বিশ্বকাপ ফুটবলে খেলছে ৩২টি দল৷ এর মধ্যে এমন কিছু কোচ আছেন যাদের পারিশ্রমিক আকাশছোঁয়া, কিন্তু বিশ্বকাপে তাঁরা সাফল্য পাননি৷ একবার তাকানো যাক তাঁদের দিকে৷
বিজ্ঞাপন
বিশ্বকাপের তিন সপ্তাহ পেরিয়ে গেছে৷ এর মধ্যে আবেগ উচ্ছ্বাসের উত্থান পতন হয়েছে৷ হয়েছে নানা সমালোচনাও৷ সবচেয়ে বেশি সমালোচিত হচ্ছেন বেশি বেতন পাওয়া কোচরা৷ সবচেয়ে দামি তিন কোচের দলই ছিটকে পড়েছে গ্রুপ পর্ব থেকে৷
রাশিয়ার ইটালীয় কোচ
২০০২ সালের পরে এই প্রথমবারের মত বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছিল রাশিয়া৷ তাদের কোচ ফাবিও কাপেলো-র বার্ষিক বেতন ৬৬ লাখ ৯৩ হাজার ৭৫০ পাউন্ড৷ এই বিশ্বকাপের সবচেয়ে দামি কোচ কাপেলো৷ অথচ গ্রুপ পর্ব থেকেই ছিটকে পড়েছে দলটি৷ রাশিয়ার গণমাধ্যম এবং সমর্থকরা কাপেলোকে তুলোধোনা করলেও ২০১৮ সালের আগে কাপেলোর চুক্তি ভাঙার কোন ইচ্ছে নেই৷ রাশিয়ান ফেডারেশনও তাকে বরখাস্ত করতে চাচ্ছে, পরবর্তী বিশ্বকাপের আগেই৷ কেননা সে দেশেই পরের বার প্রথমবারের মত বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে৷ রাশিয়ার ক্রীড়ামন্ত্রী ভিটালি মুটকো বলেছেন, ‘‘টুর্নামেন্টে পৌঁছানোই একটা বড় ব্যাপার ছিল, যেটা কাপেলো করে দিয়েছেন৷''
বিদায় স্পেন
চিলির কাছে ২-০ গোলে হেরে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিল স্পেন৷ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে জয় পেয়েছে নেদারল্যান্ডস এবং ক্রোয়েশিয়া দারুণ খেলা উপহার দিয়েছে ক্যামেরুনের বিপক্ষে৷ বিশ্বকাপের সপ্তম দিনের কিছু হাইলাইট...৷
ছবি: Emmanuel Dunand/AFP/Getty Images
চ্যাম্পিয়নদের বিদায়
নেদারল্যান্ডসের কাছে ৫-১ গোলে হেরে দুঃস্বপ্নের পথে হাঁটা শুরু করেছিল বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা৷ কিন্তু চিলির কাছে হারটা সেই দুঃস্বপ্নকে বাস্তব রূপ দিল৷ চিলির কাছে ২-০ গোলে হেরে স্পেনকে গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিতে হচ্ছে৷ প্রথম ম্যাচে হারের পরই অবশ্য রব উঠেছিল ‘টিকি-টাকার’ দিন শেষ!’
ছবি: Getty Images
বদলে যাচ্ছে দৃশ্যপট
সাবি আলন্সো, জেরার্ড পিকে-কে বসিয়ে রেখে খুব একটা কাজ হয়নি স্পেনের৷ ভিনসেন্তে দেল বস্কের নিস্ফল আক্রমণ, দুর্বল রক্ষণভাগ, লক্ষ্যহীন পাস – চিলির কাছে নাস্তানাবুদ না হয়ে উপায় কী! ৪৩ মিনিটে আলেক্সিস সানচেসের ফ্রি-কিক কাসিয়াস ‘ফিস্ট’ করে ফেরালেও তা এসে ঠেকে চার্লস আরানগিস পায়ে এবং গোল৷
ছবি: Reuters
কাসিয়াসের জন্য দুর্বিষহ একদিন
মারাকানা স্টেডিয়ামে স্পেনের সমর্থকরা স্প্যানিশ গোলরক্ষক ইকার কাসিয়াসকে তুলোধুনা করছিলেন৷ ২০ মিনিটে চার্লস আরানগিসের পাসে কাসিয়াসকে হতবুদ্ধি করে দারুণ এক গোলে চিলিকে এগিয়ে দেন এদুয়ার্দো ভার্গাস৷
ছবি: Reuters
আকাশে উড়ছে চিলি
স্পেনের প্রতিরক্ষাভাগ আসলেই দুর্বল ছিল – এটা মেনে নিতেই হবে, কিন্তু চিলির আক্রমণের কথা না বললেই নয়৷ দুর্দান্ত আক্রমণের কারণেই এই জয় তাদের৷ স্পেন লক্ষ্যে শট নিয়েছে নয়টি৷ তবে সেগুলো চিলিয়ান গোলরক্ষককে খুব একটা বিব্রত করতে পারেনি৷ অথচ চিলির চারটি শটের দুটিই জড়িয়েছে জালে৷
ছবি: Reuters
এখন কী হবে?
