1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

দিল্লিতে ই-রিক্সা

অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি৩ নভেম্বর ২০১৩

দিল্লির রাস্তায় আজকাল দাপটে চলছে পরিবেশ-বান্ধব ইকো-রিক্সা বা ই-রিক্সা৷ প্রচলিত সাইকেল রিক্সার বিকল্প হিসেবে কম দূরত্বে দ্রুত যাতায়াতের পক্ষে যা খুবই সুবিধাজনক৷ তবে এই রিক্সার সংখ্যা বাড়ায় হচ্ছে ট্র্যাফিক জ্যামও৷

Eco-Friendly Tricycles/Rickshaws on Delhi roads. Man ferrying passengers in battery operated rickshaw in Delhi. Copyright: DW via Arafatul Islam, DW Bengali
ছবি: DW

রিক্সার বিবর্তনে হাতে টানা দু'চাকার রিক্সা, তিন চাকার সাইকেল রিক্সা থেকে হালের ব্যাটারি-চালিত দূষণ মুক্ত, শব্দহীন তিন চাকার ই-রিক্সা৷ পোট্রোল নয়, ডিজেল নয়, প্রাকৃতিক গ্যাস নয়, স্রেফ চারটি ১২ ভোল্টের ব্যাটারিতে ২৫০ ওয়াটের কম বিদ্যুতে চার থেকে পাঁচজন যাত্রি নিয়ে ঘণ্টায় ২০ থেকে ২৫ কিলোমিটার গতিতে চলতে পারে৷ এই বাহন নন-মোটরাইজড বাহনের আওতায় পড়ে বলে ট্র্যাফিক নিয়ম-কানুন এই বাহনের ওপর প্রযোজ্য হয় না৷

ই-রিক্সা চালকরা যেমন খুশি চালান, যেখানে সেখানে পার্ক করেনছবি: DW

শুধু তাই নয়, বাহনের পারমিট বা রেজিস্ট্রেশন নেবার দরকার হয় না৷ এর সুযোগ নিয়ে ই-রিক্সা চালকরা যেমন খুশি চালান, যেখানে সেখানে পার্ক করেন৷ স্বাভাবিকভাবেই যা ট্র্যাফিক জ্যামের কারণ হয়৷ ট্র্যাফিক পুলিশ জরিমানা করতে পারে না, যেহেতু এগুলো ট্র্যাফিক নিয়মের মধ্যে পড়ে না৷ তবে পুলিশ এবং পরিবহন বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এদের জন্য আলাদা পার্কিং-এর জায়গা নির্দিষ্ট রাখা দরকার৷ পাশাপাশি ট্র্যাফিক আইনের বাইরেও এরা থাকতে পারে না৷

দিল্লি ট্র্যাফিক পুলিশের এক শীর্ষকর্তা বলেন, অনেক ই-রিক্সা বেশি শক্তি-সম্পন্ন মোটর ব্যবহার করে থাকে বেশি যাত্রি নিতে পারবে বলে৷ ২৫০ ওয়াটের পরিবর্তে অনেক ই-রিক্সায় লাগানো আছে ৬৫০ ওয়াটে চলা ৮৫০ অশ্বশক্তির ইঞ্জিন৷ উচ্চ শক্তির ইঞ্জিনে আপত্তি নেই, কিন্তু যাত্রি-বাহন হিসেবে দিল্লি সরকারকে ই-রিক্সার লাইসেন্স ও রেজিস্ট্রেশন ইস্যু করার জন্য বলা হয়, যাতে ট্র্যাফিক নিয়ম লঙ্ঘন করলে শাস্তি দেয়া যায়৷ কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী শীলা দিক্ষিত আপাতত তাতে সায় দেননি৷ তাঁর মতে, দিল্লি মেট্রো স্টেশন এবং আশেপাশের আবাসিক কলোনিগুলির মধ্যে যাতায়াতে সাধারণ মানুষের সুবিধা হবে৷

ই-রিক্সা আমদানি করা হয় চীন থেকে খোলা অবস্থায়ছবি: DW

ই-রিক্সা আমদানি করা হয় চীন থেকে খোলা অবস্থায়৷ ভারতে সেটা জোড়া দেয়া হয় মাত্র৷ ইঞ্জিনের হর্স-পাওয়ার বাড়ানোর কোনো সুযোগ নেই৷ ই-রিক্সার সংখ্যার ওপরও কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই৷ কয়েকটি মডেলে বিক্রি হয়৷ যেমন, ময়ুরী ,ডিলুক্স, বাই-বাই৷ দাম পড়ে ৯৫ হাজার টাকা থেকে এক লাখ পঁচিশ হাজার টাকা৷ চালানোর খরচ সেদিক থেকে খুবই কম৷ এক রাত্রি ব্যাটারি চার্জ দিলে ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার চলে, ডয়চে ভেলেকে জানালেন ই-রিক্সা চালক রফিক এবং মাহিন্দর৷ আয়ের কথা তুলতে ওঁনারা জানান, দৈনিক আয় গড়ে ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা৷ তার মধ্যে ই-রিক্সার মালিককে দিতে হয় ৩৫০-৪০০ টাকা৷ মাথা পিছু ভাড়া ঠিক হয় দুরত্ব হিসেবে৷ শুরু ১০ টাকা থেকে৷

ইকো-রিক্সা কতটা মজবুত এবং নিরাপদ তাই নিয়ে ট্র্যাফিক পুলিশ এবং ই-রিক্সা অপারেটরদের মধ্যে বিবাদ আদালত পর্যন্ত গড়ায়৷ এরপর আদালত ই-রিক্সার কাঠামোর মজবুতি এবং যাত্রি নিরাপত্তা পরীক্ষা করার আদেশ দেয়৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