1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

দাবানল অব্যাহত ইসরায়েলে, সাহায্য আসছে বিভিন্ন দেশ থেকে

৩ ডিসেম্বর ২০১০

ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলের বন্দর শহর হাইফাতে দাবানল ছড়িয়ে পড়েছে৷ দাবানলে এ পর্যন্ত চল্লিশ জন মারা গেছেন বলে খবরে প্রকাশ৷ নিহতদের অধিকাংশই কারারক্ষী৷

দাবানল (ফাইল ফটো)ছবি: AP

শুক্রবার সকাল পর্যন্ত স্থানীয় প্রায় সতেরো হাজার মানুষকে সেখান থেকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে৷ ইসরায়েলের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ এই দাবানল আজ দ্বিতীয় দিনের মতো অব্যাহত৷ বিশ কিলোমিটারের বেশি এলাকা আগুনে পুড়ে গেছে এবং আগুন এখনও নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি৷

বৃহস্পতিবার দুপুরে ইসরায়েলের তৃতীয় বৃহত্তম শহর হাইফার দক্ষিণ-পূর্বের কারমেল পাহাড়ের ঢাল থেকে প্রথম দাবানল ছড়িয়ে পড়ে৷ জোরে বাতাস প্রবাহিত হওয়ার কারণে সেখান থেকে পশ্চিমের দিকে এবং দেনিয়ার শেষ প্রান্তে হাইফাতেও ছড়িয়ে পড়ে আগুন৷ দমকল কর্মীরা আগুন নেভানোর জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন৷ পাহাড়ি পথে পায়ে হেঁটে সেখানে তাদের পৌঁছাতে হচ্ছে৷ দাবানলে প্রকৃতপক্ষে কতজন মারা গেছেন শুক্রবার সকাল পর্যন্ত তা এখনও স্পষ্ট নয়৷ একজন উগ্র দক্ষিণপন্থী সাংসদ বৃহস্পতিবার এর সঙ্গে সন্ত্রাসীদের জড়িত থাকার অভিযোগ করেছেন৷

দমকল বাহিনী এবং উদ্ধারকারী দলের প্রধানরা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, কমপক্ষে একশ'টি যানবাহন এবং চারটি বিমান নিয়ে ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে তারা উদ্ধার কাজে নেমে পড়েছেন৷ রাতের অন্ধকারের কারণে তারা সেইভাবে কাজ করতে পারেননি৷

নিহতদের মধ্যে ছত্রিশজন কারারক্ষী৷ তারা স্থানীয় কার্মেল ও ডামোন কারাগার থেকে বন্দীদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার কাজ করছিলেন৷ এবং তখন তাদের বাসে আগুন লাগলে তারা মারা যান৷

বিদেশ থেকে অগ্নিনির্বাপক উড়োজাহাজ এসে পৌঁছতে শুরু করেছে উত্তর ইসরায়েলের রামাত ডেভিড সামরিক বিমানবন্দরে৷ গ্রিস থেকে এসেছে চারটি বিমান এবং একটি মালবাহী হারকিউলিস বিমান এসেছে বুলগারিয়া থেকে৷ দেড়শোজন দমকলকর্মী এসে পৌঁছেছেন সেখানে৷ তুর্কী, সাইপ্রাস এবং স্পেনের মতো আরও বিশটি দেশ উদ্ধার কাজে যোগ দেওয়ার কথা জানিয়েছে৷ পররাষ্ট্রমন্ত্রী আভিগডর লিবারমান বলেছেন, ব্রিটেন, রাশিয়া, মিশর, আজারবাইজান, রোমানিয়া এবং জর্ডন যে যার মতো ইসরায়েলকে সাহায্য করছে৷ যুক্তরাষ্ট্র অগ্নি নির্বাপক রাসায়নিক পদার্থসহ বোয়িং ৭৪৭ একটি বিমান পাঠিয়েছে৷ মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা নিহতদের পরিবারবর্গের জন্য শোকজ্ঞাপন করেছেন৷

প্রতিবেদন: জান্নাতুল ফেরদৌস

সম্পাদনা: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