স্পেনের এই তারকা দলের ভবিষ্যত কী? ২০০৬ সালের অক্টোবরের পর আজ পর্যন্ত টানা দুই ম্যাচে কখনোই হারেনি স্পেন৷ এই আট বছর তাদের জয় করা হয়ে গেছে সম্ভব-অসম্ভব সবকিছুই৷ এবারের বিশ্বকাপের হট ‘ফেবারিট’ হিসেবে কখনোই তাদের নাম বাদ দেওয়া যায়নি৷ অথচ, তারাই নাকাল হলো আসল লড়াইয়ে এসে!
ছবি: Reuters
রাজকীয় দর্শক
স্পেন-চিলি ম্যাচের আগে নেদারল্যান্ডস খেলেছিল অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে৷ আর সেই খেলা দেখতে উপস্থিত ছিলেন খোদ রাজা উইলেম-আলেকজান্ডার এবং রানী মাক্সিমা৷ এর আগে নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে খেলেছিল স্পেন এবং সেই ম্যাচ তারা হেরেছিল ৫-১ গোলে৷
ছবি: Reuters
ডাচরা যে কারণে এগিয়ে
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের ২০ মিনিটেই নেদারল্যান্ডস ‘লিড’ নিয়ে নেয়৷ দলকে এগিয়ে দেয় আরিয়েন রবেন৷ ৩-২ গোলের জয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে যাওয়াটা প্রায় নিশ্চিত হয়ে গেল গতবারের রানার্সআপদের৷ এবারের বিশ্বকাপে আরিয়েন রবেন এবং রবিন ফান প্যার্সি উভয়ের ঝুলিতে তিনটি করে গোল৷
ছবি: Getty Images
তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া
একটির পর অন্য একটি গোল করা যেন তাঁদের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে৷ নেদারল্যান্ডসের ক্যাপ্টেন রবিন ফান প্যার্সি এর আগে এমনটাই দেখিয়েছিলেন স্পেনের বিপক্ষে৷ তাঁর সতীর্থ আরিয়েন রবেনও এই ম্যাচে জোড়া গোল করলেন৷
ছবি: Reuters
ক্যামেরনকে ক্রোয়েশিয়ার অঙ্গুলি প্রদর্শন
নিষিদ্ধ থাকার কারণে ব্রাজিলের বিপক্ষে মাঠে নামতে পারেননি তিনি৷ তাই বায়ার্ন মিউনিখ স্ট্রাইকার মারিও মানসুকিচ ক্যামেরুনের বিপক্ষে নেমেই ঝাপিয়ে পড়েছিলেন ক্ষুধার্ত বাঘের মতো! ক্যামেরুনের আলগা রক্ষণভাগের সুযোগে করলেন জোড়া গোল! দল জিতল ৪-০ ব্যবধানে৷
ছবি: Getty Images
মেক্সিকোর মুখোমুখি হবে ক্রোয়েশিয়া
এই জয়ে ক্রোয়েশিয়া গ্রুপ এ-তে তিনটি পয়েন্ট পেয়েছে৷ অর্থাৎ ব্রাজিলের চেয়ে মাত্র এক পয়েন্ট কম৷ এর ফলে তারা মুখোমুখি হবে মেক্সিকোর, যারা এরই মধ্যে পেয়ে গেছে চার পয়েন্ট৷ এর আগে মেক্সিকো হারিয়েছিল ক্যামেরুনকে৷
ছবি: Emmanuel Dunand/AFP/Getty Images
10 ছবি1 | 10
ইংল্যান্ডের কোচ রয় হজসন
