গরিব বলতে মানুষ কতো গরিব হতে পারে? প্যারাগুয়ের একটি এনজিও গাঁয়ের মানুষদের নিজেদেরই নির্ধারণ করতে বলে, তাঁরা কতোটা গরিব এবং ঠিক কোথায় গরিব৷ তারপর শুরু হয় দারিদ্র্য দূরীকরণ৷
বিজ্ঞাপন
গরিব বলতে মানুষ কতো গরিব হতে পারে? প্যারাগুয়ের একটি এনজিও গাঁয়ের মানুষদের নিজেদেরই নির্ধারণ করতে বলে, তাঁরা কতোটা গরিব এবং ঠিক কোথায় গরিব৷ তারপর শুরু হয় দারিদ্র্য দূরীকরণ৷
প্যারাগুয়ের রাজধানী আসুনসিয়ন থেকে গাড়িতে আধ ঘণ্টা লাগে সান লোরেন্সো যেতে৷ এখানে দু'লাখ সত্তর হাজার মানুষের বসবাস, তাদের অনেকেরই অস্তিত্ব দারিদ্র্যসীমার নীচে৷ যেমন মার্টা মেসা একটি রেস্টুরেন্টের মালিক৷ একটি ক্ষুদ্র ঋণ নিয়ে তিনি এই দোকানটি খোলেন কয়েক বছর আগে৷ মার্টা বলেন, ‘‘এম্পানাদা, অন্যান্য খাবারদাবার, স্ন্যাক্স, কোল্ড ড্রিঙ্কস, সন্ধ্যেয় হ্যামবার্গার পর্যন্ত৷ আমি চব্বিশ ঘণ্টা এখানে থাকি৷ এটা একসঙ্গে আমার বাড়ি আর দোকান৷''
অ্যামেরিকায় দারিদ্র্য
যুক্তরাষ্ট্রে সামাজিক অসামঞ্জস্যতার চিত্রটা দিন দিন প্রকট হয়ে উঠছে৷ ২০১৪ সালে মার্কিন নাগরিকরা তাঁদের চাহিদা মেটাতে হিমশিম খাচ্ছেন৷ অর্থনীতিবিদদের মতে, বেকারত্বই মার্কিন নাগরিকদের দরিদ্র্যতার মূল কারণ৷
ছবি: Getty Images
ত্রাণের জন্য আকাশচুম্বী চাহিদা
২০১২ সালে অ্যামেরিকায় দারিদ্র্যের চিত্রটা ছিল ভয়াবহ৷ দারিদ্র্যের কবলে পড়েছিল ৪ কোটি ৭০ লাখ মানুষ, যার মধ্যে ১ কোটি ৩০ লাখ শিশু৷ ২০১০ সালে বিনামূল্যে সরকারের কাছ থেকে খাবার পেত ২ কোটি ৬০ লাখ মানুষ৷ ২০১২ সালে সে সংখ্যাটা অনেক বেড়েছে৷
ছবি: Frederic J. Brown/AFP/Getty Images
দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে লড়াই
১৯৬৪ সালের ৮ জানুয়ারি ‘স্টেট অফ দ্য ইউনিয়ন’ ভাষণে অ্যামেরিকা থেকে দারিদ্র্য দূর করার ঘোষণা দিয়েছিলেন তখনকার প্রেসিডেন্ট লিন্ডন জনসন৷ তাঁর ঘোষণার ৫০ বছর পরেও বিশ্বের অন্যতম অর্থনৈতিক ক্ষমতাধর এই দেশ দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে লড়াই করে যাচ্ছে৷
ছবি: Getty Images
গৃহহীন মানুষের সংখ্যা
দারিদ্র্যের কারণে খাদ্যাভাব দেখা দেয়৷ মার্কিন প্রশাসনের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, নিউইয়র্ক শহরে ২০১৩ সালে গৃহহীন মানুষের সংখ্যা আগের তুলনায় বেড়েছে৷
