আধুনিক প্রযুক্তির এই যুগে ধাতুর চাহিদা বেড়েই চলেছে৷ কিন্তু অতীতের মতো বিশাল খনি থেকে ধাতু উদ্ধার অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত কারণে কঠিন হয়ে পড়ছে৷ গবেষকরা নতুন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সেই অসাধ্যসাধন করার চেষ্টা চালাচ্ছেন৷
বিজ্ঞাপন
মূল্যবান ধাতুর সন্ধানে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ছে৷ জার্মানির ফ্রাইব্যার্গ ইনস্টিটিউট অফ রিসের্সেস টেকনোলজির গবেষকরা সেই লক্ষ্যে একটি ড্রোন তৈরি করেছেন৷ তাতে প্রায় এক লাখ ইউরো মূল্যের পরিমাপের যন্ত্র রয়েছে৷ সেই ড্রোন ম্যাগনেটোমিটারের মতো যন্ত্র নিয়ে বিশাল এলাকা চষে বেড়াতে পারে৷ এভাবে পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্রে পরিবর্তন শনাক্ত করে আকরিকের সন্ধান করা হয়৷ ফলে এলাহি, জটিল ও ব্যয়বহুল খননকার্যের প্রয়োজন পড়ে না৷
গবেষকদলের সদস্য রিশার্ড গ্লোয়াগুয়েন বলেন, ‘‘আমরা জনবসতির আশেপাশের পরিবেশে যত কম সম্ভব হস্তক্ষেপ করতে চাই৷ এভাবে আমরা মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতাও পেতে চাই৷ দক্ষতা ও নিরাপত্তার বিষয়গুলিও গুরুত্বপূর্ণ৷ ড্রোনের মাধ্যমে দূর থেকেই দ্রুত তথ্য সংগ্রহ করা যায়৷’’
ড্রোন দিচ্ছে গুপ্তধনের সন্ধান
04:24
তারপর প্রত্যেকটি পরিমাপ যন্ত্রে সংগৃহীত তথ্য একত্র করা হয়৷ ভূতত্ত্ববিদরা এর মাধ্যমে মাটির নীচের কাঠামো শনাক্ত করতে পারেন এবং সেখানে কোন ধাতু পাওয়া যেতে পারে, সে বিষয়ে অনুমান করতে পারেন৷
বিখ্যাত জার্মান আবিষ্কারক আলেক্সান্ডার ফন হুমবল্ট বেঁচে থাকলে এমন প্রাক-অনুসন্ধানের প্রক্রিয়া সম্পর্কে নিশ্চয় উৎসাহিত হতেন৷ কারণ তাঁর আমলে মাটির গভীরে সঞ্চিত সম্পদ খোঁজার কোনো উপায় ছিল না৷ রিশার্ড গ্লোয়াগুয়েন সে যুগের বাস্তব মনে করিয়ে দিয়ে বলেন, ‘‘সে আমলে যেখানেই মাটির উপরের স্তরে আকরিক পাওয়া যেত, সেখানেই খনি গড়ে তোলা হতো৷ অর্থাৎ কেউ এমন উৎসের সন্ধান পেলেই খনন করতো৷ এখন আর সেটা সম্ভব নয়, কারণ ভূপৃষ্ঠের প্রায় সবটাই পরীক্ষা করা হয়ে গেছে৷ এবার মাটির গভীরে নজর দিতে হবে৷’’
তখনকার মতো এখনও চারিপাশের পাথর থেকে ধাতু নিষ্কাশন করতে হয়৷ ফ্রাইব্যার্গ ইনস্টিটিউট অফ রিসের্সেস টেকনোলজির আরেক জন গবেষক মার্টিন রুডল্ফ মনে করেন, ‘‘কীভাবে পাথর কাটা হয়, কীভাবে স্ট্যাম্প মিলের মাধ্যমে আকরিক গুঁড়া করা হয়, সে সব জানা জরুরি ছিল৷ শুধু বড় পাথর ভেঙে আলাদা করার প্রক্রিয়ার প্রয়োজন ছিল৷’’
