দায় শোধ করতে জরুরি ঋণ চাইলো গ্রিস
২৪ এপ্রিল ২০১০কঠিন আর্থিক মন্দার মধ্যে পড়া গ্রিস এখন ঋণের দায়ে জর্জরিত৷ এই ঋণ শোধ করার জন্য ইতিমধ্যে দেশটির পক্ষ থেকে ৪৫ বিলিয়ন ইউরোর একটি আর্থিক উদ্ধার প্যাকেজ চাওয়া হয়েছে ইইউ এবং আইএমএফ এর কাছে৷ শুক্রবার গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী জর্জ পাপানদ্রেউ এক টিভি ভাষণে জানান এই আর্থিক সহায়তা জাতীয় প্রয়োজনেই দরকার৷ অপরদিকে গ্রিক সরকারের অর্থ মন্ত্রী জর্জ পাপা কন্সটানিনৌ জানিয়েছেন যে এই সহায়তা ইতিমধ্যে বাস্তবায়নের পথে রয়েছে এবং আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই তা চলে আসবে৷ মূলত ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষ থেকে এই ব্যাপারে সবুজ সংকেত পাওয়ার পরেই গ্রিক সরকার আর্থিক সহায়তা চাওয়ার ঘোষণা দেয়৷ ইউরোপীয় কমিশনের মুখপাত্র আমাদেও আলতাফাজ জানান, ‘কত অর্থ লাগবে তা বলা হয়েছে, এর প্রক্রিয়াও প্রস্তুত রয়েছে৷ ইউরো জোনের অর্থনীতিকে স্থিতিশীল রাখতে সবকিছুই যথাযথভাবে করা হয়েছে৷'
ইইউর এই ৪৫ বিলিয়ন ইউরোর আর্থিক সহায়তা দেওয়া হলে প্রথম বছরে সুদের হার রাখা হবে মাত্র পাঁচ শতাংশ৷ তিন বছরে এই সহায়তা দেওয়া হবে৷ ইউরোপীয় কমিশনের প্রধান জোসে মানুয়েল বারোসোও এই আর্থিক সহায়তার ব্যাপারে ইতিবাচক মত দিয়েছেন৷ কিন্তু এই এখনও একমত হতে পারছে না ইউরো জোনের সবচেয়ে বড় অর্থনীতি জার্মানি৷ শুক্রবার বার্লিনে জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল এই খবরের প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যেই বলেছি যে, এই ধরণের হস্তক্ষেপ হতে হবে কঠিন শর্তের মধ্য দিয়ে৷ এর অর্থ হচ্ছে এই, যে সর্বপ্রথমে এই উদ্ধার প্রকল্পের ব্যাপারে গ্রিস, ইইউ এবং আইএমএফ এর মধ্যে একটি কার্যকর আলোচনা হতে হবে৷ আমি গ্রিক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি, তিনি আমাকে জানিয়েছেন যে এটাতে সময় লাগবে৷ দ্বিতীয়ত, যদি এই প্রকল্পের ব্যাপারে ঐকমত্য হয় তাহলে ইউরোপীয় কমিশন, ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক এবং আইএমএফকে খতিয়ে দেখতে হবে যে এই উদ্ধার প্রকল্প ইউরোকে স্থিতিশীল রাখে কিনা৷'
জার্মান চ্যান্সেলর তাঁর মত দিয়ে বলেছেন, এই দুটি বিষয় খতিয়ে দেখার পরই গ্রিসকে সহায়তা দেওয়ার বিষয়টি চূড়ান্ত হতে পারে৷ প্রসঙ্গত, গ্রিসকে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার ব্যাপারে বরাবরই অনিচ্ছা প্রকাশ করে আসছে জার্মানি৷
পর্যবেক্ষকদের মতে, গ্রিসের অর্থনীতিতে আইএমএফ এর হস্তক্ষেপ গোটা ইউরোজোনের বিশ্বাসযোগ্যতাকেই প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলবে৷
প্রতিবেদক: রিয়াজুল ইসলাম, সম্পাদনা: সাগর সরওয়ার