দিল্লি দাঙ্গার প্রথম শাস্তি, অভিযুক্তের পাঁচ বছর জেল
২০ জানুয়ারি ২০২২
দিল্লি দাঙ্গার সঙ্গে জড়িত প্রথম একজনের শাস্তি হলো। দীনেশ যাদবকে পাঁচ বছর কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
বিজ্ঞাপন
দীনেশ যাদবের অপরাধ সে দাঙ্গায় সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছিল, লুটতরাজ করেছিল এবং একজন ৭৩ বছর বয়সি বৃদ্ধার বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিল। তার ফলে বাড়িটি পুড়ে যায়। দিল্লির আদালত জানিয়েছে, দীনেশ যাদব দোষী ও তার পাঁচ বছর জেল হবে।
যাদবের বিরুদ্ধে অভিযোগ
আদালতে যাদবের বিরুদ্ধে আইনজীবীদের অভিযোগ ছিল, একাধিক দাঙ্গাকারী দলের সক্রিয় সদস্য ছিল দীনেশ যাদব। এর মধ্যে ৭৩ বছর বয়সি মানোরির বাড়িতে হামলার ক্ষেত্রে সে অন্যতম প্রধান ভূমিকা নিয়েছিল। ২০০২ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি মানোরির বাড়ি আক্রমণ করে দেড়শ থেকে দুইশ হামলাকারী।
সেই সময় অন্যরা বাড়ির বাইরে ছিলেন। দাঙ্গাকারীরা লুটতরাজ ও ভাঙচুর করে বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়।
দীনেশের আইনজীবীর বক্তব্য ছিল, তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে। ঘটনার আটদিন পর এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।
যুদ্ধক্ষেত্রের নাম উত্তর পূর্ব দিল্লি
ভয়াবহ বললে কম বলা হয়। উত্তর পূর্ব দিল্লির হিংসা বিধ্বস্ত এলাকায় এখনও ধোঁয়া। পোড়া গন্ধ। ছাইয়ের স্তূপ। নিহত বেড়ে ৪২।
ছবি: DW/S. Ghosh
হিংসার স্তূপ
চার দিন ধরে ধ্বংসলীলা চলেছে উত্তর পূর্ব দিল্লির এই এলাকায়। অনেক বাড়ি র আস্ত নেই। ছাই হয়ে গিয়েছে সব কিছু।
ছবি: DW/S. Ghosh
এটাই ঘর
কয়েক দিন আগেও এটাই ছিল এক দম্পতির সুখের সংসার। হিংসার পর তাঁরা পালিয়ে বেঁচেছেন। বাড়ির ভিতরের চিত্র এখন এটাই।
ছবি: DW/S. Ghosh
মাঝ রাতে হানা
মধ্য রাতে আক্রমণ হয়েছিল এই বাড়িতে। সব কিছু ভএঙে তছনছ করে দেওয়ার পরে এ ভাবেই আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এখনও উড়ছে ধোঁয়া।
ছবি: DW/S. Ghosh
পাথরের রাস্তা
রাস্তা জুড়ে এ ভাবেই পড়ে আছে পাথর। এখনও সময় সময় চলছে পাথর বৃষ্টি। পরিষ্কার করার সাহসও কেউ দেখাচ্ছেন না।
ছবি: DW/S. Ghosh
গাড়ির শো রুম
এক বহুজাতিক সংস্থার গাড়ির শো রুম এটি। জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে প্রতিটি গাড়ি।
এখানে ছিল চায়ের দোকান। আগুনে ছাই হয়ে গিয়েছে সব। চার দিন পরে নিজের দোকানের সামনে আসার সাহস পেয়েছেন এই মহিলা। পাশেই ছিল তাঁর ঘর। তারও আর কোনও অস্তিত্ব নেই।
ছবি: DW/S. Ghosh
রাস্তার ধারের দৃশ্য
রাস্তা জুড়ে এ ভাবেই পড়ে আছে পোড়া বাইক, স্কুটার, রিকশ। বাতাসে পোড়া মোবিলের গন্ধ।
ছবি: DW/S. Ghosh
বিধ্বস্ত টায়ার কারখানা
