পুরো এক খেতের ফসল প্রকাশ্যে দিনের আলোয় চুরি করে নিয়ে যাওয়া কি সম্ভব? শুনতে অসম্ভব শোনালেও এই কাজ করেছে একদল চোর৷ পুরো এক খেত আঙুর তুলে নিয়ে গেছে তারা৷
বিজ্ঞাপন
চাষাবাদের জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ ব্যবহার করে আট হাজার ইউরো মূল্যমানের আঙুর খেত থেকে তুলে নিয়ে গেছে একদল চোর৷ জার্মানির দক্ষিণাঞ্চলের শহর হেসেলবাখের এই ঘটনা আলোড়ন সৃষ্টি করছে৷ সেখানকার পুলিশ সোমবার জানিয়েছে, একদল চোর পুরো একটি আঙুরখেত খালি করে ফেলেছে৷ মূলত হোয়াইটা ওয়াইন উৎপাদনের জন্য চাষ করা এই আঙুরের দাম কয়েক হাজার ইউরো৷
‘‘অজ্ঞাত পরিচয়ের অপরাধীরা আঙুর চুরির সময় এই ফল তোলার জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতিও ব্যবহার করেছে,’’ জানিয়েছে পুলিশ৷
গত বুধবার বিকেল চারটা থেকে ছয়টার মধ্যে আঙুর চুরির ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করছে পুলিশ৷ এই সময়ের মধ্যে ডাইডেসহাইম গ্রামের এক খেত থেকে ১,৬০০ কিলোগ্রাম আঙুর তুলে নিতে সক্ষম হয়েছে চোরেরা৷
প্রসঙ্গত, ডাইডেসহাইম জার্মানির রাইনল্যান্ড-প্যালাটিনেট রাজ্যে অবস্থিত৷ সংশ্লিষ্ট এলাকা পর্যটন এবং ওয়াইন উৎপাদনের জন্য বিখ্যাত৷ মূলত ‘রিসলিং’ ওয়াইনের জন্য এলাকাটির সুখ্যাতি থাকলেও ‘স্পার্কলিং ওয়াইন’ উৎপাদনে গোটা বিশ্বের মধ্যে শীর্ষস্থানে থাকা ‘স্লস ভাখেনহাইম গ্রুপ’-এর জন্মস্থানও সেখানে৷ জার্মানি থেকে রপ্তানি করা ওয়াইনের নব্বই শতাংশই সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে উৎপাদন করা হয়৷
এলিজাবেথ শ্যুমাখার / এআই
জার্মানিতে সাইকেল চুরি
জার্মানিতে প্রতিবছর গড়ে ৩৪০,০০০টি সাইকেল চুরির ঘটনা রেজিস্ট্রার করা হয়৷ তবে ধারণা করা হয়, এই সংখ্যা তার চেয়েও কয়েকগুণ বেশি৷ তবে একটু সতর্ক হলে চোরের হাত থেকে আপনার সাইকেলটি রক্ষা করতে পারেন৷ এবার সেই উপায়গুলোই জেনে নিন৷
ছবি: picture-alliance/Bildagentur-online/Klein
মাত্র তিন মিনিট
একটি সাইকেল চুরি করতে প্রয়োজন মাত্র ‘তিন মিনিট’ বলেন সাইকেল বিশেষজ্ঞ টোমাস গাইসলার৷ মাত্র তিন মিনিটেই নাকি সাইকেলের একটি সাধারণ তালা খুব সহজে খোলা বা ভাঙা যায়৷ ফলে সাধারণ তালা সাইকেল চুরির পথ আরো সহজ করে দেয়৷
ছবি: BilderBox
চোর প্রতিরোধকারী তালা
মজবুত তালা লাগানো দেখলে চোর সতর্ক হয়ে যায়৷ তাই বিশেষ তালা লাগানোর ব্যবস্থা করতে হবে৷ অর্থাৎ এমন তালা লাগাতে হবে, যে তালা চোর খুলতে বা ভাঙতে গেলে অ্যালার্ম বেজে উঠবে৷ যেমন বর্ডো অ্যালার্ম ৬০০০ এ, উইথ ১০০০ ডেসিবেল৷ এই তালাটির মূল্য ১৪০ ইউরো৷
ছবি: MN
অজান্তে চোরকে সাহায্য করবেন না
জায়গা নিরিবিলি হলে চোরের জন্য স্বাভাবিকভাবেই চুরি করাটা আরো সহজ হয়ে যায়৷ তাই সাইকেল স্ট্যান্ড একটু দূরে হলেও, যেখানে মানুষের আনাগোনা নেই বা কম আনাগোনা, সেরকম জায়গায় নিত্যদিনের সাথি প্রিয় সাইকেলটিকে না রাখাই শ্রেয়৷
ছবি: DW/B. Bathke
জায়গা পরিবর্তন করুন!
কর্মস্থলের সামনে কিংবা বাড়ির সামনে একই জায়গায় প্রতিদিন সাইকেল না রাখাই উচিত৷ কারণ সাইকেল চোর নিয়মিত লক্ষ্য রাখে, সাইকেলের মালিক কতক্ষণ বাইরে বা ভেতরে থাকেন৷ আর সেভাবে প্ল্যান করে কোনো সমস্যা ছাড়াই চোর নিশ্চিন্তে আপনার শখের সাইকেলটি নিয়ে পালিয়ে যেতে পারে৷
ছবি: DW/B. Bathke
খোদাই করে রাখুন
ইউরোপে ভালো একটি সাইকেলের মূল্য অনেক সময় পুরনো একটি গাড়ির চেয়েও বেশি পড়ে৷ এ সব ক্ষেত্রে সাইকেলের ওপর নিজের নাম বা নিজের পছন্দের কিছু খোদাই করে লিখিয়ে নিন৷ এতে পুলিশের জন্য আপনার মূল্যবান সাইকেলটি যে চুরি করেছে, তাকে ধরার পথ অনেক সহজ হয়ে যাবে৷
ছবি: picture alliance/dpa/AP Photo/K. Joensson
উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার
দামি সাইকেলে জিপিএস ট্রান্সমিটার লাগানোরও ব্যবস্থা থাকে৷ তাই প্রয়োজনে সেসব ব্যবস্থা নিন৷ কারণ প্রিয় সাইকেল চুরি হয়ে যেখানেই থাকুক না কেন, তা অ্যাপের মাধ্যমে আপনার মোবাইলই জানিয়ে দেবে৷ তবেই বঝুন, চোর পালিয়ে যাবে কোথায়!
ছবি: https://www.musictraveler.com/
ই-বাইক বা ইলেক্ট্রনিক বাইক
আপনার সাইকেলটি যদি ইলেকট্রনিক হয়, তাহলে অবশ্যই সাইকেলের ব্যাটারি-প্যাক সাথে নিয়ে যেতে ভুলবেন না! কারণ ওটা ছাড়া সাইকেল একেবারেই মূল্যহীন, অর্থাৎ চোরের কোনো লাভই হবে না৷