ছবি: Frederic J. Brown/AFP/Getty Images
জরুরি খাদ্য সহযোগিতা
জরুরি খাদ্য সহযোগিতার ব্যাপক চাহিদা৷ নিউইয়র্ক সিটির ফুড ব্যাংক প্রতিদিন শহরের ৪ লাখ মানুষকে বিনামূল্যে খাবার দেয়৷
ছবি: Getty Images
দারিদ্র্যের অভিজ্ঞতা
মার্কিন পরিসংখ্যান ব্যুরো’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০০৯ এবং ২০১১ সালের মধ্যে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার কারণে প্রতি তিনজন মার্কিন নাগরিকের একজনের দারিদ্র্যের অভিজ্ঞতা হয়েছে৷
ছবি: Getty Images
সমস্যাক্রান্ত ২০১৩
অনেক সময়ই এমন হয় মানুষ চাকরি করছে, কিন্তু তার চাহিদা মেটাতে পারছে না৷ যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিদিনের মাথাপিছু আয় গড়ে ৭.২৫ ডলার৷ ২০১৩ সালে গ্যালাপ-এর এক জরিপে দেখা গেছে ২০ ভাগ প্রাপ্তবয়স্ক মার্কিন নাগরিককে খাবারের জন্য যুদ্ধ করতে হচ্ছে৷
ছবি: DW/Y. Zarbakhch
বিশেষ আয়োজন
এই কুপনটি ‘থ্যাঙ্কসগিভিং ডে’ তে বিনামূল্যে টার্কি খাওয়ার জন্য৷ নিউইয়র্ক সিটির ‘কোয়ালিশন অ্যাগেন্টস হাঙ্গার’ জানিয়েছে, প্রতি ৬ জনের মধ্যে একজন মার্কিন নাগরিক গত বছর পর্যাপ্ত খাবারের অভাবে দিন কাটিয়েছে৷
ছবি: Getty Images
ধনী-দরিদ্রের ব্যবধান
ওয়াশিংটন ডিসিতে বেশ কয়েকটি গরিব পরিবারকে বিনামূল্যে খাবার বিতরণ করে মান্না ফুড সেন্টার৷ বিশ্বের এই ধনী দেশটির ১ কোটি ৬০ লাখ শিশু দারিদ্র্যের মধ্যে রয়েছে৷ এই শিশুরা যুক্তরাষ্ট্রের ধনী-দরিদ্রের ব্যবধানকে সামনে তুলে ধরেছে৷
ছবি: Getty Images
8 ছবি1 | 8
মার্টা মেসা-র দোকান ভালোই চলেছে, যদিও তিনি ঠিক বড়লোক হয়ে ওঠেননি৷ ন্যান্সি রামোস নিয়মিতভাবে সেখানে গিয়ে দেখেন, মার্টার পরিস্থিতির কীভাবে উন্নতি করা যায়৷ ন্যান্সি প্যারাগুয়ে ফাউন্ডেশন-এর হয়ে কাজ করেন৷ এই সংস্থাটি একাধিকবার মার্টার ক্ষুদ্র ঋণের ব্যবস্থা করে দিয়েছে৷ ন্যান্সি সবসময়েই তাঁর ট্যাবলেট সঙ্গে নিয়ে আসেন – এছাড়া একটি জরিপের কাগজ, যাকে তিনি ‘দারিদ্র্যের ট্র্যাফিক লাইট' নাম দিয়েছেন৷ ন্যান্সি বলেন: ‘‘আমি যখন একটি পরিবারকে জিজ্ঞাসা করি: তোমরা কি গরিব? অনেক সময় তারা উত্তরই দিতে পারে না; কথায় বোঝাতে পারে না, তারা কতোটা গরিব৷ আমাদের ট্র্যাফিক লাইট সিস্টেম দিয়ে আমরা ধাপে ধাপে বার করে নিই, তাদের দারিদ্র্যটা কোথায়৷''
