1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সরকার ও পুলিশের মধ্যে সংঘাত চরমে

অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি২১ জানুয়ারি ২০১৪

মহিলা নিরাপত্তায় দিল্লি পুলিশের নিষ্ক্রীয়তার অভিযোগে কিছু অফিসারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবার দাবি ওঠে৷ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সামনে যাবার পথে মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল ও ক'জন মন্ত্রীকে আটকে দেয় পুলিশ, কিন্তু কেন?

Arvind Kejriwal Indien Ministerpräsident Vereidigung
ছবি: RAVEENDRAN/AFP/Getty Images

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সামনে ধর্ণা দিতে যাবার পথে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও তাঁর চারজন মন্ত্রীকে আটকে দেয় দিল্লি পুলিশ৷ পুলিশের বক্তব্য, ২৬শে জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবসের প্রাক্কালে গোটা রাজপথ এলাকায় ১৪৪ ধারা বলবৎ৷ তাই সেখানে জমায়াত নিষিদ্ধ৷ ধর্ণার স্থল অন্যত্র, অর্থাৎ যন্তরমন্তরে সরিয়ে নিয়ে যেতো বলা হয়৷ লাউডস্পিকারের তার কেটে দেয় পুলিশ৷ এ নিয়ে আম আদমি পার্টির সমর্থক এবং পুলিশের মধ্যে বচসা হয়, শুরু হয় ধাক্কাধাক্কি৷ মধ্যদিল্লির চারটি মেট্রো স্টেশন বন্ধ রাখা হয়৷ যার ফল, নিত্যযাত্রিদের হয়রানির একশেষ৷

কিসের জন্য ধর্ণা? দক্ষিণ দিল্লির একটি স্থানে যেখানে মূলত আফ্রিকান বসতি, সেখানে নাকি চলে ড্রাগ ও দেহ ব্যবসা৷ দিল্লির আইনমন্ত্রী সোমনাথ ভারতী মধ্যরাতে সেখানে দাঁড়িয়ে কর্তব্যরত পুলিশ অফিসারকে ঐ সব বাড়িগুলিতে হানা দেবার নির্দেশ দেন৷ পুলিশ অফিসার সে কথায় কান না দিয়ে উল্টে মন্ত্রীকে তল্লাসি ওয়ারেন্ট দেখাতে বলেন৷ তথ্যপ্রমাণ ছাড়া স্রেফ মন্ত্রীর কথায় তল্লাসি চালানো সম্ভব নয় বলে পুলিশকর্তা৷ এরপর মন্ত্রী স্বয়ং তাঁর দলবল নিয়ে সেই সব বাড়িতে তল্লাসি চালান৷ মন্ত্রী ও তাঁর দলবলের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ, আফ্রিকান মহিলাদের তাঁরা নাকি বাড়ি থেকে বের করে দেন এবং মহিলাদের বিরুদ্ধে কটুক্তি করেন৷ বর্ণবিদ্বেষী কথাবার্তা বলেন৷ দিল্লির উপ-রাজ্যপালের কাছে এই রকম রিপোর্টই নাকি পুলিশ দিয়েছে৷

দিল্লি সরকারের মন্ত্রীর নির্দেশ কি অমান্য করতে পারে পুলিশ? এক অর্থে পারে৷ কারণ জাতীয় রাজধানি কেন্দ্র-শাসিত৷ দিল্লি পুলিশ কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে, দিল্লি সরকারের অধীনে নয়৷ যদিও যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় আইন-শৃঙ্খলা রাজ্য সরকারের এক্তিয়ারেই পড়ে৷ আম আদমি পার্টি সরকারের অভিযোগ দিল্লির রাস্তাঘাটে মহিলা হেনস্থা বা ধর্ষণের ঘটনা যেভাবে বাড়ছে, তা বন্ধ করতে দিল্লি পুলিশ সহযোগিতা করছে না৷ ড্রাগ, দেহ ব্যবসা, ধর্ষণ ইত্যাদির মতো ঘটানা ঘটে চলেছে দিল্লির বুকে আর পুলিশ জানে না, এটা মানা যায় না৷ নির্দেশ দেয়া সত্ত্বেও মন্ত্রীর আদেশ অগ্রাহ্য করতে পুলিশ সাহস পায় কী করে? জানতে চান মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল৷ তাঁর দাবি, অভিযুক্ত পুলিশ অফিসারকে হয় সাসপেন্ড করা হোক, না হয় বদলি করা হোক৷ মহিলাদের নিরাপত্তা রক্ষায় পথে নেমেছে আম আদমি পার্টি৷ এর হেস্থনেস্থ করেই ছাড়বো৷ দরকার হলে দিনের পর দিন ধর্ণা চলবে৷ কেন্দ্রীয় স্বার্ষ্ট্রমন্ত্রী সুশীল শিন্ডের বক্তব্য তদন্ত শেষ না হলে সংশ্লিষ্ট পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব নয়৷ আর দিল্লি পুলিশকে দিল্লি সরকারের অধীনে আনার প্রশ্নই নেই, বলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী৷

আম আদমি পার্টি সরকারের এই আচরণের সমালোচনা কোরেছে বিভিন্ন মহল৷ কংগ্রেসের তরফে বলা হয়েছে, কেজরিওয়ালের উচিত এইসব ‘‘নাটকবাজি'' বন্ধ করে প্রশাসনের দিকে নজর দেয়া৷ আন্না হাজারের সমর্থক দিল্লি পুলিশের প্রাক্তন শীর্ষ অফিসার কিরণ বেদি মনে করেন, এক উচ্ছৃঙ্খল রাজনৈতিক নেতৃত্বের অধীনে চলছে দিল্লি সরকার৷ এটাকে প্রশাসন বলে না৷ ওদিকে পর্যবেক্ষক মহল বলছে, আগামী সাধারণ নির্বাচন পর্যন্ত চলবে আম আদমি পার্টির এই কৌশল নীতি৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