পারিশ্রমিকের দিক দিয়ে রুশ কোচের পরেই আছেন ইংল্যান্ডের কোচ রয় হজসন৷ বিশ্বকাপের কোচেদের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক তাঁর৷ গ্রুপ পর্ব থেকে ইংল্যান্ড ছিটকে পড়লেও তিনিও পদত্যাগ করছেন না বলে জানিয়েছেন৷ গ্রুপ ডি, যেটিকে বলা হয় গ্রুপ অফ ডেথ – সেখান থেকে পরের রাউন্ডে যাওয়ার সুযোগ হারায় ইংলিশরা৷ তবে এবারের ইংলিশ দলে অনেক নতুন খেলোয়াড় যুক্ত করার জন্য অনেক প্রশংসা কুড়িয়েছেন হজসন৷ ইংলিশ দল বিশ্বকাপ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর কুইন পার্ক রেঞ্জারস ম্যানেজার হ্যারি রেডক্ন্যাপ সংবাদ সংস্থা বিবিসিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘একটি দলের জন্য যা যা করা দরকার তার সবটুকুই তিনি করেছিলেন৷ কিন্তু কেন ভালো ফলাফল এলো না সেটা বোঝা মুশকিল৷' হজসনের বার্ষিক বেতন ৩৫ লাখ পাউন্ড বলে জানিয়েছে ডেইলি মেল৷
ইটালির কোচ সিজারে প্রানদেলি
উরুগুয়ের সাথে ১-০ গোলে হারের পর, কস্টারিকার কাছে ১-০ গোলে হেরে গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নেয় ইটালি৷ সেই সাথে বিদায় নেন ইটালির কোচ সিজারে প্রানদেলি৷ তিনি যখন তাঁর পদত্যাগের ঘোষণা দেন, তখন জনরোষের মুখে পড়েন৷ কারণটা তাঁর পারিশ্রমিক৷ তার বার্ষিক বেতন ২৫ লাখ ৭৫ হাজার পাউন্ড৷
অন্যদিকে, এবারের টুর্নামেন্টে সবচেয়ে কম পারিশ্রমিক পাওয়া মেক্সিকো ও কস্টারিকার কোচ সবচেয়ে সুনাম অর্জন করেছেন৷ দুই দলই প্রত্যাশার চেয়ে বেশি ভালো খেলেছে৷ মেক্সিকোর কোচ মিগেল এরেরা-র বার্ষিক পারিশ্রমিক মাত্র ১ লাখ ২৫ হাজার পাউন্ড৷ অন্যদিকে আইভরি কোস্ট-এর কোচ সাবরি লামুশি আর একটি উদাহরণ, যিনি কম পারিশ্রমিকে তাঁর দলকে সাফল্যের শিখরে পৌঁছিয়েছেন৷ তার পারিশ্রমিক বছরে ৬ লাখ ১৮ হাজার ১২৫ পাউন্ড৷
সাজো বিশ্বকাপের সাজে
প্রিয় দলের প্রতি সমর্থন নানাভাবে প্রকাশ করেন ফুটবল ভক্তরা৷ কেউবা বেছে নেন উদ্ভট বেশভূষা, কেউবা নিজের মুখটা রাঙান পতাকার রঙে৷ আজকাল আবার লেন্সও পাওয়া যাচ্ছে পতাকার রঙে৷ ফুটবল ভক্তদের কিছু ব্যতিক্রমী বেশভূষা পাবেন এখানে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
বিকিনিতে পতাকা
ক্যামেরন এবং ক্রোয়েশিয়ার ম্যাচ দেখতে আসা এক ব্রাজিলের ভক্ত এভাবেই সাজিয়েছেন নিজেকে৷ পুঁতির তৈরি বিকিনিতে বিশেষভাবে ব্রাজিলের পতাকা ফুটিয়ে তোলা হয়েছে৷ ফুটবল ভক্তদের ব্যতিক্রমী বেশভূষার কিছু নমুনা পাবেন এই ছবিঘরে৷
ছবি: picture alliance/PIXSELL
চোখের মণিতে পতাকা
দেখলে মনে হবে, জার্মানির এক ফুটবলভক্ত চোখের মণিতে এঁকেছেন জাতীয় পতাকা৷ আসলে তিনি কন্ট্যাক্ট লেন্স ব্যবহার করছেন৷ আর সেই লেন্সটাতে রয়েছে পতাকার রং৷
ছবি: picture-alliance/dpa
ঐতিহ্যবাহী পোশাক
ব্রাজিলে ঘানা এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার ম্যাচের সময়কার গ্যালারির ছবি এটি৷ ঘানার সমর্থকদের দেখা যাচ্ছে সে দেশের ঐতিহ্যবাহী পোশাকে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
দলকে জেতাতে মরিয়া!
