1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

দাবানলের ঝুঁকি কমায় যেসব ছাগল

১০ নভেম্বর ২০২৩

দাবানলের সামনে মানুষ অসহায় হয়ে পড়ে৷ চিলির এক অঞ্চলে এক জীববিজ্ঞানী বুদ্ধি খাটিয়ে বেশ সহজ উপায়ে আগুনের প্রসার থামানোর ‘ফায়ারব্রেক' সৃষ্টি করছেন৷ সফল প্রয়োগের পর বাকিদেরও সেই কৌশল শেখাচ্ছেন তিনি৷

BG Wie Chiles Feuerlöschziegen einen einheimischen Wald vor tödlichen Bränden retteten
ছবি: Juan Gonzalez/REUTERS

এই হুইসেল ও খোরাক নাড়াচাড়ার শব্দ শুনে ছাগল প্রলোভন এড়াতে পারে না৷ কারণ, তারা সব সময়েই ক্ষুধার্থ থাকে৷

সঙ্গে সঙ্গে খেতে শুরু করে৷ সঙ্গে চলে কাজ৷ সেই কাজে যথেষ্ট দক্ষতার প্রয়োজন৷ সবার আগে চাই শক্তসমর্থ পেট৷ ছাগলের চার-চারটি পাকস্থলি রয়েছে৷ আর প্রায় সর্বভুকও হওয়া চাই৷ কচি সবুজ পাতা থেকে শুরু করে কাঁটায় ভরা গাছের কাণ্ড – কিছুতেই অরুচি নেই৷

রোসিও ক্রুসেস-এর ছাগলগুলি চিলির সান্টা হুয়ানা অঞ্চলের জঙ্গলে অপরিহার্য শ্রমিক হিসেবে কাজ করে চলেছে৷ প্রায় সব দাহ্য পদার্থ খেয়ে ফেলে এই প্রাণী দাবানলের আশঙ্কা কমিয়ে দিচ্ছে৷ রোসিও বলেন, ‘‘বাছাই করা এলাকায় এক বৈদ্যুতিক কাঁটাতার ছাগল আটকে রেখে আগুনের পথে বাধা সৃষ্টি করতে সাহায্য করছে৷ হার্বিসাইড বা ভেষজনাশক ব্যবহার না করেই সেটা সম্ভব হচ্ছে৷ বায়ো রিও অঞ্চলে দাবানলে প্রায় ৭০ শতাংশ জমি ধ্বংস হয়ে গেছে৷ সান্টা হুয়ানায় আমরা এভাবে নিজেদের সুরক্ষা দিতে পারি৷''

গোটা বায়ো রিও অঞ্চলে গত বছর গ্রীষ্মকালে প্রায় সাড়ে চার লাখ হেক্টর জমি পুড়ে নষ্ট হয়ে গেছে৷ রোসিও ক্রুসেস-এর কৌশল কিন্তু কাজে লাগছে৷ তিনি ও তাঁর স্বামী ভিক্টর যে প্রায় ১৬ হেক্টর জমির দেখাশোনা করেন, পারে নি৷ তাদের ১৪০টি ছাগলের রাক্ষুসে খিদেই জায়গাটি রক্ষা করেছে৷ কিন্তু তাঁদের অনেক প্রতিবেশীর ভাগ্য ভালো ছিলো না৷ সেই আগুনে ২৬ জন প্রাণ হারিয়েছেন৷

দাবানল ঠেকাতে চিলির ‘ফায়ারব্রেকার’ ছাগলদল

03:02

This browser does not support the video element.

কর্তৃপক্ষকে সে সময় কয়েক'শো দাবানাল নেভানোর চেষ্টা করতে হয়েছে৷ ফলে গ্রামাঞ্চলের বদলে ছোটবড় শহরের সুরক্ষাকে অগ্রাধিকার দিতে হয়েছে৷

রোসা সানসানা নেইরার বাসা মাত্র পাঁচ মিনিট দূরে৷ নিজের খামারেও ‘ফায়ারব্রেক' থাকলে ভালো হতো বলে আজ তিনি আক্ষেপ করেন৷ কয়েক মিনিটের মধ্যে দাবানালের গ্রাসে তাঁদের পারিবারিক ভবন যখন ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল, তখন তাঁর স্বামী ও তিনি অসহায় অবস্থায় সেই দৃশ্য দেখেছেন৷

প্রায় তিন দশক ধরে এই দম্পতি মধুর ব্যবসা করেছেন৷ আগুনে বেশিরভাগ মৌমাছিও মরে গেছে৷ কয়েক মাস পরেও জমি পরিষ্কারের কাজ শেষ হয় নি৷ রোসা বলেন, ‘‘সব কিছু পুড়ে ছাই হয়ে যাবার দশ দিন পর সৈন্যরা এসেছিলেন৷ প্রথম দিনেই আমরা চলে গিয়েছিলাম৷ তা না হলে আমরাও পুড়ে মরে যেতাম৷ সবাইকে একাই ধাক্কা সামলাতে হয়েছিল৷''

প্রতিবেশীদের এই দশা রোসিও ক্রুসেস-কে নিজের ছাগলগুলির প্রতি দরদ আরো বাড়িয়ে দিয়েছে৷ জীববিজ্ঞানী হিসেবে তিনি বাকিদেরও কৌশলগত পশুচারণ শেখাচ্ছেন, যাতে তারাও দাবানল প্রতিরোধ করতে পারেন৷ এবার সরকারও ছাগল প্রকল্পে আংশিক অর্থায়ন করতে এগিয়ে এসেছে৷

নিকোল রিস/এসবি

দাবানল সম্পর্কে সাবধান করার প্রযুক্তি

04:09

This browser does not support the video element.

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