1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পেয়ার স্টাইনব্রুক

ভল্ফগাং ডিক / এসি২২ সেপ্টেম্বর ২০১৩

সামাজিক গণতন্ত্রীদের চ্যান্সেলর পদপ্রার্থী শেষ মুহূর্ত অবধি বিভিন্ন জরিপে আঙ্গেলা ম্যার্কেলের চেয়ে পিছিয়ে ছিলেন৷ অপরদিকে স্টাইনব্রুক স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন যে, তিনি সিডিইউ-সিএসইউ-এর সঙ্গে কোনো মহাজোটে যাবেন না৷

SPD-Kanzlerkandidat Peer Steinbrück spricht am 19.09.2013 bei der SPD-Wahlkampfveranstaltung "Klartext Open Air" in Berlin auf dem Alexanderplatz. Foto: Kay Nietfeld/dpa
পেয়ার স্টাইনব্রুকছবি: picture-alliance/dpa

স্টাইনব্রুক নানা সাক্ষাৎকারে বারংবার বলেছেন, গণতান্ত্রিক দলগুলির পরস্পরের সঙ্গে জোট সরকার গঠনের জন্য প্রস্তুত থাকা উচিত৷ কিন্তু তার একটি ব্যতিক্রম করেছেন স্টাইনব্রুক নিজে৷ বলেছেন, তাঁর নিজের শুধু একটিই বিকল্প আছে এবং সেটি হল, সবুজদের সঙ্গে জোট সরকারে চ্যান্সেলর হওয়া৷

ম্যার্কেল এবং স্টাইনব্রুকের মধ্যকার টিভি ডিবেট ড্র হয়েছিল বলে মনে করা হয়ছবি: Sean Gallup/Getty Images

নাছোড়বান্দা

জনমত সমীক্ষায় কী বেরলো অথবা না বেরলো, তা নিয়ে কোনোদিনই বিশেষ মাথা ঘামাতে দেখা যায়নি ৬৬ বছর বয়সি অর্থনীতিবিদ স্টাইনব্রুককে৷ তাঁর নানা ভুলভ্রান্তি কিংবা অন্যান্য চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য নিয়ে যে মন্তব্যই করা হোক না কেন, স্টাইনব্রুক তাঁর নির্বাচনি প্রচারণা চালিয়ে গেছেন৷ অবশ্য স্টাইনব্রুক কিশোর বয়সেই প্রমাণ করে দেন যে, তিনি সহজে ছাড়বার পাত্র নন৷ অঙ্কে খারাপ ছিলেন বলে স্কুলে দু'টি বছর নষ্ট করতে হয় তাঁকে৷ তবুও শেষমেষ নিজের পথ নিজেই করে নিয়েছেন: চ্যান্সেলরের দপ্তরে সহকারী কর্মকর্তা থেকে শুরু করে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে নানা পদ, তারপর নর্থরাইন ওয়েস্টফালিয়া রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, অবশেষে সিডিইউ-এসপিডি দলের বৃহৎ জোটে ২০০৫ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত অর্থমন্ত্রী৷

পারস্পরিক

মহাজোটের অর্থমন্ত্রী হিসেবে ম্যার্কেলের সঙ্গে একযোগে আর্থিক সংকটের বিরুদ্ধে লড়েছেন স্টাইনব্রুক৷ দলীয় বিভাজন ছাড়িয়ে উভয়ে উভয়ের সম্পর্কে উচ্চ ধারণা পোষণ করেন৷ ২০০৯ সালে আর্থিক সংকট যখন চরমে উঠতে চলেছে, তখন জার্মানিতেও ‘ব্যাংক রান'-এর সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিল৷ সে সময় ম্যার্কেল এবং স্টাইনব্রুক একত্রে দাঁড়িয়ে আমানতকারীদের আশ্বাস দেন, জার্মানির ব্যাংকগুলিতে তাদের সঞ্চিত অর্থ নিশ্চিত ও নিরাপদ৷ কিন্তু এবারকার নির্বাচনি প্রচারে স্টাইনব্রুক স্পষ্ট বলেছেন, তিনি ঐ সহযোগিতা আর চান না: ‘‘আমরা অপরের সুবিধার জন্য বোকা সাজতে রাজি নই৷''

স্টাইনব্রুক আদর্শগত কারণে সবুজ দলের সঙ্গে জোট গড়তে চেয়েছিলেনছবি: Reuters

রক্ষণশীল সামাজিক গণতন্ত্রী

রাজনীতিক হিসেবে স্টাইনব্রুকের আচার-আচরণ কিছুটা পাণ্ডিত্য আর কিছুটা অসৌজন্যের সংমিশ্রণ, অর্থাৎ কূটনীতিক সুলভ নয়৷ যা ভাবেন, সরাসরি তাই বলে দেন৷ কিছুটা অধৈর্যও বটে, বলেন সহযোগীরা৷ তাঁকে রক্ষণশীল সামাজিক গণতন্ত্রী বললে ভুল করা হবে না৷ নর্থরাইন ওয়েস্টফালিয়ার মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীনই স্টাইনব্রুক সাবেক চ্যান্সেলর গেয়ারহার্ড শ্র্যোডারের তথাকথিত ‘‘২০১০'এর কর্মসূচি'' সমর্থন করেছিলেন৷ শ্র্যোডারের লক্ষ্য ছিল, শ্রমবাজারের ব্যাপক সংস্কারের মাধ্যমে বেকারত্ব কমানো৷ বাস্তবে ঘটেও তাই৷ অপরদিকে মালিকপক্ষ নতুন নিয়মাবলীর সুযোগ নিয়ে কাজের শর্ত, পরিবেশ ও পারিশ্রমিক কমায় – যার একটি ফলশ্রুতি: জার্মানির ২০ শতাংশ শ্রমিক-চাকুরিজীবী আজ তাদের বেতন-পারিশ্রমিক থেকে জীবনধারণ করতে অক্ষম৷

হামবুর্গের একটি ব্যবসায়ী পরিবারের সন্তান স্টাইনব্রুক পুঁজিবাদের সুযোগ ও সুবিধাগুলোকে ভালোভাবেই চেনেন৷ স্কুলে থাকতেই বাকি পড়ুয়াদের সাইকেলের ওপর নজর রাখা থেকে শুরু করে স্কুলের পার্কিং লটে গাড়ির ওপর নজর রাখায় উন্নীত হন৷

রাজনীতিতে তাঁর আদর্শ হল উইলি ব্রান্ট৷ ব্রান্ডের তথাকথিত ‘পূর্ব রাজনীতি' তাঁকে মুগ্ধ করেছিল৷ ব্রান্ট-এর একটি মন্তব্যকে স্টাইনব্রুক তাঁর বীজমন্ত্র করে নিয়েছেন: ‘তোমাকে সব কিছুর জন্য লড়তে হবে৷ কোনো কিছুই পড়ে পাওয়া নয়৷''

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