কৃষির উন্নয়নে ড্রোন
ফসলের যত্নআত্তি করা, খেতখামারের চারপাশে নজর রাখা, ঠিকসময়ে কীটনাশক প্রয়োগের সিদ্ধান্ত নেয়াসহ নানা কাজে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে পারে ড্রোন৷ খেতখামারে অনুপ্রবেশকারী ঠেকাতেও বেশ কাজের এই ড্রোন, যা বদলে দিচ্ছে যুক্তরাজ্যের কৃষি৷
ছবি: picture-alliance/Photoshot/Z. Xudong
হাতের মুঠোয় খেতখামার
যুক্তরাজ্যের কৃষক কলিন রায়নার৷ সাতশো একর জমিতে তাঁর চাষবাস৷ এত বড় এলাকা ঘুরে দেখা তো আর মুখের কথা নয়৷ তাঁর জমিতে কেউ মোটরবাইক চালাচ্ছেন, কেউ বেড়া কেটে দিচ্ছেন--কিন্তু কিছুই করতে পারছিলেন না তিনি৷ তাই কৌশলী হয়ে ব্যবহার করছেন ড্রোন৷ মোটরবাইকারদের ছবি তুলে পুলিশের কাছে পাঠানোর কাজটা এখন আর মোটেও জটিল কিছু নয়৷
ছবি: Privat
ফসল পর্যবেক্ষণ
ড্রোনের প্রাথমিক দায়িত্ব হলো ফসলের ওপর নজর করা৷ বাসায় বসে ড্রোনটি উড়িয়ে দিলেন রায়নার৷ বিস্তীর্ণ মাঠের বিভিন্ন অংশ ঘুরে ঘুরে ছবি তুলে পাঠায় ড্রোন৷ সেই ছবি দেখে বোঝা যায়, মাঠের কোন অংশে ফসলের কী অবস্থা৷ তাই দেখে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেন রায়নার৷
ছবি: Drone AG/J. Wrangham
কীটনাশক প্রয়োগ
ভালো ফলনের জন্য পরিমিত মাত্রায় কীটনাশক প্রয়োগ খুব গুরুত্বপূর্ণ৷ কারণ নানা পোকামাকড় ছাড়াও ব্যাকটেরিয়া কিংবা ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হতে পারে ফসল৷ ড্রোনের সাহায্যে আক্রান্ত এলাকাটা চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার সুযোগ পান রায়নার৷ মাঠে না ঘুরেই বুঝে ফেললেন, কোন অংশে কোন ধরনের কীটনাশক দিতে হবে৷
ছবি: picture-alliance/Photoshot/Z. Xudong
নির্ভুল কৃষি
আকাশ ঘুরে ছবি তোলা আর তথ্য পাঠানোতেই সীমাবদ্ধ নয় ড্রোনগুলো৷ সময়ের সঙ্গে বাড়ছে এগুলোর কর্মদক্ষতা৷ কৃষিকাজের জন্য তৈরি বিশেষ ড্রোনগুলোতে একটি ট্যাংকার দেয়া হয়৷ ওই ট্যাংকে পানি থেকে শুরু করে কীটনাশক রাখা যায়, যা প্রয়োজনে ড্রোন থেকে ফসলের মাঠে ছিটানো সম্ভব৷ জিপিএস প্রযুক্তি থাকায় কাজটিও অনেক সোজা৷ ফলে ফলন বাড়ানোর পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর ফসল উৎপাদনে কৃষককে কম বেগ পেতে হচ্ছে৷