পেট্রোল পাম্পের পাশে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল টায়ার কারখানা। আপাতত এলাকার দখল নিয়েছে পুলিশ। ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না কাউকে।
ছবি: DW/S. Ghosh
গাড়ির কঙ্কাল
টায়ার কারখানার পাশে এ ভাবেই পড়ে আছে পোড়া গাড়ি, বেকারির ভ্যান।
ছবি: DW/S. Ghosh
এটাই রান্নাঘর
রান্না বসিয়ে ছিলেন এই বাড়ির গৃহকত্রী। তখনই হামলা হয়। সব ছেড়ে পালিয়ে যান সকলে। গোটা রান্না ঘর জ্বালিয়ে দেওয়া হয় এ ভাবেই।
ছবি: DW/S. Ghosh
শুনশান বাড়ি
দাঙ্গাবাজরা আসার পরে এই অবস্থাতেই ঘর ছেড়ে পালিয়েছিলেন বাড়ির মালিক। আক্রমণকারীরা ভিতরে ঢুকে শেল ফাটিয়েছিল। তাতেই পুড়ে গিয়েছে সব কিছু।
ছবি: DW/S. Ghosh
আশ্রয় শিবির
আশ্রয়হীন মানুষদের এ ভাবেই ছোট ছোট দলে রেখেছেন এলাকার মানুষ। হিন্দু মুসলিম সকলে একসঙ্গেই বাস করছেন সেখানে।
ছবি: DW/S. Ghosh
পুলিশের তৎপরতা
হিংসার তিন দিন পর তৎপর হয়েছে পুলিশ। কোনও কোনও এলাকায় এ ভাবেই পাহারা দেওয়া হচ্ছে বাড়ি।
ছবি: DW/S. Ghosh
সাফাই পর্ব
হিংসার আঁচ অনেকটাই কমেছে যেখানে, সেখানে শুরু হয়েছে সাফাইয়ের কাজ। সাফাই গাইছেন রাজনীতির নেতারাও। শুক্রবার বিজেপি দাবি করেছে, হিংসায় উস্কানি দিয়েছেন কংগ্রেস নেতারা। বিরোধীরাও এর প্রতিবাদে সরব হয়েছেন। তাঁদের নিশানায় বিজেপির কোনও কোনও নেতার ঘৃণার রাজনীতির।
ছবি: DW/S. Ghosh
পুলিশি টহলদারি
রাস্তায় নেমেছে পুলিশ এবং আধা সামরিক বাহিনী। দিনভর উত্তেজনাপ্রবণ এলাকায় চলছে টহলদারি। তার জেরে হিংসা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে এখনও পুরোপুরি বন্ধ হয়নি।
ছবি: DW/S. Ghosh
16 ছবি1 | 16
প্রথম শাস্তি
২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে উত্তরপূর্ব দিল্লিতে ভয়াবহ দাঙ্গা হয়। দাঙ্গায় ৫০ জন মারা গেছিলেন। আহত হয়েছিলেন দুইশ জন। প্রচুর বাড়ি, দোকান, গাড়ি পুড়িয়ে দেয়া হয়েছিল। সেই দাঙ্গায় জড়িত থাকার অপরাধে এই প্রথম একজনকে শাস্তি দিল আদালত।
ছয় জনকে জামিন
বুধবার দিল্লি দাঙ্গার সঙ্গে জড়িত বলে ছয় অভিযুক্তকে জামিন দিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, দাঙ্গার সময় গোকুলপুরী এলাকায় একটি মিষ্টির দোকানে তারা ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয়। এর ফলে ২২ বছর বয়সি দিলবর নেগি মারা যায়।
এই ছয় অভিযুক্তের নাম মহম্মদ তারিক, শাহরুখ, মহম্মদ ফয়সল, মহম্মদ শোয়েব, রশিদ ও পারভেজ।
দিল্লি পুলিশের আইনজীবী এই জামিনের তীব্র বিরোধিতা করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, এই দাঙ্গাকারীরা সদলবলে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বিভিন্ন বাড়ি, দোকান ভেঙেছে, লুট করেছে, আগুন ধরিয়েছে। এই ছয়জন সেই দাঙ্গাকারীদের দলে ছিল।
ফিরে দেখা দিল্লি দাঙ্গা
এক বছর আগে জ্বলে পুড়ে গিয়েছিল যে অঞ্চল, সেখানে আবার প্রাণ ফিরছে। কিন্তু আতঙ্ক থেকেই গেছে। তখন আর এখনের ছবি।