দারিদ্রের লাল-সবুজ-হলদে
মূল কথা হল, মার্টা মেসা তাঁর নিজের অবস্থা নিজেই পরীক্ষা করেন, আর্থিক সঙ্গতি থেকে স্বাস্থ্যগত পরিস্থিতি৷ ন্যান্সি সঠিক প্রশ্নগুলি করেন৷ ন্যান্সি বোঝালেন: ‘‘এখানে যেমন আমরা সঞ্চয়ের ইন্ডিকেটরটা নিয়েছি৷ এই ছবিটার মানে হল, এই পরিবারটির কোনো সঞ্চয় নেই৷ এই ছবিটার মানে হল, এরা মাঝেমধ্যে কিছুটা বাঁচিয়ে থাকেন৷ আর এই পরিবারটি মাস ছয়েক ধরে সঞ্চয় করছে৷''
ইউরোপের বস্তিগুলো
ইউরোপের শহরগুলোর বস্তিতে তিন কোটিরও বেশি মানুষের বাস৷ এসব বস্তিতে নেই বিদ্যুৎ ও পানির সুব্যবস্থা৷
ছবি: FILIPPO MONTEFORTE/AFP/Getty Images
অমানবিক অবস্থা
বেশিরভাগ বস্তিতে এক ছাদের নীচে অনেকে বাস করেন৷ মাত্র চার বর্গমিটার এলাকায় তিন জন মানুষ গাদাগাদি করে থাকে৷ নেই বিশুদ্ধ পানি, শৌচাগার বা নিরাপত্তা৷
ছবি: AFP/Getty Images
প্যারিসের অন্য রূপ
ইউরোপের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর নাম রোমা৷ অভিজাত শহর ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসের উপকণ্ঠে একটি বস্তির ছবি এটি৷ ইউরোপের বিভিন্ন শহরের বস্তিতে রোমাদের সংখ্যাটাই বেশি৷ এদের বেশিরভাগই শিক্ষা থেকে বঞ্চিত এবং বেকার৷
ছবি: DW/G. Ketels
ঘর হারানোর ভয়
আমাদের দেশের মতোই বেশিরভাগ বস্তি অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে৷ তবে প্রধান শহরগুলোতে কিছু বস্তি কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুমোদিত৷ রোমারা এসব বস্তিতে খুব আশঙ্কার মধ্যে থাকে, কেননা তারা শ্রেণি বৈষ্যমের শিকার এবং যে-কোনো সময় তাদের বের করে দেয়ার ভয় দেখানো হয়৷
ছবি: Pablo Blazquez Dominguez/Getty Images
প্রদীপের নীচে অন্ধকার
ইউরোপকে সবসময় ধনসম্পদে পরিপূর্ণ এবং জীবনযাপনের জন্য ভালো স্থান বলে তুলে ধরা হয়৷ কিন্তু ফ্রান্স থেকে সার্বিয়া বা তুরস্ক সব জায়গাতেই কিন্তু বস্তি রয়েছে৷ ইউরোপের সবচেয়ে বড় বস্তিটি স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদের কাছে অবস্থিত৷ ৪০ বছর আগে গড়ে ওঠা এই বস্তিতে বাস করেন প্রায় ৩০,০০০ মানুষ৷
ছবি: DW
বস্তিতে বসবাসকারী মানুষের সংখ্যা
