1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‌দিদিকে বললে কাজ হবে?‌

শীর্ষ বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতা
৫ আগস্ট ২০১৯

২০২১ বিধানসভা ভোটের দিকে তাকিয়ে জনসংযোগ বিশেষজ্ঞ প্রশান্ত কিশোর–কে তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের ভাবমূর্তি পুনর্গঠনের দায়িত্ব দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী৷ কিন্তু তাতে কি কাজ হবে?

Indien Plakat von Westbengalen Chief Ministerin Mamata Banerjee
ছবি: DW/S. Bandyopadhyay

কলকাতা–সহ গোটা রাজ্য ছেয়ে গেছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর সহাস্য মুখের ছবি দেওয়া বিজ্ঞাপনে৷ বড় বড় করে লেখা— ‘দিদিকে বলো'৷ তার নিচে একটি মোবাইল নম্বর দিয়ে লেখা— আপনার মতামত বা সমস্যা থাকলে আমাকে ফোন করুন৷ উত্তরবঙ্গের পাহাড় থেকে দক্ষিণের গঙ্গাসাগর, সর্বত্র রাস্তার ধারে দেখা যাচ্ছে এই হোর্ডিং৷ ফোন কি করছেন লোকে?‌ অবশ্যই করছেন৷ প্রথম দিনেই সংবাদ মাধ্যমের একটি অংশ বলল, ফোন করলে সর্বক্ষণ ব্যস্ত পাওয়া যাচ্ছে৷ কথা বলারই উপায় নেই৷ পরদিনই সরকারের তরফে দাবি করা হল, প্রথম ২৪ ঘণ্টায় এক লক্ষেরও বেশি ফোন পেয়েছে সরকার৷ সেই শুনে একদল অঙ্ক কষে প্রমাণে ব্যস্ত হয়ে পড়ল, ২৪ ঘণ্টায় এক লক্ষ সংযোগ কোনও মোবাইলে আদৌ সম্ভব কি না৷
সরাসরি রাজ্যবাসীর সঙ্গে প্রশাসনের যোগাযোগ গড়ে তোলা, বা দিদিই সব সমস্যার সমাধান, কাজেই ‘‌দিদিকে বলো'‌— এই জনসংযোগ পরিকল্পনার পিছনে আছে গণজ্ঞাপন বিশেষজ্ঞ প্রশান্ত কিশোর ও তাঁর দল৷ তাদের ছকে দেওয়া রাস্তাতেই পশ্চিমবঙ্গে মমতা ব্যানার্জী, তাঁর সরকার এবং তাঁর দল তৃণমূল কংগ্রেসের হারানো বিশ্বাস, ভরসা পুনরুদ্ধারের এই চেষ্টা৷

কী বলছেন বিরোধীরা?‌ সিপিআইএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর বক্তব্য, ‌দিদিকে বলো— এই কথাটার কোনও মানেই হয় না! মানুষ নির্বাচিত করে বিধায়ক, সাংসদ, যাতে তাঁরা মানুষের কথা ঠিক জায়গায় বলতে পারেন৷ কিন্তু তাঁরা কিছু বলবেন না, রাজ্যের নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রী কিছু বলবেন না৷ কে বলবে?‌ একজন নৈর্ব্যক্তিক দিদি!‌ ‘‌কার দিদি?‌ কেন দিদি?‌ কেন মুখ্যমন্ত্রী নন?‌ কেন দিদি?‌'‌ প্রশ্ন তুললেন সুজন৷ তাঁর সোজা কথা, বিধানসভায় প্রশ্ন করা হয় মুখ্যমন্ত্রীকে৷ রাজ্যের বেহাল পরিস্থিতির কথা জানিয়ে বহু চিঠি দেওয়া হয় তাঁকে৷ কেন ফসলের দাম না পেয়ে কৃষক আত্মহত্যা শুরু হল এই রাজ্যেও, যে কোনও চাকরির পরীক্ষায় কেন দুর্নীতি, মহিলাদের সুরক্ষা কেন নেই— এসব প্রশ্নের উত্তর বরং দিন মুখ্যমন্ত্রী৷

‘‘নির্বাচিত সাংসদের বদলে দিদিকে বলো, কেন?’’

This browser does not support the audio element.

জননেতা, বিশেষত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের ক্ষেত্রে ইমেজ তৈরির এই চেষ্টা কি আদৌ কার্যকর হবে?‌ জনসংযোগ বিশেষজ্ঞ সুগত চৌধুরি বললেন, ইতিহাসে তেমন নজির নেই৷ আর নেতা-নেত্রীদের ক্ষেত্রে তাঁদের জনসভায় ভাষণ দেওয়ার দক্ষতাই তাঁদের জনসংযোগের মূল উপায়৷ সেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আর মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর মধ্যে যদি তুলনা হয়, তা হলে মোদী এগিয়ে আছেন দিদির থেকে৷ কাজেই সুগত সন্দিহান, এই চেষ্টার ফল মিলবে কি না৷

‘‘এমন নজির ইতিহাসে নেই’’

This browser does not support the audio element.

 

আর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি কথা বলেছেন তৃণমূল কংগ্রেসেরই বর্ষীয়ান নেতা, অভিজ্ঞ রাজনীতিক সুব্রত মুখার্জী৷ সদ্য তিনি প্রকাশ্যেই মন্তব্য করেছেন, দিদিকে বলার পর সমস্যার সমাধান হচ্ছে কি না, সেটাও অত্যন্ত জরুরি৷ নয়ত দিদিকে বললাম, কিন্তু কাজের কাজ কিছু হল না, তার উল্টো ফল হবে৷ মুখ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ, এই ব্যাপারটা তিনি যেন খেয়াল রাখেন৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