেরে নিজের জীবনের অন্ত ঘটানোর কথা ভেবেছেন৷

১৬ বছরের হরনামের জীবনে শিখ ধর্ম এক নতুন দিগন্ত খুলে দেয়, নিজের শরীর সম্পর্কে আস্থা এনে দেয়৷ সারা দুনিয়ার নারী ও কিশোরীরা যে ‘বডি কনফিডেন্স' খুঁজছে, তা আজ এই দাড়ি-গোঁফওয়ালা মহিলাটির৷ পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম নামের রোগ তাঁকে পরাস্ত করতে পারেনি ও তাঁর ভিতরের নারীসত্তাকে এক বিন্দু ছিনিয়ে নিতে পারেনি: এর চাইতে বড় আশা ও আনন্দের কথা আর কী হতে পারে?

এসি/ডিজি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