1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

যৌনমিলনে আইএস-এর নির্দেশনা

২৯ ডিসেম্বর ২০১৫

তথাকথিত ইসলামিক স্টেট বা আইএস তার সদস্যদের জন্য একটি ফতোয়া জারি করেছে৷ এতে দাসীদের সঙ্গে যৌনমিলনের ক্ষেত্রে কয়েকটি নির্দেশনা রয়েছে৷ ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে জারি করা এই ফতোয়াটি প্রকাশ করেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স৷

Irak vom IS verschlepptes Mädchen
ছবি: picture-alliance/AP Photo/D. Bennett

একটি আদেশে বলা হয়েছে, বাবা ও ছেলে একই দাসীর সঙ্গে যৌনমিলন করতে পারবে না৷ আরেকটিতে বলা আছে, কেউ একজন যদি মা ও মেয়ে উভয়ের ‘মালিক' হয়ে থাকে তাহলে সে দু'জনের সঙ্গে যৌনসম্পর্ক গড়তে পারবে না৷ এক্ষেত্রে যে কোনো একজনকে বেছে নিতে হবে৷

এছাড়া দাসীদের ‘সমবেদনা দেখাতে, দয়ালু হতে, আপমানিত না করতে এবং সে যে কাজ করতে সমর্থ নয় সেটি করতে তাকে বাধ্য না করতে' মালিকদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে৷ দাসীদের বিক্রির ক্ষেত্রে এমন কোনো মালিকের কাছে বিক্রি করা যাবে না, যে (ভবিষ্যত মালিক) তার দাসীদের নির্যাতন করতে পারে বলে আগে থেকে অনুমান করা যায়৷

জাতিসংঘ ও বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা আইএস-এর বিরুদ্ধে হাজার হাজার নারী ও তরুণী অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগ এনেছে৷ বিশেষ করে উত্তর ইরাকের ইয়াজিদি সম্প্রদায়ের নারী ও তরুণীদের অপহরণের অভিযোগ আছে আইএস-এর বিরুদ্ধে৷ পুরস্কার হিসেবে আইএস যোদ্ধাদের এসব নারী দেয়া হয় বলে অভিযোগ আছে৷ এছাড়া দাস হিসেবে তাদের বিক্রিও করা হয়৷

গত এপ্রিলে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ-এর এক প্রতিবেদনে ২০ জন নারীর সাক্ষাৎকার প্রকাশ করা হয়, যাঁরা আইএস-এর নিয়ন্ত্রণ থেকে পালিয়ে আসতে সমর্থ হয়েছেন৷ তাঁরা জানান, অপহরণ কিংবা আটক করাদের মধ্যে যাঁরা অল্পবয়সি নারী তাঁদের প্রথমে পুরুষ ও বয়স্ক নারীদের থেকে পৃথক করে আইএস৷ এরপর ঐ কমবয়সি নারীদের পুরস্কার হিসেবে আইএস যোদ্ধাদের দিয়ে দেয়া হয় কিংবা দাস হিসেবে তাদের বিক্রি করে দেয়া হয়৷ সেখানে এ সব নারীদের অসংখ্যবার ধর্ষণ ও নির্যাতন করা হয় বলে জানান তাঁরা৷

যুক্তরাষ্ট্রের স্পেশ্যাল অপারেশনস ফোর্স গত মে মাসে শীর্ষ এক আইএস জঙ্গিকে ধরতে সিরিয়ায় অভিযান চালনার সময় আইএস-এর বেশ কিছু ডকুমেন্ট জব্দ করে৷ এর মধ্যে আলোচিত এই ফতোয়াটিও ছিল৷

এক হাজার বছর পুরনো মিশরের আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবদেল ফাতাহ আলাওয়ারি বলেন, আইএস ইচ্ছে করেই গত কয়েক শতাব্দী ধরে চলে আসা কুরআনের আয়াত ও বাণীর ভুল ব্যাখ্যা করছে৷

এদিকে, ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে ১২০ জনেরও বেশি ইসলামি পণ্ডিত আইএস নেতা আবু বকর আল-বাগদাদিকে একটি চিঠি লিখেছিলেন৷ সেখানে নিজেদের কার্যক্রমের স্বপক্ষে আইএস যেসব ধর্মীয় যুক্তি খাড়া করছে, সেগুলো ঠিক নয় বলে উল্লেখ করা হয়৷ পণ্ডিতরা বলেন, ‘‘দাসত্বকে পুনরায় ফিরিয়ে আনায় ইসলামে নিষেধাজ্ঞা আছে৷''

জেডএইচ/ডিজি (রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