ছবি: Getty Images
নৈতিকতার চর্চা
প্রযুক্তির সুফলের সঙ্গে কুফলও আছে৷ পৃথিবীর প্রায় প্রতিটি দেশে ড্রোন উড়ানোর ক্ষেত্রে কিছু বিধিনিষেধ আছে৷ কারণ ড্রোনের অপব্যবহার, শুধু কৃষি নয় মানব সভ্যতার জন্যও বড় হুমকি হয়ে দেখা দিতে পারে৷ তাই আইন আর বিধিনিষেধ মেনেই এটাকে কৃষির উন্নয়নে ব্যবহার করা উত্তম৷
ছবি: Imago/Manngold
5 ছবি1 | 5
এভাবে শুধু রূপা, লোহা বা টিন নিষ্কাশন সহজ ছিল৷ অন্যদিকে জার্মেনিয়াম, ইন্ডিয়াম বা রেয়ার আর্থের মতো ধাতু উদ্ধার করা কঠিন কাজ৷ আজ উইন্ডমিল, ইলেকট্রিক গাড়ির ব্যাটারি ও স্মার্টফোনের জন্য এ সব ধাতুর প্রয়োজন হয়৷ মাটির মধ্যে এ সবের ঘনত্ব অত্যন্ত কম৷ এই সব ধাতু কীভাবে ভাঙা পাথর থেকে আলাদা করা যায়, মার্টিন রুডল্ফ সে বিষয়ে গবেষণা করছেন৷
পানি ও রাসায়নিক পদার্থ দিয়ে ধাতুর জন্য বড় আধারে ফেনাভরা এক তরল সৃষ্টি করা হয়৷ সবকিছু ঠিকমতো চললে পাথরের গুঁড়া থেকে ধাতুর কণা গ্যাসের বুদবুদের মাধ্যমে উপরের স্তরে চলে আসবে৷ তখন একের পর এক ফেনার স্তর ছেঁকে নিতে হবে৷
কিন্তু সমস্যা হলো, এই ফ্লোটেশন প্রক্রিয়া দ্রবণের উপকরণ ও অন্যান্য কারণে পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর৷ মার্টিন রুডল্ফ বলেন, ‘‘আমার গবেষণার প্রত্যাশিত লক্ষ্য খুব সহজ৷ ফ্লোটেশন নিয়ে আর গবেষণা নয়, বরং এমন প্রক্রিয়ার খোঁজ চলছে, যার আওতায় কোনো তরল ছাড়াই ধাতু আলাদা করা যাবে৷ এভাবেও কিছু সাফল্য পাওয়া যাবে৷ আমরা সেই কাজই করছি৷’’
ফ্লোটেশন প্রক্রিয়াকে পরিবেশবান্ধব করে তোলাও গুরুত্বপূর্ণ কাজ, যাতে এভাবে ব্যবহারের পর মূল্যবান ধাতু রিসাইক্লিং করে আবার উদ্ধার করা সম্ভব হয়৷
হুমবোল্টের মতো আধুনিক যুগে গুপ্তধনের সন্ধানের ক্ষেত্রেও বৃহত্তর চিত্র মনে রাখা অত্যন্ত জরুরি৷
মারিয়া লেসার/এসবি
আগুন নেভানোর চমকপ্রদ সব আবিষ্কার
প্রাকৃতিক অগ্নিকাণ্ড সভ্যতার শুরু থেকেই বিপদজনক ঘটনা হলেও শিল্পায়নের এই যুগে মানবসৃষ্ট কারণে এর সংখ্যা বেড়েছে৷ তাই নিত্য গবেষণাও চলে একে মোকাবেলার৷ ছবিঘরে জানুন আগুন নেভানোর কয়েকটি চমকপ্রদ আবিষ্কারের কথা৷
ছবি: Reuters/A. Konstantinidis
ফায়ারফাইটিং ড্রোন