জাতিসংঘের মতে, ২০২০ সালের মধ্যে সাহারা অধ্যুষিত আফ্রিকায় মোট জনসংখ্যার ২৬.৬ শতাংশ বস্তিতে বাস করবে, যা বর্তমানের চেয়ে একটু বেশি৷ এশিয়ার মোট জনসংখ্যার ৫৭.৭ শতাংশ মানুষ বস্তিতে বাস করবে৷ সেই তুলনায় ইউরোপের দেশগুলোতে মোট জনসংখ্যার মাত্র ২.৩ শতাংশ মানুষ থাকবে বস্তিতে৷
ছবি: Mindjazz pictures
বৃত্ত থেকে বের হওয়ার উপায় নেই
বিশ্বের অন্যান্য বস্তির তুলনায় ইউরোপের বস্তিগুলোর মানুষ অবশ্য সুযোগ সুবিধা থেকে ততটা বঞ্চিত নয়৷ তবে বিশ্বের সব বস্তিতে একটা বিষয়ে মিল আছে আর তা হলো শিক্ষার আলো থেকে বস্তিবাসীরা বঞ্চিত৷ ফলে এরা কেউ এই দরিদ্রতা থেকে বেরিতে আসতে পারে না৷
ছবি: picture-alliance/dpa
কণ্টকিত জীবন
ইউরোপের বস্তিগুলো কেবল রোমা সম্প্রদায় নয় অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মাথা গোঁজার জায়গা৷ বিশেষ করে স্পেনে অর্থনৈতিক মন্দার পর অনেকেই বাসা ভাড়া এবং বাড়ি বন্ধকীর অর্থ শোধ করতে না পারায় বস্তিতে ঠাঁই নিয়েছেন৷
ছবি: DW
গৃহহীন
ইটালির রাজধানী রোমের উপকণ্ঠে একটি শরণার্থী শিবিরে এই পরিবারটির বাস৷ আসলে একটা বস্তির আকার ও আয়তন কি হবে তা পরিমাপ করাটা কঠিন৷ তবে বরাবরই কর্তৃপক্ষ যা ঘোষণা করে তার চেয়ে বস্তিবাসী মানুষের সংখ্যা বেশি হয়ে থাকে৷
ছবি: FILIPPO MONTEFORTE/AFP/Getty Images
8 ছবি1 | 8
লক্ষ্য হলো, লাল থেকে হলদে হয়ে সবুজে পৌঁছনো৷ এই সব রং থেকে প্রতিবার বোঝা যায়, কোথায় প্রগতি হয়েছে, কোথায় ঘাটতি রয়েছে৷ মার্টা মেসা-র ক্ষেত্রে তাঁর স্নানের ঘরটি এখনো লালের ঘরে৷ মার্টা জানালেন: ‘‘আমার সবচেয়ে বেশি দরকার হল, একটা নতুন বাথরুম৷ এখানে সব কিছু আরো নতুন, আরো আধুনিক হওয়া দরকার, দেয়াল, মেঝে, সব কিছু আরো ভালো হওয়া চাই, আমার পরিবারের জন্য, আমার ছেলের জন্য৷''
পরের কয়েক সপ্তাহ ধরে সেটাই হবে লক্ষ্য৷ মার্টার নথির জন্য আর একটি ছবি তুললেই মার্টা আর তাঁর সমস্যার রেকর্ড রয়ে গেল৷ ন্যান্সি যখন পরের বারে আসবেন, তার আগে অগ্রগতি ঘটা চাই৷
রোজগারের পন্থা
প্যারাগুয়ের মানুষদের প্রায় এক-চতুর্থাংশ দারিদ্র্যে জীবন কাটান৷ কয়েক বছর আগেও এই সংখ্যা ছিল অনেক বেশি৷ রোজগারের অপরাপর পন্থা সৃষ্টির প্রচেষ্টা সফল হচ্ছে, বলে মনে হয়৷ প্যারাগুয়ে ফাউন্ডেশন ঠিক সেই পন্থাতেই কাজ করে, বিশেষ করে মহিলাদের ক্ষেত্রে৷ ন্যান্সি জানালেন: ‘‘আমরা নানা রকম রোজগারের পন্থা উদ্ভাবন করতে সাহায্য করি, যেমন ছোট ব্যবসা৷ ক্ষুদ্র ঋণের মাধ্যমেও সেটা করা হয়৷ মহিলারা এ ভাবে সরাসরি ও তাড়াতাড়ি টাকা রোজগারের সুযোগ পান৷''