দেখে মনে হচ্ছে দলকে জেতাতে রীতিমত ঝাড়ফুঁক দিচ্ছেন ঘানার এই ফুটবল ভক্ত৷ ছবিটি ১৬ই জুন ঘানা এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার খেলার সময় তোলা৷
ছবি: picture-alliance/dpa
ইকুয়েডরের ভক্ত
ইকুয়েডরের এক ফুটবল ভক্তের ফুটবল মাস্ক এটি৷ হন্ডুরাস এবং ইকুয়েডরের খেলা দেখতে এভাবেই মাঠে হাজির হন তিনি৷
ছবি: picture-alliance/dpa
পতুর্গাল বাদ
এবারের বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্যায় পার হতে পারেনি পর্তুগাল৷ কিন্তু এ জন্য কিন্তু ভক্তদের দোষ দেয়া যাবে না কিছুতেই৷ বরং তারা কিন্তু দলকে উজ্জীবিত রাখতে সর্বাত্মক চেষ্টাই করেছেন৷ এক পর্তুগিজ ফুটবল যুগল মাঠে এসেছিলেন এই লেবাসে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
মার্কিন সমর্থক
ইনি একজন মার্কিন সমর্থক৷ পর্তুগাল এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের খেলা দেখতে ২২শে জুন এভাবে মাঠে হাজির হন তিনি৷ সে খেলায় অবশ্য শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত ছিল টানটান উত্তেজনা৷
ছবি: picture-alliance/dpa
পোশাক দেখে কি চেনা যায়?
উত্তর খুঁজতে কষ্ট করার দরকার নেই৷ এরা মেক্সিকোর সমর্থক৷ ২৩শে জুন তাঁরা একটু বাড়তিই উচ্ছ্বসিত ছিলেন৷ কেননা সেদিন তাঁদের দল ৩-১ গোলে হারায় ক্রোয়েশিয়াকে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
ইনিও মেক্সিকোর সমর্থক
আগের ছবিতে যাদের কথা বলেছি, ইনিও তাঁদেরই একজন৷ তবে তাঁর লেবাস কিছুটা ভিন্ন৷ এমন বেশভূষা দীর্ঘসময় পরে থাকা কিন্তু সহজ কথা নয়৷ তবে ভক্তরা সবই পারেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa
এত বড় চিরুনি!
যাঁদের মাথায় চুল নেই তাঁরা এটাকে বাড়াবাড়ি মনে করতেই পারেন৷ তবে এই ফুটবল ভক্ত ব্রাজিল এবং ঘানার মধ্যকার ম্যাচ দেখতে এত বড় চিরুনি নিয়েই হাজির হন৷
ছবি: picture alliance/augenklick/firo Sportphoto
ঠোঁটে পতাকা!
জার্মানির এই দুই সমর্থক তাঁদের ঠোঁট রাঙিয়েছেন জাতীয় পতাকার আদলে৷ জার্মানিতে এমন চর্চা প্রচুর৷ খেলা শুরুর আগে ফুটবল ভক্তরা ছোট্ট করে গালে এঁকে নেন জাতীয় দলের পতাকা কিংবা ঠোঁট রাঙিয়ে নেন এভাবে৷
ছবি: DW/E.de Sá
11 ছবি1 | 11
অন্যদিকে গতবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন স্পেন এরই মধ্যে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিয়েছে প্রথম পর্ব থেকেই৷ সেই দলের কোচ ভিসেন্তে দেল বস্কে-র বার্ষিক পারিশ্রমিক কিন্তু কম নয়, ২০ লাখ ১৭ হাজার পাঁচশ পাউন্ড৷
এবার আসি যে দেশে খেলা হচ্ছে সেই স্বাগতিক ব্রাজিলের কোচের কথায়৷ ফেলিপে স্কোলারির পারিশ্রমিক বছরে ২৩ লাখ ৬৭ হাজার ৫০০ পাউন্ড৷ আর নেদারল্যান্ডস এর কোচ লুইস ফান খাল-কে বলা হয় বিশ্বকাপ ফুটবলের সবচেয়ে ‘চমৎকার' ম্যানেজার৷ তাঁর বার্ষিক বেতন ১৬ লাখ ৩১ হাজার ২৫০ পাউন্ড৷
ফ্রান্সের কোচ দিদিয়ের দেশঁ বছরে বেতন পান ১২ লাখ ৮৭ হাজার ৫০০৷ আর্জেন্টিনার কোচ আলেহান্দ্রো সাবেলা-র বার্ষিক পারিশ্রমিক মাত্র ৪ লাখ ৮৭ হাজার ৫০০ পাউন্ড৷ জার্মানির সেরা কোচ বলা হয় কোচ ইওয়াখিম ল্যোভ-কে৷ যাঁর বেতন বছরে ২১ লাখ ৪৬ হাজার ২৫০ পাউন্ড৷ আর বেলজিয়ামের কোচ মার্ক ভিলমটস এর বেতন বছরে ৫ লাখ ১৫ হাজার পাউন্ড৷