ড্রোনের সুবিধা হলো এটি নীচে দাঁড়িয়ে নিয়ন্ত্রণ করা যায়৷ কয়েকটি কোম্পানি এরই মধ্যে ফায়ারফাইটিং ড্রোন বাজারে ছেড়েছে৷ যেখানে এখন পর্যন্ত ক্রেন দিয়ে সর্বোচ্চ ১০০ মিটারের কিছু বেশি উচ্চতায় পৌঁছানো যায়, সেখানে অ্যারোনেস কোম্পানির ড্রোনগুলো ৩শ’ থেকে ৪শ’ মিটার উচ্চতায় যেতে পারে এবং এগুলো মিনিটে ১০০ লিটার গতিতে পানি ছিটাতে পারে৷ শুধু তাই নয় ১৪৫ কিলোগ্রাম পর্যন্ত ওজনের কোনো ব্যক্তিকেও এটি তুলে আনতে পারে৷
ছবি: picture-alliance/NurPhoto/R. Tivony
সাউন্ডওয়েভ ফায়ার এক্সটিনগুইশার
যুক্তরাষ্ট্রের জর্জ মেসন ইউনিভার্সিটির দুই প্রকৌশল ছাত্র ট্র্যান ও রবার্টসন ২০১৭ সালে এই যন্ত্রটি আবিষ্কার করেন৷ যদিও আগুন নেভানোর জন্য শব্দের ব্যবহারের আইডিয়া আগে আলোচিত বা পরীক্ষা করা হয়েছে, একে বাস্তব যন্ত্রে রূপান্তর করেছেন এই দু’জন৷ যন্ত্রটি দিয়ে ১০০ হার্টজ ফ্রিকোয়েন্সির শব্দ তৈরি করে আগুনে অক্সিজেনের সরবরাহ বন্ধ করে দেয়া হয়৷ আর ম্যাজিকের মতো মুহূর্তেই আগুন নিভে যায়৷
ছবি: Youtube
বম্বার্ডিয়ার সিএল ৪১৫
এয়ারক্রাফট ফায়ারফাইটার হলো বিরাট আগুন (যেমন, ওয়াইল্ড ফায়ার) নেভানোর কাজে ব্যবহারযোগ্য বিমান৷ এর মধ্যে বম্বার্ডিয়ার সিএল ৪১৫ ক্যানাডায় তৈরি একটি বোমারু বিমান, যেটি আগুনের মধ্যে বোমার মতো পানি ফেলে অল্প সময়েই নিভিয়ে ফেলে৷ মাত্র ১২ সেকেন্ডে এটি ৬ হাজার ১শ’ ৪০ লিটার পানি ছড়াতে পারে৷ এটি উভচর৷
ছবি: picture-alliance/CTK/J. Sulc
স্কাইক্রেন
স্কাইক্রেনও এয়ারক্রাফট ফায়ারফাইটার৷ এটি একটি মার্কিন হেলিকপ্টার৷ এটিও অনেক দ্রুতগতিতে আগুনে পানি ছিটাতে পারে৷ মাত্র ৪৫ সেকেন্ডে ১০ হাজার লিটার পানি ছিটাতে পারে এই স্কাইক্রেনটি৷ এটি একটি মিলিটারি মডেলের হেলিকপ্টার৷ বিখ্যাত অ্যানিমেশন মুভি ‘দি ইনক্রেডিবল হাল্ক’-এ এই মডেলটি ব্যবহার করা হয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo
ফায়ারফাইটিং রোবট
ছোট ট্যাঙ্কের মতো এই ফায়ারফাইটিং রোবটগুলো অস্ট্রেলিয়ায় তৈরি৷ এগুলো আগুনের খুব কাছে পৌঁছে যেতে পারে৷ এগুলো ৮৫ মিটার বা একটি ফুটবল মাঠের দূরত্বে পানি ছেটাতে পারে৷ এগুলো সিঁড়ি বেয়ে উঠতে পারে, বাধা অতিক্রম করতে পারে৷ ছোট হলেও সামনে ভারী বস্তু ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিতে পারে৷ দুইজনকে বহন করতে পারে৷
ছবি: picture-alliance/Zuma/Kalashnikov
ফায়ার এক্সটিনগুইশার বল
এটা বেশ মজার একটি যন্ত্র৷ বলটিতে থাকে আগুন নেভানোর রাসায়নিক পদার্থ ও দাহ্য পদার্থ৷ তাই আগুনের সংস্পর্শে আসলে মাত্র তিন সেকেন্ডের মধ্যে এটি বিস্ফোরিত হয় এবং সেই পদার্থ ছড়িয়ে পড়ে৷ আগুন নিভে যায়৷ এগুলো বাসাবাড়ি ও অফিস আদালতে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে৷
ছবি: Youtube
স্কাই সেভার
ফারুক রূপায়ন টাওয়ার থেকে বাঁচতে অনেকেই অনেক ওপর থেকে লাফ দিয়েছিলেন৷ স্কাই সেভার থাকলে তাঁরা একে একে নিরাপদে নামতে পারতেন৷ এটি শুধু জ্যাকেটের মতো পরে কোনো একটি হুক বা কিছু সঙ্গে ওপরের নবটি আটকে লাফিয়ে পড়তে হয়৷ স্কাই সেভার বডির ওজন অনুযায়ী ব্যক্তিকে অল্পসময়ে আস্তে আস্তে নীচে নামিয়ে নিয়ে আসে৷
ছবি: Youtube
এলইউএফ ৬০
এলইউএফ ৬০ একটি চলনশীল ওয়্যারলেস রিমোট কন্ট্রোল যন্ত্র৷ এটি ১ হাজার ফুট পর্যন্ত সামনের আগুন নিভিয়ে পথ পরিষ্কার করে দেয়৷ এছাড়া মিনিটে ১ হাজার ৮শ’ লিটার পানি ৩৬০ ডিগ্রি অ্যাঙ্গেলে ছুড়তে পারে৷ বিদ্যুৎ চলে গেলে এতে ম্যানুয়েল কন্ট্রোলও আছে৷ বিশেষ করে ওয়্যারহাউস বা আন্ডারগ্রাউন্ডে আগুন নেভানোর মতো ঝুঁকিপূর্ণ কাজ সহজেই এর মাধ্যমে করা যায়৷
ছবি: Imago Images/imagebroker/strussfoto
হাই ফগ
কোনো অফিস ঘর বা হোটেল রুমে যেসব সাধারণ স্প্রিঙ্কলারগুলো রয়েছে, তাতে আগুন নেভাতে নেভাতে অনেক ক্ষতি হয়ে যায়৷ হাই ফগ এর চেয়ে দশগুণ বেশি গতিতে কাজ করে৷ এর বিশেষত্ব হলো এটি প্রচণ্ড বেগে কুয়াশার মতো পানি ছোড়ে, যা শুধু আগুনই নেভায় না, পরিবেশের তাপমাত্রা কমায় ও আগুনে অক্সিজেনের সরবরাহে বাধা দেয়৷ তাতে আগুন খুব দ্রুত নিভে যায়৷
ছবি: Youtube
অটো ফায়ারম্যান
গাড়িতে আগুন লাগার ঘটনা সচরাচর না ঘটলেও এটি খুব বিপদজনক৷ এই বিপদ এড়াবার জন্য রয়েছে অটো ফায়ারম্যান৷ গাড়ির ইঞ্জিনে একজোড়া অটো ফায়ারম্যান লাগিয়ে রাখলে তা তাপমাত্রা বেড়ে গেলে বা আগুন লেগে গেলে গ্যাসের মতো করে কেমিক্যাল রেজিন ছড়াতে থাকে৷ তাতে আগুন নিভে যায়৷
ছবি: Youtube
স্মার্ট ডিটেকটরস
কোথাও আগুনের সূত্রপাত ঘটলে তা ছড়িয়ে পড়ার আগে জানা গেলে তা নেভানো সহজ৷ স্মার্ট ডিটেকটর বিভিন্ন ধরনের ধোঁয়াকে আলাদা করতে পারে৷ যেমন, কোনটা চুলার রান্নার ধোঁয়া, কোনটা সত্যি আগুনের ধোঁয়া ইত্যাদি৷ এটি আপনার ফোনে নিয়মিত বিভিন্ন ধরনের ধোঁয়ার রিডিং দিতে থাকে৷ যদি কোনো আগুন বা ধোঁয়া বিপদজনক মাত্রায় পৌঁছাতে শুরু করে তখনই এটি আপনাকে এবং ফায়ার সার্ভিস বিভাগকে জানিয়ে দেবে৷