ব্রাজিলের সুরম্য বস্তি
রিও ডি জানেরোর ভিডিগাল বস্তি ক্রমশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে পর্যটকদের কাছে৷ চমৎকার সৈকত আর শিল্পীর কারুকাজে জীবন্ত হয়ে ওঠা শহুরে দেয়ালগুলো বিদেশিদেরও টেনে আনছে৷ অবশ্য সেজন্য চড়া দাম দিতে হচ্ছে স্থানীয়দের৷
ছবি: DW/Greta Hamann
ফাভেলা ও ফ্যাশন
রিও-র ভিডিগাল ফাভেলা, অর্থাৎ ভিডিগাল বস্তি এক সময় ছিল রাহাজানির জন্য কুখ্যাত৷ তবে নামকরা অভিনয় স্কুল, রঙ ঝলমলে স্ট্রিট আর্ট আর অসাধারণ প্রকৃতি এখন পর্যটকদের সেখানেই টানছে৷
ছবি: DW/Greta Hamann
পাহাড় মিলেছে সাগরে
রিও ডি জানেরোর দক্ষিণ অংশে পাহাড়ের ঢালজুড়ে ছড়িয়ে আছে ভিডিগাল৷ ঠিক পায়ের কাছে বিখ্যাত ইপানেমা সৈকত, জমকালো লেবলন শহর৷ সন্ধ্যায় পাহাড়ের কোল থেকে ভিডিগাল বস্তির ঝিকিমিকি আলো যেন আমন্ত্রণ জানায় সৈকতে আসা পর্যটকদের৷
ছবি: DW/Greta Hamann
বেড়েছে ভিড়, চড়েছে দর
১৯৬০-এর দশকে কাজের খোঁজে লেবলন শহরে আসা দরিদ্র মানুষের আশ্রয় ছিল এই ভিডিগাল৷ কিন্তু নয়নাভিরাম প্রকৃতির পাশে আবাসন ব্যবসা ফুলে-ফেঁপে ওঠায় জীবনযাত্রার ব্যয়ও বেড়েছে একই হারে৷
ছবি: DW/Greta Hamann
প্রতিবাদের স্মৃতি
১৯৬০-এর দশকে এই পাহাড়ি এলাকায় বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্ট গড়ে তোলার পরিকল্পনা রুখে দিয়েছিলেন ভিডিগালের বাসিন্দারা৷ বহু বিখ্যাত শিল্পী, গায়ক ও চলচ্চিত্রকার শামিল হয়েছিলেন সেই প্রতিবাদে৷
কেবল এক বেলার ভ্রমণ নয়, ইদানীং অনেকেই ভিডিগালে আসছেন লম্বা ছুটি কাটাতে৷ তাদের আবাসনের ব্যবস্থা করতে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন মানের ও ভাড়ার হোটেল৷
ছবি: DW/Greta Hamann
পাঁচ তারা ফাভেলা
নানা ধরনের নির্মাণযজ্ঞ চলছে ভিডিগালের এখানে সেখানে৷ এমনকি বস্তির মধ্যে পাঁচ তারা হোটেল গড়ে তোলারও পরিকল্পনা চলছে৷ এই তালিকায় সর্বশেষ যুক্ত হয়েছে হোটেল মিরেনটো ডু আরভারাঁও, যার একটি ডিলাক্স কক্ষে রাত কাটাতে গুণতে হবে ১৩০ ইউরো৷
ছবি: DW/Greta Hamann
কতটা নিরাপদ?
