1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভারতের খাদ্য সুরক্ষা

অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি৯ আগস্ট ২০১৩

ভোটের ঠিক আগে ভারতের খাদ্য সুরক্ষা বিল বিতর্কিত রাজনৈতিক ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি কংগ্রেসের এই জনমুখী পদক্ষেপের না পারছে সরাসরি বিরোধীতা করতে, না পারছে মনমোহন সিং সরকারের রাজনৈতিক কৃতিত্ব মেনে নিতে৷

Die Frauen versuchen, den Reis zu verkaufen; Copyright: DW/Prabhakar Mani
ছবি: DW/Prabhakar Mani

স্বাভাবিকভাবেই তাই প্রশ্ন উঠেছে, খাদ্য সুরক্ষা বিল বা খাদ্য নিরাপত্তা আইন দারিদ্র্যমোচনে কতটা সহায়ক হবে – এই নিয়ে৷

সরকারের দাবি খাদ্য সুরক্ষা বিল পাশ হলে ভারতের ১২০ কোটি জনসংখ্যার দুই-তৃতীয়াংশ, অর্থাৎ ৮০-৮২ কোটি মানুষ পাবে খাদ্য, তথা পুষ্টির আইনি অধিকার৷ এর মধ্যে ৯০ শতাংশ গ্রামে এবং ৫০ শতাংশ শহরাঞ্চলে৷ গণবণ্টন ব্যবস্থার মাধ্যমে মাথাপিছু প্রত্যেককে দেয়া হবে মাসে পাঁচ কিলো খাদ্যশস্য, যা পাওয়া যাবে কম দামে এক থেকে তিন টাকা কিলো দরে৷ বিরোধীদের বক্তব্য, এই বিল যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর পরিপন্থী৷ এতে রাজ্য সরকারগুলির কাঁধে পড়বে তিন হাজার কোটি টাকার বাড়তি বোঝা৷

বিরোধীদের বক্তব্য যাই হোক না কেন, ভারতের মতো দেশে যেখানে অপুষ্টি ব্যাপক সেখানে এই বিল, অর্থাৎ খাদ্য নিরাপত্তা আইন যে একটি ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত – তাতে সন্দেহ নেই৷ আইনের উদ্দেশ্য যতই মহৎ হোক না কেন, আসল কথা এর সফল বাস্তবায়নের রাজনৈতিক সদিচ্ছা৷ সেজন্য দরকার সামাজিক নজরদারি৷ গণবণ্টন ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানো৷ নইলে এর অবস্থাও হবে মিড-ডে মিল স্কিমের মতো৷ গ্রামে-গঞ্জে প্রান্তিক পরিবারের ছোট ছোট স্কুল পড়ুয়াদের পুষ্টিকর আহারদান কর্মসূচি কর্তৃপক্ষের গাফিলতি ও দুর্নীতিতে মুখ থুবড়ে পড়বে৷

২০০৯ সালে জাতীয় পুষ্টি সংস্থার এক সমীক্ষায় বলা হয়েছিল, দেশে আদিবাসী এলাকায় ৪০ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৯ শতাংশ মহিলা অপুষ্টির শিকার৷ গোটা দেশে এই হার ৩৬ শতাংশের বেশি৷ খাদ্য সুরক্ষা শুধু প্রশাসনিক উদ্যোগে হবে না৷ তাই এগিয়ে আসতে হবে পঞ্চায়েত এবং মহিলাদের৷

গোটা দেশে অপুষ্টির শিকার৩৬ শতাংশের বেশি মানুষছবি: picture-alliance/dpa

দেশে আরো একটা বিতর্ক দেখা দিয়েছে দারিদ্র্যের সংজ্ঞা নিয়ে৷ কাদের বলা হবে গরিব? এর মাপকাঠি কী? পরিকল্পনা কমিশনের মতে, কারোর মাথাপিছু খরচ গ্রামে ২৭ টাকা আর শহরে ৩৩ টাকা হলে, তিনি গরিব নন৷ এটাকে মাপকাঠি ধরে কংগ্রেসের দাবি প্রথম মনমোহন সিং সরকারের আমলে গরিবি রেখার নীচে ছিল ৩২ শতাংশ মানুয, ২০১১-১২ সালে যা কমে হয়েছে প্রায় ২১ শতাংশ৷

বলা বাহুল্য, তা মেনে নিতে পারেননি বিরোধীরা৷ তাঁদের অভিযোগ, গরিবি রেখার নীচে থাকা মানুষের সংখ্যা কম দেখিয়ে খাদ্য সুরক্ষা বা ইন্দিরা আবাস যোজনার মতো সরকারি সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত করতে চাইছে সরকার৷ পরিকল্পনা কমিশনের উচিত, মূল্যবৃদ্ধির হার এবং জীবনযাত্রার খরচকে মাথায় রেখে দারিদ্র্যের নতুন সংজ্ঞা ঠিক করা, যাতে বাস্তবের সঙ্গে মিল থাকে৷ তবে একথা ঠিক, খাদ্য নিরাপত্তা আইন ঠিকমতো রূপায়িত হলে দারিদ্র্য এবং পুষ্টির ওপর তার লক্ষণীয় সদর্থক প্রভাব পড়বে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