ছবি: Syamantak Ghosh/DW
আতঙ্কের মুখ
দাঙ্গা বিধ্বস্ত এই নারী অস্থায়ী ক্যাম্পে বসে কেঁদে ফেলেছিলেন। পরিবারের কাউকে তখনো খুঁজে পাননি তিনি।
ছবি: DW/S. Ghosh
এক বছর পর
এই নারীও দীর্ঘদিন ক্যাম্পে ছিলেন। বেশ কয়েকমাস আগে ঘরে ফিরে এসেছেন। নতুন করে রং করছেন বাড়ির দেওয়াল। কিন্তু চোখে মুখে এখনো আতঙ্ক।
ছবি: Syamantak Ghosh/DW
পুড়ে যাওয়া গ্যারাজ
দাঙ্গার সময় আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছিল এই গ্যারাজে। বহু গাড়ি নষ্ট হয়েছিল। পালিয়ে গেছিলেন সকলে।
ছবি: Syamantak Ghosh/DW
এক বছর পর
এক বছর পরে গ্যারাজের মালিকানার হাত বদল হয়েছে। বিয়েবাড়ি হিসেবে ভাড়া দেওয়া হচ্ছে গ্যারাজটি।
ছবি: Syamantak Ghosh/DW
কেয়ারটেকারের ঘর
দাঙ্গার সময় খাবার ছেড়ে পালাতে হয়েছিল কেয়ারটেকারকে। পুরো ঘর জ্বালিয়ে দিয়েছিল দাঙ্গাকারীরা।
ছবি: Syamantak Ghosh/DW
এক বছর পর
নতুন করে রং হয়েছে ঘরে। নতুন কেয়ারটেকার এসেছেন। খাট পেতেছেন সেই একই জায়গায়। ঘরে না থাকলে তালা দিয়ে রাখেন নতুন কেয়ারটেকার। ভয়ে।
ছবি: Syamantak Ghosh/DW
পোড়ো বাড়ি
আগুনে সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল বাড়িটি। ছবি তোলার সময়েও বিভিন্ন জায়গা থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছিল।
ছবি: Syamantak Ghosh/DW
এক বছর পর
এক বছর পরেও এলাকায় ফেরেননি এই বাড়ির কেউ। একই অবস্থায় ধ্বংসাবশেষ হয়ে পড়ে আছে।
ছবি: Syamantak Ghosh/DW
লুঠ হয়ে গেছে সব
সমস্ত কিছু লুঠ করে ঠেলা গাড়িটা পর্যন্ত ভেঙে দিয়ে গিয়েছিল দাঙ্গাকারীরা। যাওয়ার আগে বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
ছবি: Syamantak Ghosh/DW
এক বছর পর
এক বছর পরে ছন্দে ফিরেছে জীবন। নতুন ঠেলা গাড়ি আবার রাখা হয়েছে দরজার পাশে। ওই গাড়িতে করেই প্রতিদিন জিনিস বিক্রি করেন বাড়ির মালিক।
ছবি: Syamantak Ghosh/DW
রাস্তা জুড়ে ইট
ইটবৃষ্টি হয়েছে দুই দিক থেকেই। জাফরাবাদের এই রাস্তাটি দেখলে মনে হতো যুদ্ধক্ষেত্র।
ছবি: Syamantak Ghosh/DW
এক বছর পর
এক বছর পরে ওই রাস্তায় কংক্রিট ঢালা হয়েছে। জনজীবন স্বাভাবিক হয়েছে।
ছবি: Syamantak Ghosh/DW
দোকানের পর দোকান লুঠ
একের পর এক দোকানে ঢুকে সমস্ত কিছু লুঠ করেছিল দাঙ্গাকারীরা। মুস্তাফাবাদের একটি দোকানও আস্ত ছিল না।
ছবি: Syamantak Ghosh/DW
এক বছর পর
নতুন করে দোকান খুলেছেন স্থানীয় মানুষ। যা গেছে, তার ক্ষতিপূরণ এখনো মেলেনি। কোনোমতে পসরা সাজিয়ে আছেন তাঁরা।
ছবি: Syamantak Ghosh/DW
সব হারানো বাঞ্জারা
রাজস্থান থেকে এসে পাঁচিলের ধারে অস্থায়ী ঘর বানিয়েছিলেন এই বাঞ্জারা। খুলেছিলেন ছোট্ট চায়ের দোকান। দাঙ্গাকারীরা তাঁকেও ছাড়েনি।
ছবি: Syamantak Ghosh/DW
এক বছর পর
লাল পাঁচিলের ধারে নতুন করে ঘর বানিয়েছেন বাঞ্জারারা। তবে এখনো আতঙ্কে ভুগছেন। রাতের অন্ধকারে ফের কেউ আগুন লাগিয়ে দেবে না তো?