কেউ কেউ বলেন, কোপাকাবানার চেয়ে এখন বস্তিতে থাকা নিরাপদ৷ ২০১২ সালের জানুয়ারিতে ইউপিপি পিস পুলিশ দায়িত্ব নেয়ার পর মাদক কারবারিদের উৎপাত নেই৷ ছিনতাইয়ের ঘটনাও কমে এসেছে অনেক৷
ছবি: DW/Greta Hamann
ঠাঁই হারানোর ভয়
অর্ধশতক আগে প্রতিবাদী হয়ে অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পারলেও এখন নতুন করে আবাস হারানোর ভয় গ্রাস করছে ভিডিগালের পুরনো বাসিন্দাদের৷ বিলাসবহুল সব আবাসিক প্রকল্প ও হোটেল মালিকদের আনাগোনায় ক্রমশ তাঁরা কোণঠাসা হয়ে পড়ছেন৷
ছবি: DW/Greta Hamann
9 ছবি1 | 9
হোসেফা হিমেনেস এখানেই বাস করেন৷ গত তিন মাস ধরে তিনি এই প্রকল্পে সংশ্লিষ্ট৷ তাঁর ব্যবসা হল সাবান তৈরি করা৷ প্যারাগুয়ে ফাউন্ডেশন-এর সাহায্যে সাবান তৈরি একটা ভালো ব্যবসা হয়ে উঠেছে৷ হোসেফা জানালেন: ‘‘আমি সাবান কিনি প্যারাগুয়ে ফাউন্ডেশনের কাছ থেকে, তারপরে সেটা মিশিয়ে বিক্রি করি৷ খুব ভালোই বিক্রি হয়৷'' ন্যান্সি রামোস-ও মাঝেমধ্যে এখানে এসে হোসেফা-র সঙ্গে তাঁর অবস্থা নিয়ে কথা বলেন৷ হোসেফা-রও একটা স্বপ্ন আছে: ‘‘আমি একটা নতুন রান্নাঘর চাই, সেটাই হল আমার স্বপ্ন৷ আমি সেটাকে বাস্তব করতে চাই৷''
হোসেফা আপাতত খোলা আকাশের নীচে রাঁধেন৷ তবে শীঘ্রই এই পরিস্থিতি বদলে যাবে, বলে আশা করা যায়৷
ফুটপাথেই যাঁদের সংসার
কলকাতার জনসংখ্যা প্রায় এক কোটি৷ তার ১০ শতাংশ, মানে প্রায় ১০ লক্ষ মানুষ ফুটপাথে থাকেন৷ এঁদের একটা অংশ ঠেলা বা রিকশা চালক, কুলি মজুর, যাঁরা রুটি-রুজির তাগিদে এই শহরে থাকেন৷ বাকিদের জন্ম থেকে মৃত্যু কাটে রাস্তার ধারেই৷
ছবি: DW/S. Bandopadhyay
খাওয়া-শোওয়া রাস্তায়
রাস্তায় হলেও প্রত্যেক পরিবারের থাকার নির্দিষ্ট জায়গা থাকে৷ তার মধ্যেই গুছনো সংসার৷ রান্নাঘর, ভাঁড়ারঘর, সব একেবারে গেরস্তবাড়ির মতই৷
ছবি: DW/S. Bandopadhyay
অমলীন হাসি
রাস্তায় জন্ম, চূড়ান্ত দারিদ্রের মধ্যে বেড়ে ওঠা, তবু অমলীন থাকে শৈশবের হাসি৷ এটাই অবাক করা৷
ছবি: DW/S. Bandopadhyay
মাথার ওপর ছাদ
সকলেই পথবাসী, কিন্তু ভাগ্যবান কেউ কেউ পেয়ে যায় মাথার ওপর ছাদ৷ যেমন দক্ষিণ কলকাতার গড়িয়াহাটের এই ফ্লাইওভার৷ গোটা ২০ পরিবারের বাস এর তলায়৷
ছবি: DW/S. Bandopadhyay
ঘর সামলানো
সংসারের পুরুষ-মহিলারা সবাই কিছু না কিছু খুচরো কাজ করেন৷ রাস্তার সংসার সামলানোর জন্যে থেকে যান বয়স্ক আর শিশুরা৷
ছবি: DW/S. Bandopadhyay
এক চিলতে জীবন
সরু একফালি বুলেভার্ডে নড়াচড়ার জায়গা থাকে না৷ দুধারের রাস্তা দিয়ে দিনরাত ছুটে চলে ব্যস্ত ট্রাফিক৷ কিন্তু উপায় কী? তার মধ্যেই পথবাসীদের ঘরবাড়ি৷
ছবি: DW/S. Bandopadhyay
ফুটপাথই ঠিকানা
ওদের নিশ্চয়ই কোনো চিঠি আসে না৷ কোন ঠিকানায় আসবে? আজ এই ফুটপাথে বাস, তো কালই হয়ত খেদিয়ে দিল পুলিস৷