ছবি: Syamantak Ghosh/DW
জ্বলে যাওয়া টায়ার বাজার
বড় রাস্তার ধারে এই টায়ার বাজারে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কয়েক লাখ টাকার টায়ার নষ্ট হয়েছিল। বহু ব্যবসায়ীর মাথায় হাত পড়েছিল।
এক বছর পর স্বাভাবিক হয়েছে রাস্তাঘাটের চেহারা। গাড়ি-ঘোড়া চলছে স্বাভাবিক ছন্দে। তবে মানুষের মনে আতঙ্ক এখনো থেকে গিয়েছে।
ছবি: Syamantak Ghosh/DW
20 ছবি1 | 20
দিল্লি দাঙ্গার ছবি
দিল্লি দাঙ্গা নিয়ে বিস্তারিত খবর করেছিল ডিডাব্লিউ। সেই সময় বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে দেখা গিয়েছিল শুধু ধ্বংসের ছবি। রাস্তার ধারে গাড়ি, মোটরসাইকেল, ভ্যান পিরামিড করে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়েছিল। বিভিন্ন জায়গায় বাস পুড়িয়ে দেয়া হয়েছিল। প্রচুর বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়েছিল। খাবার তৈরি করতে বসেছিলেন বাড়ির লোকজন। এমন সময় দাঙ্গাকারীরা আক্রমণ করে। বাড়ির উঠোনে পড়েছিল সবজি। আগুন ধরিয়ে দেয়া বাড়ি থেকে তখনো ধোঁয়া উঠছিল। একটি আহত কুকুর সেই বাড়িতে চোখে জল নিয়ে বসেছিল।
আতঙ্ক আর অনিশ্চয়তার ক্যাম্প
দিল্লি দাঙ্গার পর কেটে গিয়েছে দুই সপ্তাহ। ক্যাম্পে জীবন কাটছে গৃহহীন মানুষের। তেমনই এক ক্যাম্পের ভিতরের ছবি।
ছবি: DW/S. Ghosh
দু'চোখ ভরা জল
দাঙ্গা কেড়ে নিয়েছে সব কিছু। বাড়ি বলতে আর কিছুই অবশিষ্ট নেই। কান্না আর আতঙ্ক সঙ্গী করে এ ভাবেই ক্যাম্পে জীবন কাটছে হাজার হাজার মানুষের।
ছবি: DW/S. Ghosh
অন্ধকার, অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ
কতদিন এ ভাবে থাকতে হবে ক্যাম্পে? এরপর কোথায় যাবেন? বাড়ি সারাইয়ের টাকা কোথা থেকে আসবে? কিচ্ছু জানেন না ওঁরা। চোখ বন্ধ করলেই এখনও আগুনের দৃশ্য ভেসে আসছে বার বার।
ছবি: DW/S. Ghosh
মানসিক অসুখ
ক্যাম্পে নিয়মিত থাকছেন চিকিৎসকরা। তাঁদের বক্তব্য, অধিকাংশ মানুষ ট্রমায় ভুগছেন। তাঁদের কাউন্সেলিং প্রয়োজন।
ছবি: DW/S. Ghosh
হাসির ক্লাস
ক্যাম্পের শিশুদের নিয়ে নানা কর্মশালার ব্যবস্থা করেছে বেশ কিছু সংস্থা। আতঙ্কিত শিশুদের জন্য খোলা হয়েছে হাসির ক্লাস। একই সঙ্গে চলছে অস্থায়ী স্কুল।
ক্যাম্পের দিকে দিকে এ ভাবেই ছড়িয়ে রয়েছে সব হারানো মুখ। সরকার অর্থ সাহায্য করলে সামান্য স্বস্তি মিলবে। এ টুকুই ভরসা।
ছবি: DW/S. Ghosh
জীবন থেমে নেই
তবু জীবন থেমে নেই। ক্যাম্প থেকেই বোর্ডের পরীক্ষা দিচ্ছে বেশ কয়েকজন। ধীরে ধীরে কাজেও যোগ দিতে শুরু করেছেন অনেকে।
ছবি: DW/S. Ghosh
7 ছবি1 | 7
একটি গাড়ির শোরুম ও পার্কিংয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়েছিল। রাশি রাশি গাড়ির কংকাল পড়েছিল সেখানে। রাস্তায় রাস্তায় ছড়িয়ে ছিল পাথরের টুকরো। অজস্র পোড়া বাড়ি সেই দাঙ্গার চিহ্ন বুকে নিয়ে দাঁড়িয়ছিল। ডিডাব্লিউ বাংলার দুই প্রতিনিধিও দাঙ্গাকারীদের হাতে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হাতে করে ফিরতে পেরেছিলেন।